Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন। ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’—এই স্লোগান যখন মোদির বিরুদ্ধে ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মমতার ধর্না জাতীয় রাজনীতির প্রচারের অভিমুখে পরিবর্তন আনে। সারা দেশজুড়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তের নামে সিবিআইকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করবার জন্য আওয়াজ ওঠে। সারদা মামলায় কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের সাক্ষ্য নিশ্চিত করবার জন্য সিবিআই তৎপর হয়ে উঠলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে এই অভিযোগ তুলে ধর্মতলায় দু’দিন ব্যাপী ধর্না দেন। সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মোদি-বিরোধী নেতৃত্ব মমতার তোলা আওয়াজের সঙ্গে নিজেদের শামিল করেন। ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি থেকে তেলুগু দেশম পার্টির নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল থেকে শুরু করে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব অনেকেই ধর্মতলায় মমতার ধর্নামঞ্চে এসে মোদির বিরুদ্ধে মমতার তোলা সিবিআই-এর অপব্যবহার নিয়ে সরব হন এবং মমতাকে মোদি-বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী হিসেবে মেনে নেন। ঠিক হয় এই ধরনের ধর্না দিল্লি এবং দেশের অন্য প্রান্তেও তাঁরা আয়োজন করবেন মোদির বিরুদ্ধে।
ধর্মতলায় মমতার মোদির বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের প্রভাব জাতীয় রাজনীতিতে স্পষ্ট লক্ষ করা যাচ্ছে। সিবিআইকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চাইছে— মমতার তোলা এই অভিযোগের সঙ্গে দেশের অধিকাংশ আঞ্চলিক দলের নেতৃত্ব এখন সহমত পোষণ করছেন। কেজরিওয়াল থেকে তেজস্বী যাদব, মায়াবতী থেকে রাহুল গান্ধী সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা সিবিআই ইস্যুকে সামনে রেখে মোদির বিরুদ্ধে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি ধ্বংস করার অভিযোগ তুলছেন। গত কয়েকদিন সংসদের ভেতরে এবং বাইরের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেছেন। ধর্না চলাকালীন স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী মমতাকে ফোন করে তাঁর আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। সিবিআইকে কেন্দ্র করে মমতার ধর্না জাতীয় রাজনীতিতে তাঁকে কয়েক কদম এগিয়ে দিল বলা যায়।
বস্তুত, নোটবন্দির পর থেকে লাগাতার মোদি-বিরোধী আন্দোলন মমতাকে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়ে এসেছিল। গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে মোদি-বিরোধী দেশের সমস্ত নেত্রীবৃন্দকে এক মঞ্চে এনে তিনি প্রমাণ দিয়েছিলেন এই মুহূর্তে মোদি-বিরোধিতায় তিনি প্রধান মুখ। ওই সমাবেশে কংগ্রেসের তরফ থেকে লোকসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের সংসদ সদস্য অভিষেক মনু সিংভি ব্রিগেডের জনসভায় উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও সোনিয়া গান্ধী একপ্রকার বাধ্য হয়েছিলেন ব্রিগেড সমাবেশকে সামনে রেখে মমতার উদ্দেশ্যে চিঠি লিখতে। প্রদেশ কংগ্রেসের অনুরোধ উপেক্ষা করেই সোনিয়া গান্ধী মমতার ব্রিগেড সমাবেশে মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো নেতাকে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিলেন। না হলে জাতীয় রাজনীতিতে মোদি-বিরোধিতায় কংগ্রেসের একঘরে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকত।
ব্রিগেডের পর ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে একাধিক বিরোধী নেতার উপস্থিতি দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্বকে নতুনভাবে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেসের সমীকরণ নিয়ে ভাবতে বাধ্য করছে। কংগ্রেসের জাতীয় নেত্রীবর্গ জানে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃবর্গ যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী জোট চায় না, তেমনি তৃণমূল নেত্রীও রাজ্যের ৪২টি আসন জয়ের আশায় প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী জোট নিয়ে ভাবেন না। রাহুল-সোনিয়া গান্ধীর কাছে সমস্যাটা পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে নয়—তাঁদের কাছে আরও বড় প্রশ্ন হল, মমতা যেভাবে জাতীয় রাজনীতিতে মোদি-বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে উঠেছেন, তাতে নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপিকে সরিয়ে দেশের সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিলে আদতেও সেই সরকার পরিচালনার নেতৃত্বের চাবিকাঠি রাহুলের হাতে থাকবে কি না সেই বিষয়ে। যেভাবে রাহুলের তোলা রাফাল ইস্যুকে ছাপিয়ে গিয়ে মমতার তোলা সিবিআইয়ের অপব্যবহার সংক্রান্ত ইস্যু জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পেল, তাতে কংগ্রেস নেতৃবর্গের হাতে মোদি-বিরোধী আন্দোলনের চাবিকাঠি থাকবে কি না সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। রাফালকে জাতীয় ইস্যু করেই নেতা হিসেবে রাহুল গান্ধীর পুনরুজ্জীবন ঘটেছিল জাতীয় রাজনীতিতে। রাস্তার আন্দোলনে মমতা সব সময়ই অপ্রতিরোধ্য। বাম জমানায় বারবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে তৎকালীন বাম সরকারের থেকে দাবি আদায় করে নিয়েছেন কখনও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে, কখনও বা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জমি রক্ষার আন্দোলন—সর্বত্রই বিরোধী নেত্রী হিসেবে মমতা ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। মোদির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আরও একবার প্রমাণ করলেন রাস্তার আন্দোলনে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এই আন্দোলনের যে সমস্ত ফসল তিনি ঘরে তুলতে পেরেছেন সেগুলি হল:
(ক) ধর্নার মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে মোদির বিরোধিতায় তিনি কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেছেন।
(খ) দেশের সমস্ত আঞ্চলিক নেতৃবর্গ সমেত কংগ্রেস সভাপতি তাঁর আন্দোলনকে সমর্থন করে মোদি-বিরোধিতায় তাঁর ভূমিকাকে স্বীকার করে নিয়েছেন।
(গ) কেবল বিরোধী পক্ষ নয়, ধর্নায় বসার পর থেকে কেন্দ্রের শাসকবর্গ, বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের মতো বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃবর্গ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত জনসভাগুলিতে মমতাকে টার্গেট করে বক্তৃতা করছেন। যা প্রমাণ করে বিরোধী নেতৃবর্গের মধ্যে শাসকের দৃষ্টিতেও তৃণমূল নেত্রী কেন্দ্রে রয়েছেন।
(ঘ) লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রীর ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে বসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। ক্ষমতায় আট বছর থাকার পরেও নেত্রী রাস্তায় বসে এখনও আন্দোলন করতে পারেন—এই ভাবনা তৃণমূল নেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠা করল।
(ঙ) সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সারা রাজ্যের প্রতিটি বুথে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা মিটিং-মিছিল আয়োজন করে। এর ফলে লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ ভিত্তিক সাংগঠনিক শক্তি কেমন রয়েছে তা যাচাই করার সুযোগ পেয়ে গেল তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোটের আগে সাংগঠনিক দিক থেকে যার গুরুত্ব অপরিসীম।
(চ) মমতার ধর্না এবং তীব্র মোদি-বিরোধিতা রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটারদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসকে একমাত্র মোদি-বিরোধী মঞ্চ হিসেবে প্রতিপন্ন করবে। এই নির্বাচনে একশো ভাগ সংখ্যালঘু মানুষের মধ্যে আশি ভাগ সংখ্যালঘু মানুষ যদি তৃণমূলের পক্ষে রায় দেয়, তবে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
এই সমস্ত কিছু ভাবনা জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের পক্ষে যেতে পারে। অন্যদিকে তেমনি সিবিআই ইস্যু জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে চলে আসায় নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দুর্নীতির ইস্যু অর্থাৎ রাফাল দুর্নীতির ইস্যু জাতীয় রাজনীতির প্রচারের কেন্দ্র থেকে বেশ খানিকটা আড়ালে চলে গেল। তাতে কি বিজেপি’র জন্য খানিকটা স্বস্তি এল? কারণ মোদির বিরুদ্ধে যতক্ষণ রাফাল-এর মতো দুর্নীতি ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে ছিল ততক্ষণ পর্যন্ত মোদি সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত এই ভাবনায় ভোটারদের প্রভাবিত করবার সুযোগ ছিল। অন্যদিকে সিবিআইকে নরেন্দ্র মোদি রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার করছেন—এই অভিযোগের প্রচার মোদি, অমিত শাহকে পাল্টা প্রচার করবার সুযোগ এনে দিয়েছে বিরোধীরা কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত সেই বিষয়ে জনসমক্ষে তুলে ধরবার। বিরোধীদের বিরুদ্ধে চলা সিবিআই তদন্তকে প্রচারের আলোতে নিয়ে এসে মোদি, অমিত শাহরা দেখাতে চাইছেন তাঁদের লক্ষ্য দুর্নীতি মুক্ত ভারত গঠন। অর্থাৎ মোদি, অমিত শাহের বিরুদ্ধে রাফাল ইস্যু সক্রিয় থাকলে তাঁদের ভাবমূর্তির ওপর দুর্নীতির কালো মেঘ ঢেকে থাকবে। অন্যদিকে সিবিআই তদন্তে বেশি সরব হলে মোদি, অমিত শাহ তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তির সহজেই বিরোধী শিবিরের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারবেন।
পাশাপাশি সমস্ত বিরোধী দল মিলে কেবল নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করলে মোদি সহজেই ২০১৯-এর নির্বাচনে নায়ক হয়ে উঠতে পারবেন। ইতিমধ্যে তাকে সরানোই বিরোধীদের একমাত্র কাজ—এই বক্তব্য তিনি একের পর এক জনসভায় প্রচার করে ভোটারদের মন জিততে চাইছেন। তিনি চাইছেন লড়াইটা ‘মোদি বনাম সমস্ত বিরোধী পক্ষ’ এই পর্যায়ে নিয়ে যেতে। লড়াই ‘মোদি বনাম সকল পক্ষ’ এই ভাবনায় আটকে গেলে মোদি কিন্তু কিছুটা বাড়তি সুবিধায় থাকবেন। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একইভাবে ‘মমতা বনাম সমস্ত বিরোধী পক্ষ’ এই পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। ওই ভাবনাকে সামনে রেখে মমতা ঘোষণা করেছিলেন তিনি ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। সেদিন রাজ্যের বিরোধীরা মমতার বিরুদ্ধে চূড়ান্তভাবে প্রচার চালিয়ে যে ভুল করেছিলেন, মোদির বিরুদ্ধে একই ভুল করা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারবে তো বিজেপি’র বিরুদ্ধে থাকা দলগুলি?
লেখক রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক
14th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

স্মার্ট সিটি এবং সুশাসন
রঞ্জন সেন

স্মার্ট হওয়া ভালো, কিন্তু আরও ভালো হল সুশাসিত হওয়া। আর এটা হয় না বলেই রাতারাতি স্মার্ট বলে দেগে দেশের স্মার্ট সিটিগুলিতে হঠাৎ প্রয়োজনে জরুরি পরিষেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যদিকে তার প্রশস্ত রাজপথে চরে বেড়ায় গোরু। তার পরিণতিতে মানুষের প্রাণও যায়।
বিশদ

12th  February, 2019
ভোটের কৈফিয়ত
পি চিদম্বরম

একটা আত্মবিশ্বাসী সরকার স্বাভাবিক অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করত আর এটাই করা উচিত, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের মতো জিনিসটার ঘাটতি রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মধ্যে। শুধু বিজেপি এমপিদের বিষণ্ণ মুখগুলোর দিকে তাকান বিশেষত যাঁরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন এবং আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।
বিশদ

11th  February, 2019
ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

10th  February, 2019
হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন।
বিশদ

03rd  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে
জনমোহিনী বাজেট

দেবনারায়ণ সরকার

 শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। কার্যত এটাকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটই বলা চলে। বিশদ

02nd  February, 2019
ইয়ং ইন্ডিয়া
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রায় বছর দশেক হয়ে গেল এই পিতাপুত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। যা ক্রমেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতায় পর্যবসিত। রাউলাট বিলের প্রতিবাদ করে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সভা হয়েছিল এলাহাবাদে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বলা হয়েছিল স্থানীয় একজন আইনজীবীর বাড়িতে থাকতে।
বিশদ

01st  February, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পরপর দু’দিন মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতেই হোয়াটসঅ্যাপে বেরিয়ে গেল প্রশ্নপত্র। তারপর ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও তথ্যপ্রমাণ হাতড়ে বেড়াচ্ছে পুলিস। শোনা গিয়েছে, ...

  বিএনএ, আরামবাগ: পুরশুড়ার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে জাতীয় ক্রীড়া ময়দান কাঁপাল দুই বোন। ঘরের মেয়েরা গুজরাত ও হরিয়ানায় জাতীয় স্তরের আসরে সফল হওয়ায় গর্বে বুক ফুলেছে বাবা, মা সহ এলাকাবাসীর। এতদিন স্কুল থেকে জেলা, রাজ্যস্তরের পর্যায়ে তারা একই সঙ্গে খেলে ...

  সংবাদদাতা, খড়্গপুর: ভ্যালেনটাইন ডে’র আগের রাতে বুধবার খড়্গপুর স্টেশনের বোগদা টিকিট কাউন্টারের কাছ থেকে এক যুবক ও নাবালিকাকে আটক করেছে জিআরপি। তাদের বাড়ি নিউ দিল্লি। তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক রয়েছে বলে অনুমান। ...

মুম্বই, ১৪ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): ৮৬ তম জন্মদিনে প্রয়াত অভিনেত্রী মধুবালাকে শ্রদ্ধা জানাল গুগল। সার্চ ইঞ্জিনে ব্যবহার হল বেঙ্গালুরুর শিল্পী মহম্মদ সাজিদের তৈরি ডুডল। ১৯৩৩ সালে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম
১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু
১৮৯৮: কিউবা উপকূলে মার্কিন রণতরী ডুবে গিয়ে মৃত ২৭৪। স্পেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল আমেরিকা
১৯২১: ঐতিহাসিক রাধাকৃষ্ণ চৌধুরির জন্ম
১৯৩৩: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টা। নিহত শিকাগোর মেয়র
১৯৪২: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সিঙ্গাপুরের পতন। জাপানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ব্রিটিশ জেনারেল।
১৯৪৭: রণধীর কাপুরের জন্ম
১৯৫৬: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ডেসমন্ড হেইনসের জন্ম
১৯৬৪: আশুতোষ গোয়ারিকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৮০ টাকা ৭১.৪৯ টাকা
পাউন্ড ৮৯.৩৪ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
ইউরো ৭৮.৫৩ টাকা ৮১.৫০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৪০৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩১,৬৯৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৩৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৩৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, দশমী ১৭/৪৫ দিবা ১/১৯। মৃগশিরা ৩৬/৩৯ রাত্রি ৮/৫২। সূ উ ৬/১২/৪৫, অ ৫/২৯/১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২৮ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৭ গতে অস্তাবধি। বারবেলা ৯/১১ গতে ১১/৫১ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৩৯ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
২ ফাল্গুন ১৪২৫, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার, দশমী ৮/২২/২০। মৃগশিরানক্ষত্র অপঃ ৪/৪৪/৫, সূ উ ৬/১৪/১৩, অ ৫/২৭/১১, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩/৫৭ মধ্যে ও ৮/২৮/৪৯ থেকে ১০/৪৩/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৮/০ থেকে ২/২৭/৪৪ মধ্যে ও ৩/৫৭/২৭ থেকে ৫/২৭/১১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৯/২৭ থেকে ৮/৫১/৪৪ মধ্যে ও ৩/৪০/৪৯ থেকে ৪/৩১/৫৭ মধ্যে, বারবেলা ৯/২/২৮ থেকে ১০/২৬/৩৫ মধ্যে, কালবেলা ১০/২৬/৩৫ থেকে ১১/৫০/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৮/৩৮/৫৭ থেকে ১০/১৪/৪৯ মধ্যে।
৯ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: সপরিবারে ভ্রমণের সুযোগ। বৃষ: নতুন কাজের সুযোগ। মিথুন: অর্থ সম্পত্তি প্রাপ্তির যোগ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৫৬৪: জ্যোতির্বিদ গ্যালিলিও গ্যালিলির জন্ম১৮৬৯: মির্জা গালিবের মৃত্যু১৮৯৮: কিউবা উপকূলে ...বিশদ

07:03:20 PM

গোপীবল্লভপুরে নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল এক কিশোর 

06:37:00 PM

ভুয়ো কোম্পানি খুলে রাজ্যজুড়ে প্রতারণার জাল, ধৃত ৭
গৃহঋণ থেকে চাকরির টোপ দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে প্রচুর মানুষকে ...বিশদ

04:12:00 PM

৬৭ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:11:35 PM

পুলওয়ামায় হামলা: নদীয়া, হাওড়ার শহিদ জওয়ানদের বাড়িতে আসছেন দু’জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 

04:03:51 PM