বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
একইভাবে পশ্চিমবঙ্গ আরএসএস নেতৃত্বেও একাধিক বদল হল। সঙ্ঘের সাংগঠনিক নিয়মে এই প্রদেশকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ। এদিন দক্ষিণবঙ্গ প্রদেশ প্রান্ত প্রচারক বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সঙ্ঘ। তাঁর জায়গায় দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্বে আনা হয়েছে জলধর মাহাতকে। যিনি এতদিন উত্তরবঙ্গ প্রদেশ প্রান্ত প্রচারকের দায়িত্ব সামলেছেন। সূত্রের দাবি, সাম্প্রতিক লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতে জয়লাভ করেছে বিজেপি। বাংলার উত্তরভাগে আরএসএস-বিজেপির সমন্বয়কে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন জলধরবাবু। তাই ওই ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া বাঁকুড়ার জলধর মাহাতকে সঙ্ঘ এবার দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্ব দিল। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের সহকারী প্রান্ত প্রচারক শ্যামাচরণ রায়কে উত্তরবঙ্গের সর্বিক দায়িত্বে নিয়ে এল সঙ্ঘ। বীরভূমের মানুষ শ্যামাচরণবাবু এতদিন বিদ্যুৎবাবুর সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন।
এদিকে, বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, বর্তমান আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন বিদ্যুৎবাবু। কেন্দ্রীয়স্তরেও যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে তাঁর। কিন্তু গত বছর এলপিজি দুর্নীতিকাণ্ডে তাঁরও নাম জড়িয়েছিল। যা জনমানসে সঙ্ঘের ভাবমূর্তির পরিপন্থী বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই বিতর্ক এড়াতে বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়কে যাবতীয় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল বলে দাবি সঙ্ঘের একাংশের। যদিও আরএসএস-এর এক মুখপাত্রের দাবি, ওনার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। উনিও উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণামূলক কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে চেয়েছিলেন। সেই সূত্রেই এই রদবদল।