গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের ২৬৭১টি গ্রামে আমরা সমবায় ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র চালু করেছি। ভবিষ্যতে যাতে রাজ্যের প্রত্যেকটি গ্রামে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায় সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি। কৃষক ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণখাতে আরও টাকা বরাদ্দ করা হবে।
সত্যব্রতবাবু বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক দীর্ঘ কয়েকশো বছরের পুরনো। এই জেলায় সমবায়ের ব্যাঙ্কের মধ্য দিয়ে প্রচুর মানুষ উপকৃত হয়েছে। আগামীতে গ্রাহকদের যাতে আরও পরিষেবা দেওয়া যায় সেদিকে নজর দেওয়া হবে। রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে প্রথম এই ভ্রাম্যমাণ এটিএম পরিষেবা জেলায় চালু হল। ‘আলো’ মহিলা কো অপারেটিভ সোসাইটি জেলায় খুব ভালো কাজ করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার পেয়েছে তারা। তাদের জন্য আমরা ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সমবায় ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত গ্রামে এটিএম বা ব্যাঙ্ক নেই সেখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দিতে এই ভ্রাম্যমাণ এটিএম চালু হল। ওই গাড়িতে এটিএমের পাশাপাশি পিছনে ব্যাঙ্কের একটি চেম্বার করা হয়েছে। সেখানে দু’জন কর্মীও থাকবেন। সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কী কী পরিষেবা পাওয়া যায় তা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ওই গাড়ি প্রচার করবে। পাশাপাশি যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই তাঁদের তৎক্ষণাৎ অ্যাকাউন্ট করে দেওয়া হবে। অনেকে এটিএমের ব্যাবহার জানেন না, তাঁদেরও এটিএমের ব্যবহার সেখানো হবে। অন্যদিকে এদিন কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং পরিষেবাও চালু হয়। এই ব্যবস্থায় গ্রাহকরা ব্যাঙ্কে না গিয়ে ঘরে বসে অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন। লেনদেনও করতে পারবেন। এদিন ব্যাঙ্কের নিজস্ব ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি তপনের গুড়াইল ও গোফানগরের ব্যাঙ্কের শাখা এবং পতিরাম ও বালুরঘাটের বাজারে ব্যাঙ্কের নতুন দু’টি এটিএম কাউন্টারের উদ্বোধনও এদিন করা হয়। এদিন বালুরঘাট থেকে মালদহে ফেরার পথে মন্ত্রী গঙ্গারামপুর শহরে সমবায় দপ্তরের অধীনে থাকা বহুমুখী হিমঘর ও দমদমা সমবায় সমিতি পরিদর্শন করেন।