গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চিটফান্ড সংস্থাগুলি সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। কিন্তু, তারপরেও অন্যতম চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালির কলকাতার একটি অভিজাত হোটেল কী করে চলছে, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিনিয়োগকারীদের একাংশ। এই প্রশ্নের সূত্রে পরে বিক্ষোভের চেহারা নেয়। সেই সূত্রে বালিগঞ্জ থানা থেকে একটি মামলা শুরু হয়। অন্যদিকে, চার বিনিয়োগকারীর নামে আলিপুর আদালতেও একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে বালিগঞ্জ থানার তদন্তকারী পুলিস অফিসার সিবিআইয়ের এক অফিসারকে তলব করেন। আলিপুর আদালত সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে তাদের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল কৌশিক চন্দ ও অমাজিৎ দে উপরোক্ত প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে দাবি করেন, আলিপুর আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রাজ্য অসদুদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির কাছে রিপোর্ট তলব করার প্রার্থনা করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে তদন্ত চলছে, তার রিপোর্ট কোন যুক্তিতে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে? এই প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও ওই তদন্তকারীরা আলিপুর আদালতকে রিপোর্ট পেশ করেছিল। কিন্তু, তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে এরপর ওই আদালত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের কাছে তদন্তের ভিডিও ফুটেজ পেশ করতে বলে। এই নির্দেশ বাতিল করার জন্য এদিন তিনি আবেদন জানান। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, সুপ্রিম কোর্ট কখনও বলেনি, এই প্রসঙ্গে রাজ্যের কোনও ভূমিকা থাকবে না।
ওদিকে, এদিনের শুনানি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য গঠিত সিট-এর তিন সদস্য অর্ণব ঘোষ, শঙ্কর ভট্টাচার্য ও দিলীপ হাজরাকে সারদা চিটফান্ড মামলা সূত্রে সিবিআই তলব করেছিল। কিন্তু, ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর এই তিনজন সেই নির্দেশের উপর হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ পেয়েছিলেন। তার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য রাজ্যের তরফে এদিন আবেদন করা হয়। সেই সূত্রে আদালত এদিন তার নির্দেশে বলেছে, আলিপুর আদালত তার চূড়ান্ত নির্দেশ ঘোষণা না করা পর্যন্ত তার আগের দেওয়া নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ বজায় থাকবে। পাশাপাশি ওই তিন রাজ্য পুলিসকর্তাকে দেওয়া সিবিআই নোটিসের উপরেও স্থগিতাদেশ একই সময়কাল পর্যন্ত বজায় থাকবে।