কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
মেয়র বলেন, আমি চাই, নাগরিকরা আরও বেশি করে তাঁদের সমস্যাগুলি বলুন। আমি সেই সমস্যা সমাধানের জন্য কয়েকটি দিন চাইব। যদি না মেটাতে পারি, তাহলে নাগরিকরা আবারও আমাকে জানাবেন। এখন প্রশ্ন, এই ফেসবুক লাইভে যদি অপ্রীতিকর বক্তব্য কোনও নাগরিক বলেন, তখন মেয়র কী করবেন? উত্তরে ফিরহাদ সাহেব বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি। প্রতিটি বিষয়কে ঠান্ডা মাথায় সামলানোই আমাদের অন্যতম কর্তব্য। সেটাই করা হবে।
২০১০ সাল থেকে টানা কলকাতা পুরসভা ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। রাস্তা- আলোর উন্নয়ন, পুকুর সংস্কার, গঙ্গার পারের সৌন্দর্যায়ন, নিকাশি উন্নয়নের মতো কাজ হলেও বেআইনি নির্মাণ এবং দক্ষিণ শহরতলির বহু এলাকায় জলসঙ্কট ভোগাতে থাকে পুরসভাকে। শোভন চট্টোপাধ্যায় ২০১৮’র ডিসেম্বরে পারিবারিক নানাবিধ বিতর্কের কারণে মেয়র পদে ইস্তফা দেন। সেই পদে বসানো হয় রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। ফিরহাদ দায়িত্ব নিয়ে প্রথম যে কাজটিতে গুরুত্ব দিয়েছেন, তা হল জলসঙ্কট মোকাবিলা এবং বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করা। যদিও মানুষের মধ্যে যে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ বিস্তর, তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনেও। শাসকদলের কাউন্সিলাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হয়ে তো বটেই, পাশাপাশি নিজেরাও জনসংযোগ সারেন। কিন্তু ফলাফলে দেখা গিয়েছে, দেবাশিস কুমার, রতন দে, তারক সিংয়ের মতো হাইপ্রোফাইল মেয়র পরিষদ সদস্যরা নিজ নিজ ওয়ার্ডে হেরে বসে রয়েছেন। হেরেছেন শাসকদলের হেভিওয়েট কাউন্সিলাররাও। সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছে শাসকপক্ষ। যদিও শাসকপক্ষের একাংশের দাবি, লোকসভা নির্বাচন এবং পুরভোট, পৃথক পৃথক ইস্যুতে হয়। পুরভোটে আমরাই জিতব।