কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
মানিকতলায় গণপিটুনিকাণ্ডের তদন্তে প্রথমে গৌর কুণ্ডু ও দিব্যেন্দু মল্লিক চৌধুরি ওরফে দীপের নাম উঠে আসে। তারাই যে হরি সাহা হাট থেকে রতনকে নিয়ে আসে, তা ক্লাবের সদস্যেদের কাছ থেকে জানতে পারে পুলিস। ঘটনার পরই পলাতক ছিল দুজনে। তারপর গৌর গ্রেপ্তার হলেও দীপ অধরাই ছিল। গৌরের কাছ থেকে জানা যায়, নিমতায় আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে পলাতক ওই অভিযুক্তের। এরপরই সোমবার রাতে পুলিসের একটি টিম সেখানে হানা দিয়ে গ্রেপ্তার করে দিব্যেন্দুকে। এই ঘটনায় জড়িত সকলেই গ্রেপ্তার হল।
দীপকে জেরা করে পুলিস জানতে পারছে, রতন যে হরি সাহা হাটে একজনের কাছে কাপড় নেওয়ার পর টাকা শোধ করেনি, তা ওই অভিযুক্ত জানত। ওই ব্যক্তি থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি তাদেরও ঘটনার কথা জানায়। ঘটনার দিন রতন কাপড়ের গাঁট নিয়ে খান্না এলাকা থেকে একটি অটোয় ওঠেন। উল্টোডাঙা এলাকায় আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁকে অটোয় বসে থাকতে দেখে দিব্যেন্দু বাইক নিয়ে ধাওয়া করে রতনকে অটো থেকে নামায়। সঙ্গে ছিল গৌর কুণ্ডু। এরপর তাঁকে বাইক করেই প্রথমে নিয়ে আসা হয় মুচিবাজারে। সেখানে এসে দীপ মোবাইলে ফোন করে ক্লাবের সদস্যদের বলে, তাড়াতাড়ি ওই এলাকায় আসতে। তার ফোন পাওয়া মাত্রই জনা দশেক সভ্য ওই এলাকায় হাজির হয়। এরপর রতনকে নিয়ে আসা হয় ক্লাবে। সেখানে প্রথমে মারধর শুরু করে গৌর ও দীপ। দীপ উইকেট দিয়ে মারতে থাকে। তার মারেই উইকেট ভাঙে বলে পুলিস জেনেছে। এরপর সেটিকে সে ক্লাবের পাশে একটি গলিতে রেখে দেয়। তারপরই সকলে পালিয়ে যায়।
ধৃত দীপের কাছ থেকে অফিসাররা জেনেছেন, ছয় মাস আগে রতনকে যখন মারধর করা হয় ক্লাবে, তখনও সে ছিল। সেই গোটা ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়। ক্লাবে দীপই হতাকর্তা বলে পরিচিত। তার কথাতেই সদস্যদের একাংশ ওঠেবসে। ক্লাবের জনা দশেক সদস্যকে নিয়ে সে একটি টিম তৈরি করেছে। যাদের কাজই হল বিভিন্ন ব্যক্তিকে চোর বদনাম দিয়ে ক্লাবে নিয়ে আসা। এরপর ওই ব্যক্তির কাছ থেকে জোর করে টাকাপয়সা কেড়ে নেওয়া চলত দীপের নেতৃত্বে। এমনকী তোলা চেয়ে দীপ বিভিন্ন লোককে ফোন করেছে বলেও জানা যাচ্ছে। এই সব বিষয়ে আলাদা করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।