বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
রাফাল ইস্যুতে মোদি সহ বিজেপি শিবিরকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। মোদি সরকারকে কোণঠাসা করতে তাদের হাতে রয়েছে কৃষিঋণ মকুব থেকে বে-রোজগারির মতো হাতে গরম ইস্যুও। হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে এই সব ইস্যুকে হাতিয়ার করেই ফায়দা লুটেছে সোনিয়া-রাহুল গান্ধীর দল। সংসদেও এনিয়ে দফায় দফায় বিপর্যস্ত হতে হচ্ছে শাসকপক্ষকে। পুরনো বোফর্স মামলা বা সাম্প্রতিক অগুস্তা কপ্টার কেলেঙ্কারির মতো ইস্যু নিয়ে পাল্টা আসরে নামলেও, সেভাবে প্রতিপক্ষকে কুপোকাৎ করতে পারেনি বিজেপি। এই অবস্থায় যদি প্রধানমন্ত্রী নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনার সাহস দেখান, তাহলে নির্বাচনের আগে তা কংগ্রেস শিবিরকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দিল্লির সরকারি সূত্রের খবর, মোদি ইতিমধ্যেই নেতাজি সংক্রান্ত যে সব ফাইল প্রকাশ্যে এনেছেন, তাতে তাঁর জীবনী সম্বন্ধে মানুষ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। তার মধ্যে তেমন আহামরি গোপন বা বিতর্কিত বিষয় নেই। বিশেষ করে জাতীয় লেখ্যাগারে রক্ষিত ওই ফাইলের তথ্যে নেতাজির অন্তর্ধানের বিষয়ে অজানা রহস্যের কোনও দিশা মেলেনি। কেন্দ্রের কাছে এব্যাপারে যে সব ফাইল এখনও গোপন হিসেবে রক্ষিত রয়েছে, সেগুলি অধিকাংশই গোয়েন্দা বা আইবি বিভাগের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি কিছু ফাইল বিদেশ মন্ত্রকের অধীনেও থাকার কথা। অতি সংবেদনশীল সেই ফাইলগুলি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে রয়েছে বলে খবর। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনে সেই সব তথ্য প্রকাশ্যে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। স্বয়ং মোদিও প্রচারে গিয়ে সে কথা ঘোষণা করেছিলেন। এনিয়ে নেতাজি অনুগামী ও সুভাষচন্দ্রের পরিবারের একাংশের তরফে চাপও রয়েছে। তাই এখন নির্বাচনের আগে মওকা বুঝে এমন কিছু ফাইল প্রকাশ্যে এনে কংগ্রেসকে বিড়ম্বনায় ফেলার কৌশল নেওয়ার কথা ভেবেছেন মোদি। তাই যাবতীয় ফাইলের তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করতে নেমে পড়েছে অফিসার ও বিশেষজ্ঞদের একটি বিশেষ টিম। তারা অতি সন্তর্পণে এনিয়ে কাজও করেছে। তার মধ্যে এমন কয়েকটি ফাইলকে বাছাই করে প্রকাশ্যে আনার পরিকল্পনা চলছে বলে শোনা যাচ্ছে। যাতে নেতাজির অন্তর্ধান প্রসঙ্গে তৎকালীন কংগ্রেস, বিশেষ করে জওহরলাল নেহরুর ভূমিকা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক ওঠে। স্বাধীনতার পরও কয়েক বছর নেতাজির পরিবারের উপর গোয়েন্দা নজরদারি রাখা সহ নানা বিষয় নিয়ে বিতর্ক ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ২৩ জানুয়ারি লালকেল্লায় নেতাজিকে নিয়ে একটি বিশেষ মিউজিয়ামের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন তিনি সুভাষচন্দ্রের নামে কেন্দ্রীয় পুলিস বাহিনীকে তিনটি বিশেষ শৌর্য মেডেলও দেবেন। সেই সঙ্গে মোদি এই গোপন ফাইল প্রকাশ্যে আনার বা নেতাজির জন্মদিনকে বিশেষ কোনও দিবস হিসেবে ঘোষণা করার চমক দেন কি না, সেদিকেই এখন নজর সুভাষ অনুগামীদের।