বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
সোমবার আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর উচ্চশিক্ষায় ভর্তি এবং সরকারি চাকরির জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বিজেপি ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিলেও লোকসভার ভোটের প্রাক্কালে মোদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। যেখানে এপ্রিল-মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সাধারণ নির্বাচন, সেখানে সরকারের এহেন পদক্ষেপকে ‘গিমিক’ বলে উল্লেখ করেছে তারা। আর মঙ্গলবার আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে ‘নির্বাচনী চমক’ বলে আখ্যা দিল বহুজন সমাজবাদী পার্টি। দলের সুপ্রিমো মায়াবতী বলেন, ‘বসপার দাবি মতো আর্থিকভাবে দুর্বল সাধারণ শ্রেণীর সংরক্ষণে তাড়াহুড়ো করে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নির্বাচনী চমক, গিমিক হলেও আমরা তাকে সমর্থন জানাচ্ছি।’
এখানেই থেমে না থেকে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বসপা নেত্রী। ক্ষমতা থেকে ‘বিদায় নেওয়ার আগে’ বিজেপির এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে মায়াবতী বলেছেন, ‘এ বিষয়ে সরকারকে চিঠি দিয়েছিল বসপা। কিন্তু, কেন্দ্র সঙ্কীর্ণ ও সাম্প্রদায়িক অবস্থান নিয়ে সংরক্ষণের সেই সুবিধা শুধুমাত্র একটি বিশেষ শ্রেণীর জন্য বরাদ্দ করেছে। যা অন্যান্য শ্রেণীর ক্ষেত্রে অবিচার।’ অথচ, তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য থাকা সংরক্ষণ বিবেচনা করে জনসংখ্যা অনুযায়ী সেই সংরক্ষণের পরিসর বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন মায়াবতী।
অন্যদিকে, আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একবিংশ শতকের বি আর আম্বেদকার আখ্যা দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘গরিব বাবা-মায়ের সন্তান হওয়ার জন্য সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর সমস্যা বুঝতে পেরেছেন মোদি। দেশজুড়ে আর্থিকভাবে দুর্বল সাধারণ শ্রেণীর জন্য সংরক্ষণের দাবি দীর্ঘদিনের। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা উপকৃত হবেন।’