বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
মামলার বয়ান অনুযায়ী, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে বর্ধমান ডিভিশনের কাস্টমস অফিসাররা শিবরাম মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে ২০১৫ সালের ৩০ মে পাকড়াও করেন। যার হেফাজত থেকে মেলে ২৫ কিলোগ্রাম গাঁজা। যা মণিপুরের দিক থেকে আনা হচ্ছিল। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সেই মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই মামলায় ২০১৮ সালে ৩১ মে বর্ধমান আদালত অভিযুক্তকে কারাবাসে পাঠায়। সেখানে তাকে আর একপ্রস্থ জেরা করা হয়। সেই জেরায় শিবরাম নবদ্বীপের বাসিন্দা টোটন ঘোষ ও নাদনঘাটের অষ্টম মণ্ডলের নাম বলে। তার বয়ান অনুযায়ী, এরাও এই মাদক পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত।
এই অবস্থায় গ্রেপ্তারি এড়াতে এই দু’জন রাজ্যের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাদের আইনজীবী দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় এদিন আদালতকে জানান, এনডিপিএস আইন অনুযায়ী চিহ্নিত কোনও মাদকদ্রব্য এদের হেফাজত থেকে মেলেনি। কোনও নিরপেক্ষ সাক্ষীও বলেননি যে, এরা মাদকপাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত। স্রেফ ধৃত ব্যক্তির বয়ানকে ভিত্তি করে কি কাউকে এভাবে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া যায়? এই প্রবণতা আইনি স্বীকৃতি পেলে সমাজে অরাজকতা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় বেঞ্চ সরকারি আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, অভিযুক্তের বয়ান বা তথাকথিত অভিযোগ ছাড়া অন্য কোনও তথ্যপ্রমাণ কি আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে আছে? তা নেই জানার পর বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিয়ে বলেছে, মূল মামলার শুনানির সময় এই দু’জন যেন আদালতকে সাহায্য করে।