বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক লাল্টু বিশ্বাস জানিয়েছেন, রাজ্যে অন্তত ৫০ হাজার সুপারভাইজারের পরিশ্রমের জন্য ১০০ দিনের কাজ বাংলায় সুষ্ঠুভাবে চলছে। গত কয়েক বছর ধরে এই প্রকল্পে রাজ্য-দেশের মধ্যে সেরা হচ্ছে। তার পিছনে সুপারভাইজারদের অবদান কিছুটা অন্তত রয়েছে। আমরা এই সরকারকেই সমর্থন করে আসছি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আমরা বারবার বলছি, বছরে চার মাস নয়, ১২ মাসের জন্যই আমাদের ভাতা দিতে হবে নির্দিষ্ট হারে। রেগার কাজ যখন না হয়, বিডিও’রা গোটা বছর আমাদের অন্যান্য নানা ধরনের কাজে লাগান। অথচ তার বিনিময়ে আমাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। এনিয়ে বারবার আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কলকাতায় এসে বিক্ষোভ সমাবেশও করেছি। তবু পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি। এই অবস্থায় সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৯ তারিখের মধ্যে সরকার প্রশাসনিক আদেশ বের না করলে ১০ তারিখ থেকে শহরে অবস্থানে বসব আমরা। ওইদিন মৌলালির রামলীলা পার্কে জমায়েত হওয়ার পর দুপুরে মিছিল করে ধর্মতলা হয়ে চাঁদনিতে ওয়াকফ বোর্ডের অফিসের সামনে রাস্তায় অবস্থানে বসা হবে। প্রশাসনের তরফে লিখিত আদেশ কেউ না নিয়ে আসা পর্যন্ত এই অবস্থান চলবে। শাসক দলের সমর্থক হলেও দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় এই কর্মসূচি নিতে আমরা বাধ্য হয়েছি।
এদিকে, সুপারভাইজারদের সারা বছর ভাতা না পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তবে এজন্য তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র সুপারভাইজারদের ভাতা বাবদ টাকা দেওয়া বেশ কিছু দিন হল বন্ধ করে দিয়েছে। তাও আমরা ওদের কিছু টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছি। তবে ওদের ভাতা বৃদ্ধি বা সারা বছর পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আমি আবার অর্থ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। এটা ঠিক, ওরা এখন আমাদের সমর্থক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ওদের বোঝা উচিত, লাগাতার অবস্থানে বসে এই দাবি আদায় করা যায় না। কারণ, এর পিছনে বহু টাকার সংস্থানের প্রশ্ন জড়িত।