গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
কিন্তু এবার সেই ফুলের বাজার নিয়ে সন্দিহান ব্যবসায়ীরা। সরস্বতী পুজো থেকেই প্রতিবছর প্রায় গোলাপ ফুলের চাহিদা বাড়তে থাকে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। এবছর সরস্বতী পুজোতে সেভাবে ফুল বিক্রি করতে পারেননি নাকাশিপাড়া ও কালীগঞ্জের ফুল বিক্রেতারা। তাও পরীক্ষার জন্য। নাকাশিপাড়া থানার দহখোলা, রাজপুর, বামনডাঙার বেশ কিছু এলাকায় গোলাপের চাষ হয়। সেই ফুল বেথুয়াডহরি বাজার থেকে পলাশীপাড়া, পলাশী, দেবগ্রাম সহ কালীগঞ্জের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়। কিন্তু এখানকার গোলাপ আকারে ছোট। তাই ভিন রাজ্যের গোলাপের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকে। কলকাতা থেকে আসা গোলাপের চাহিদাই বেশি।
বেথুয়াডহরির ফুল ব্যবসায়ী পীযূষ বৈদ্য বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা থাকায় আমরা চিন্তিত এ বছর গোলাপের বাজার কত হবে তা নিয়ে। কালীগঞ্জ থানার মীরা পলাশীর ফুল ব্যবসায়ী মিন্টু কুণ্ডু বলেন, সারা বছর ধরে আমরা গোলাপ বিক্রি করি। তবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে এদিন একটি বিশেষ দিন। তাই অন্যদিনের তুলনায় একটি ফুল পনের থেকে কুড়ি টাকা দরে বিক্রি হয়। মূলত স্কুলের ছেলেমেয়েরাই ভালোবাসার দিনে ফুলের প্রধান ক্রেতা। কিন্তু এবছর পরীক্ষা থাকায় ব্যবসা কিছুটা খারাপ হবে। আর এক ফুল ব্যবসায়ী নবকুমার বিশ্বাস বলেন, শহরের মতো গ্রামের দিকে এত মাতামাতি না থাকলেও দিনের দিনে বেশি ফুল বিক্রি হয়। তবে এ বছর কিছুটা কম হবে বলে মনে করছি।
শুধু ফুল বিক্রেতারা নয়, নাকাশিপাড়া ও কালীগঞ্জের বিভিন্ন উপহার বিক্রেতাদের বাজার মন্দ। কাঞ্চন দাস নামে কালীগঞ্জের এক উপহার সামগ্রীর বিক্রেতা বলেন, প্রতিবছর ভালোবাসার দিনে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বেশ উন্মাদনা থাকে। সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই কেনাকাটা চলে। কিন্তু এবার এই সময় পরীক্ষা থাকায় ভালোবাসার উপহার এর বাজার তেমন নেই।