গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
দমকল বিভাগের কর্তারাও এই সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন। বহরমপুরের ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে সিভিল ডিফেন্সের কাছ থেকে। বহু নাম রয়েছে, যাদের ইংরেজি বানান ছেলে ও মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করে। সিভিল ডিফেন্সের তালিকায় মেল-ফিমেল ক্যাটিগরি ভাগ না থাকায় বোঝার অসুবিধার কারণেই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে এই নিয়ে চাকরি প্রার্থীরা সেভাবে আপত্তি জানাননি বলেই দাবি তাপসবাবুর।
পাশাপাশি শূন্যপদ ও চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকার অনুপাত নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলায় অগ্নি নির্বাপণ বিভাগে অস্থায়ী পদে নিয়োগের জন্য শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা চলছে। কেবলমাত্র পুরুষদেরই এই পদের জন্য নিয়োগ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী, একটি শূন্যপদের জন্য শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় তিনজনকে ডাকার কথা। সিভিল ডিফেন্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদেরই ডাকা হয়েছে। আর সেই নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে। দমকল বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩০টি শূন্যপদের জন্য সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে ‘ঝাড়াই বাছাই’ ছাড়াই ২৩৩০ জনের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে। বহরমপুর স্টেডিয়ামে গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার জন্য চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা ধরে ধরে ডাকা হবে। মাঠের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সক্ষমদের পরবর্তী ধাপের জন্য ডাকা হবে।
অভিযোগ, কর্মপ্রার্থীদের নিয়োগে শুধুমাত্র ছেলেদের নেওয়া হলেও বহু মেয়ের নামে নিয়োগের জন্য বাড়িতে চিঠি পৌঁছে যায়। সেখানে কীভাবে প্রস্তুত হয়ে মাঠে আসতে হবে, তারও বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া ছিল। কিন্তু কোনও জায়গায় মহিলারা অবিবেচিত বলে উল্লেখ করা হয়নি। ফলে চিঠি পাওয়ার পর বহু মহিলা প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেন। অনেকে নির্দিষ্ট দিনে মাঠে হাজির হলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ভরতপুরের বাসিন্দা মিঠু কর্মকার বলেন, সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে এসেছিলাম। মাঠে এসে জানতে পারলাম শুধুমাত্র ছেলেদের নেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করায় হতাশ হয়ে ফিরে এসেছি। কৃষ্ণা মণ্ডল নামে অপর একজন বলেন, শুধুমাত্র ছেলেদের নেওয়া হলে তা উল্লেখ করা উচিত ছিল। আমাদের টাকা খরচ করে আসতে হতো না, হয়রানিও হতো না।