গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
জামালপুরের বামফ্রন্ট বিধায়ক সমর হাজরা অবশ্য নিরাপত্তারক্ষী নিতে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি ১৯৯১সাল থেকে টানা ছ’বার লড়াই করেছি। পাঁচবার জয়ী হয়েছি। কখনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। প্রয়োজন হলে নিরাপত্তারক্ষী নেব বলে পুলিসকে জানিয়েছি।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগম আগে থেকেই নিরাপত্তারক্ষী পাচ্ছেন। আউশগ্রামের বিধায়কের তিনজন এবং কেতুগ্রামের বিধায়কের দু’জন দেহরক্ষী আছে। কালনার বিধায়কের দেহরক্ষী আগে থাকলেও পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। কৃষ্ণগঞ্জের ঘটনার পর থেকে কোনওকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না জেলা পুলিস। এই মুহূর্তে জেলায় তিনজন বিধায়ক বাদে সকলেই নিরাপত্তারক্ষী পেলেন।
গত ৯ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খুন হওয়ার পর পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ডিএসপি (ডিআইবি)-র কাছ থেকে বিধায়কদের নিরাপত্তা বিষয়ক রিপোর্ট তলব করেন। এরপরই ডিএসপি (ডিআইবি) প্রতিটি থানার আইসি এবং ওসিকে চিঠি দিয়ে কোন কোন বিধায়কের ঝুঁকি আছে তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেন। সেইমতো ছ’জন বিধায়ককে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং মঙ্গলবারই তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেশ কয়েকজন মাঝারি স্তরের তৃণমূল নেতাও আগে থেকে সরকারি নিরাপত্তারক্ষী পান। যেমন পূর্বস্থলী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়, মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চন্দন সরকার। আবার পূর্বস্থলী উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ও নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়ান।
কিন্তু, বেশ কয়েকজন বিধায়কের এতদিন নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। গত ৯ তারিখ কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক খুনের পর আরও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না জেলা পুলিস। তাছাড়া এই মুহূর্তে জেলায় বেশকিছু ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রবল বলে অভিযোগ। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তখন নিজেদের মধ্যে গোলমাল আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এক সিপিএম বিধায়ক সহ একসঙ্গে ছ’জনকে দেহরক্ষী দেওয়া হল। তবে, খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ বলেন, আমাকে কেন দেহরক্ষী দেওয়া হল না তা বুঝতে পারছি না।