গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ আধিকারিক অসীম পাল বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে ছাত্রাবাসগুলির জন্য প্রয়োজনীয় জমি জোগাড় করা হয়েছে। এবার এস্টিমেট পাঠানোর চারদিনের মধ্যেই প্রকল্পগুলি রাজ্য সরকার অনুমোদন করেছে। জেলাশাসকের তৎপরতায় দ্রুত প্রকল্পগুলির অনুমোদন দিয়েছে আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, শীঘ্রই টেন্ডার ডেকে হস্টেলগুলি নির্মাণ কাজে হাত দেওয়া হবে। চলতি শিক্ষাবর্ষের মধ্যে প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর, নবগ্রাম ও সাগরদিঘি ব্লকে ওই হস্টেলগুলি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্লকগুলিতে প্রয়োজনীয় জমি জোগাড় করার পর গত সপ্তাহে ছ’টি হস্টেলের জন্য এস্টিমেট তৈরি করা হয়। যারমধ্যে ৫০শয্যাবিশিষ্ট চারটি হস্টেলের নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে মোট ৬কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৮হাজার ২৯২টাকা। আর ৭৫ শয্যাবিশিষ্ট বাকি দু’টি হস্টেলের জন্য অর্থ ধরা হয়েছে ৪কোটি ৭৮লক্ষ ৭হাজার ৯৮টাকা। সবমিলিয়ে ১১কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৩৯০টাকার প্রকল্প ৮ফেব্রুয়ারি আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরে পাঠানো হয়।
এরপর সরস্বতী পুজোর ছুটি শুরু হয়ে যায়। মঙ্গলবার অফিস চালু হতেই অর্থ দপ্তরের ছাড়পত্রের ভিত্তিতে প্রশাসনিক অনুমোদনপত্র পাঠিয়েছে আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর। রাজ্য সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিজন মণ্ডলের স্বাক্ষর করা ওই অনুপতিপত্রে উল্লেখ রয়েছে, অনুমোদিত অর্থ খরচের তদারকি করবেন জেলাশাসক। দরপত্র তলব করার প্রক্রিয়া শুরুর পর জেলাশাসকের দাবির ভিত্তিতে অনুমোদিত অর্থের একাংশ বরাদ্দ করা হবে। সেইমতো দ্রুত প্রকল্পগুলির কাজে হাত দিতে জেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে উঠেছে। বুধবার জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ তথা আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে জেলাশাসক বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ’মাস আগে বহরমপুর শহরের ধোপঘাটি এলাকায় জবরদখল হয়ে থাকা একবিঘা খাসজমি পুনরুদ্ধার করা হয়। সেখানে ছেলেদের জন্য এবং জেলা গ্রন্থাগারের পিছনে এক বিঘা জমিতে মেয়েদের জন্য ৭৫শয্যাবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রাবাস তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যে জমিগুলি আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরকে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। এরবাইরে নবগ্রামের পাকিরাডাঙা জুনিয়র হাইস্কুলে দু’টি এবং সাগরদিঘির চোরদিঘি হাইস্কুলে দু’টি আশ্রম হস্টেল তৈরি করা হবে। চারটি হস্টেলই ৫০শয্যাবিশিষ্ট হবে। যারমধ্যে দু’টি ছাত্রীদের এবং দু’টি ছাত্রদের জন্য। ইতিমধ্যে সেগুলির জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির ১০জন গ্রামবাসী প্রায় ৬৪কাঠা জমি দান করেছেন।
জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ আধিকারিক বলেন, ছ’টি হস্টেলই দোতলা হবে। সেগুলিতে হস্টেল সুপারের অফিস, অভিভাবকদের বসার জায়গা, কমন রুম, বেডরুম, লাইব্রেরি, ডাইনিং হল, কিচেন, বাথরুম সবকিছুই থাকবে।