গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
কালনার মহকুমা শাসক নীতেশ ঢালি বলেন, বেগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
বুধবার বেগপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কবিতা মাঝি বিডিও অফিসে গিয়ে প্রধান পদ থেকে ইস্তফাপত্র জমা করেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি চিঠি দিয়েছেন। ঘটনায় বেগপুর তথা কালনা-১ ব্লকজুড়ে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়েছে। আগের বোর্ডের আমলে ১কোটি ২২লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে পঞ্চায়েতের বর্তমান বোর্ড বিব্রত। এনিয়ে বেগপুর, বাঘনাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি কালনা শহরে পোস্টার পড়েছে। মূলত দুর্নীতির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের একটা অংশ এনিয়ে পোস্টার সাঁটাচ্ছেন।
১০০দিনের কাজের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেগপুর পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা নবান্নে অভিযোগ করেছিলেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত হয় এবং সবশেষে এফআইআর হয়েছে। অভিযোগকারীদের দাবি, এফআইআর দায়ের হওয়া পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকে কেতুগ্রামে বদলি করা হয়েছে। কোনওরকম বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে না। অভিযুক্ত প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ইনসান মল্লিক কালনা-১ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি সেচ ও সমবায় স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। এলাকার দাপুটে নেতা বলে পরিচিত। এজন্য পুলিস তদন্তে গড়িমসি করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
এ ব্যাপারে ইনসান মল্লিক বলেন, প্রধান শারীরিক অসুস্থতার কারণে ইস্তাফাপত্র জমা দিয়েছেন। মাস দু’য়েক আগে থেকেই তিনি দলের কাছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রধান পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। সর্বসম্মতভাবে তাঁর সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। সেইমতো এদিন তিনি বিডিও অফিসে ইস্তফাপত্র জমা করেছেন। পরবর্তী প্রধান কে হবেন তা দল ঠিক করবে।