পড়শির ঈর্ষায় অযথা হয়রানি। সন্তানের বিদ্যা নিয়ে চিন্তা। মামলা-মোকদ্দমা এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেমে বাধা।প্রতিকার: একটি ... বিশদ
ময়দানে তো বটেই, ইডেন গার্ডেনের সামনেও এদিন লম্বা হয়ে দাঁড়িয়েছিল গঙ্গাসাগরমুখী অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি বাস। যে এলাকায় মণ্ডপ বেঁধে পুণ্যার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে উঁকি দিয়ে দেখা গেল, বাক্স গুছিয়ে রওনা দেওয়ার জন্য একেবারে তৈরি বহু মানুষ। অন্যান্য দিন এখানে যেমন মেলা দেখার ভিড় থাকে, তা এদিন অনেকটাই কম ছিল। এমনকী যে সাধুরা এখানে মানুষের ভাগ্য বিচার করেন, তাঁদের তাঁবুগুলিতেও তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। পরপর কয়েকদিন অসংখ্য মানুষের ভাগ্য বিচার করে তাঁরাও যেন কিছুটা ক্লান্ত। তাই কেউ একটু ঘুমিয়ে নিচ্ছিলেন তাঁবুর ভিতর, কেউবা শামিয়ানা ছেড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ইতিউতি। যে সমস্ত নাগা সাধু গায়ে ভস্ম মেখে মেলায় আসা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন, তাঁরাও এদিন কিছুটা অন্য মেজাজে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ তলোয়ার নিয়ে ভেল্কি দেখিয়েছেন, আবার কেউ বা কোনও সাধিকার গানের তালে মাথা দুলিয়ে সময় কাটিয়েছেন।
পরপর কয়েকদিন রীতিমতো মণ্ডপ বেঁধে নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করেছিল নানা সামাজিক সংগঠন। পুরি, খিচুড়ি থেকে শুরু করে মোহনভোগ বা পায়েস পর্যন্ত খাওয়াদাওয়া চলেছে সেখানে। সেই মণ্ডপগুলির বেশিরভাগই এদিন ছিল ফাঁকা। যে ক’টি মণ্ডপে খাওয়ার আয়োজন ছিল, সেখানে অবশ্য এদিনও মানুষের লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। চত্বরের বাইরে রাস্তার ধারে সোমবারও বিক্রিবাটা হয়েছে ভালো। যাঁরা গঙ্গাসাগর মেলার দিকে পা বাড়িয়েছেন, তাঁদের অনেকেই এখান থেকে কিনে নিয়ে গিয়েছেন টুকিটাকি। শাড়ি, স্কার্ট, শার্ট, জুতো থেকে শুরু করে ব্যাগ, ন্যাপথলিন বা সেফটিপিনও বিক্রি হয়ে হয়েছে দেদার। বরং চত্বরের মধ্যে যাঁরা শাঁখ, রুদ্রাক্ষ নিয়ে বসেছিলেন, তাঁদের সেখানে বিক্রিবাটা করতে দেখা যায়নি। পুলিস বা সরকারি কর্মীরাও এদিন ছিলেন অনেকটাই চাপমুক্ত। ফলে হাল্কা গল্পগুজব আর চায়ের আড্ডাতেই সময় কেটেছে তাঁদের। সন্ধ্যা যত ঘনিয়েছে, ততই ফিকে হয়ে গিয়েছে ময়দান চত্বর। বাসে ওঠার তাড়া ও রওনা হওয়ার আনন্দে গমগমিয়ে উঠেছে রাস্তা। ফের এক বছরের প্রতীক্ষার জন্য প্রহর গুনতে শুরু করেছে বাবুঘাট সংলগ্ন ময়দান।