উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে ৬০ শতাংশর কম ভোট পড়েছিল। কিন্তু এবার তার চেয়ে অনেকটাই বেশি ভোট পড়েছে। প্রায় ৮২ শতাংশ ছাত্র ভোট দিয়েছেন এবার। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২,৩৭৭। তার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১,৯৫০ জন। এসএফআইয়ের জয়ের মার্জিন পাঁচটির মধ্যে চারটি আসনেই ২০০ ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে কিন্তু নোটা একটা ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি নোটায় ভোট পড়েছে সভাপতি এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে। দু’টি ক্ষেত্রে ২৫২টি করে ভোট পড়েছে। আর নোটায় সবচেয়ে কম পড়েছে গার্লস কমন রুমের সম্পাদক পদে। এখানে নোটায় মাত্র ৫৬টি ভোট দিয়েছেন ছাত্রীরা। এই পদে জয়ের মার্জিনও ১০০-র নীচে।
২০১০-এর পর টানা কয়েক বছর আইসি বা ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশন প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদে ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু ২০১৯-এ এসে পালা বদল হল। কেন ধরে রাখা গেল না ছাত্র সংসদ? বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের খবর, গত কয়েক বছর ধরে একাধিক শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল আইসি’র সদস্যের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে সে রকম পদক্ষেপ করেনি আইসি, এমনই অভিযোগ সাধারণ পড়ুয়াদের। ছাত্র নির্বাচনের আগে যে বিতর্কসভা হয়, সেখানেও এই প্রসঙ্গ উঠেছিল। তা নিয়ে এসএফআই এবং আইসি’র মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। অন্যদিকে, এসএফআইয়ের তরফে ভোটে জেতার জন্য পুরনো ছাত্রছাত্রীরা মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। তার ফল পেল এই বাম সংগঠন।
প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ যেভাবে এসএফআই দখল করল, তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত বামেরা। বাম ছাত্র সংগঠনের এই জয়কে তেমন একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী। এসএফআইয়ের এই জয়ে বামেরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে, এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হয়। তিনি বলেন, ঘুরে দাঁড়ানোর কী আছে। ওরা তো দাঁড়িয়েই ছিল। এর বেশি অবশ্য কিছু বলতে চাননি তিনি।