উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশ থেকে কামাখ্যা যাওয়ার জন্য ওই কোচে ছিলেন বেনারসের বাসিন্দা শুভশ্রী শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন, আমি অসমের কামাখ্যা মন্দির দর্শনে যাচ্ছিলাম। জোড়াই স্টেশনে আসার আগেই আমরা কামরা থেকে পোড়া গন্ধ পাই। পরে জানালা দিয়ে দেখি আমাদের কামরার নীচ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কামরার ভেতরে ধোঁয়া চলে আসে। আমরা কামরা থেকে নেমে রেলকর্মীদের বিষয়টি জানাই। তবে স্টেশনের পরিবর্তে চলন্ত ট্রেনে এমনটা হলে এবং আমরা লক্ষ্য না করলে বড়সড় বিপদ হয়ে যেতে পারত।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, আপ ইন্দোর-কামাখ্যা এক্সপ্রেসের এস-৭ কোচের ব্রেকের কাছে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই কারণেই ধোঁয়া বেরতে থাকে। তবে বড় কোনও দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল না। তবুও ধোঁয়া দেখে যাত্রীরা স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। ওই সমস্যা মিটিয়ে ঘণ্টাখানেক পর ট্রেনটিকে কামাখ্যার উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।
সকাল ১১টা নাগাদ ইন্দোর-কামাখ্যা ট্রেনটি জোড়াই স্টেশনে পৌঁছয়। স্টেশনে ট্রেনের গতি কমতেই যাত্রীরা লক্ষ্য করেন এস-৭ কোচ থেকে পোড়া গন্ধ বেরচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কোচের বাইরের অংশ ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। কোচেও ধোঁয়া আসতে থাকে। যাত্রীরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। ইঞ্জিন থেকে নেমে লোকো পাইলটও ঘটনাস্থলে চলে আসেন। ট্রেনের কর্মীরা এবং স্টেশন থেকে আধিকারিকরা পৌঁছতে পৌঁছতে এস-৭ কামরা থেকে ধোঁয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। ধোঁয়া কারণে যাত্রীদের মধ্যে শ্বাসকষ্টও হতে থাকে। যাত্রীরা স্টেশনেই নেমে পড়েন। কিন্তু ছোট স্টেশন থাকায় অধিকাংশ যাত্রীকেই প্ল্যাটফর্মের বাইরে ট্রেন থেকে নামতে অসুবিধায় পড়তে হয়। স্টেশন থেকে দমকলের বারোবিশা ফায়ার স্টেশনে খবর পাঠানো হয়। সেখান থেকে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ঘটনার খবর মুহূর্তের মধ্যেই গোটা গ্রামে চাউর হয়ে যায়। স্টেশনে শয়ে শয়ে লোক এসে ভিড় করে। ওই ভিড় সামাল দিতে পুলিসকে কার্যত হিমশিম খেতে হয়।