উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
গত শুক্রবার রজত জয়ন্তীতে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করার কথা ছিল অমিতাভ বচ্চনের। কিন্তু তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে আসেননি। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের দর্শক সেদিন খানিকটা হতাশই হয়েছিলেন তাঁকে না পেয়ে। কিন্তু সশরীরে হাজির না থেকেও সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সেই খামতি অনেকটাই পূরণ করে দেন বিগ বি। এদিন একটি ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হয়, যেখানে কলকাতা আসতে না পারার দুঃখকে বারবার মনে করিয়ে দেন অমিতাভ বচ্চন। বলেন, কলকাতায় আসা তাঁর কাছে বাড়ি ফেরার অনুভূতি দেয়। পাশাপাশি ‘দিদি’ মমতার উদ্দেশে বাংলার পুরনো প্রবাদ মনে করিয়ে তিনি নিজস্ব ঢঙে বলেন, তাই তাই তাই, দিদির বাড়ি যাই, দিদির বাড়ি ভারী মজা, কিল চড় নাই। এদিন দীর্ঘ ভিডিও বার্তায় অমিতাভ বচ্চন গবেষণামূলক বক্তব্য রাখেন, যার মূল বিষয়বস্তু ছিল ভারতীয় সিনেমায় ক্যামেরার পিছনে থেকে নারীর অবদান। কিন্তু সেসবের পাশাপাশি তাঁর মূল উদ্বেগ ছিল সিনেমা হলগুলির অস্তিত্ব নিয়ে। মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের স্ক্রিনেই যদি দর্শক সিনেমা দেখেন, তাহলে বড় স্ক্রিন আর মাখনের গন্ধ ভরা পপকর্নের ভবিষ্যৎ কী, সেই প্রশ্ন বারবার আনেন তিনি। বলেন, মুঘল ই আজম, গন উইথ দ্য উইন্ডের পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়ের সিনেমার আসল স্বাদ কি সত্যিই মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে পাওয়া সম্ভব? বিগ বি’র আর্জি, আমাদের সিনেমা হল ও তার গরিমা বাঁচানোর উপায় বাছতেই হবে। বিগ বি’র কথায়, চলচ্চিত্রকার তো ম্যাজিসিয়ান। সেই জাদুকরদের ধরে রাখতেই হবে।
কিন্তু যদি চলচ্চিত্র নির্মাণের স্বাধীনতাই না থাকে, তাহলে কী হবে? এদিন সেই প্রসঙ্গ তোলেন শাবানা আজমি। বলেন, এদেশে সংস্কৃতির বৈচিত্র্যকে উদযাপন করা হয়। সিনেমা কিন্তু সেই বৈচিত্র্যের সার কথা বলে। সেই কারণেই শিল্পীকে সবসময় স্বাধীনতা দিতে হবে, যেখানে তিনি তাঁর ভাবনা ব্যক্ত করতে পারেন। যদি কখনও সেই স্বাধীনতায় বাধা আসে, তাহলে তা আটকাতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই সুরেই বলেন, স্বাধীনতা ভীষণভাব দরকার। স্বাধীনতাই শক্তি জোগায়। ভবিষ্যতেও যাতে সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার অটুট থাকে, তার জন্য আমরা সবসময় সজাগ থাকব। বাংলায় সব ধর্ম ও জাতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এখানে গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সেই কারণেই বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাটির নাম বাংলা। এখানে মানুষই স্তম্ভ।
এদিন বেশ কয়েকটি ছবিকে পুরস্কার দেওয়া হয় সমাপ্তি অনুষ্ঠানে। জাইরো বাস্টামান্টে পরিচালিত দি উইপিং উওম্যান সিনেমাটি সেরা আন্তর্জাতিক সিনেমা হিসেবে পুরস্কার পায়। অর্থমূল্য ছিল ৫১ লক্ষ টাকা। আন্তর্জাতিক সিনেমায় সেরা পরিচালকের পুরস্কার পান ভ্যাকলাভ মারহউল। পুরস্কারের অর্থমূল্য ২১ লক্ষ টাকা।