উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমাদের কাছে যে রিপোর্ট আছে, তার ভিত্তিতে বলছি, ধর্ষণের ঘটনা এখনও প্রমাণিত হয়নি। মেডিক্যাল রিপোর্ট উদ্ধৃত করে লীনাদেবী বলেন, মহিলার গোপনাঙ্গে রক্ত ও ক্ষত কিছুই নেই। আরও দুটি রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত করে বলতে পারব ধর্ষণ হয়েছে কি না। রাজ্য মহিলা কমিশনের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, জাতীয় বা রাজ্য মহিলা কমিশন কেউ আমাদের কাছে রিপোর্ট চায়নি। আমরাও কাউকে কোনও রিপোর্ট দেইনি। ফলে কীসের ভিত্তিতে কে কী বলছেন, তার দায় আমাদের নয়।
স্বাভাবিকভাবে রাজ্য মহিলা কমিশনের এই বক্তব্যের পর জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য চন্দ্রমুখীদেবী হোম পরিদর্শন করে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। জাতীয় মহিলা কমিশনের অভিযোগ, পার্ক স্ট্রিটের মতো এই গণধর্ষণকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার দুপুরে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা পুলিস প্রশাসনকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, রাত সাড়ে দশটার সময় শহরের রাস্তা থেকে কোনও মহিলাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হলে কলকাতায় মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়? পাশাপাশি, ওই হোমের বৈধ নথি না থাকা সত্ত্বেও ২২ বছর ধরে তা চলছিল কী করে?
নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্ট বা সত্যি গণধর্ষণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ খুলতে চাননি কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা। শুক্রবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত তিনদিন ধরে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করাটাই আমাদের তদন্তের একমাত্র ফোকাস। গণধর্ষণকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রায় ১০০টি সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করে তদন্ত এগচ্ছে। যার ভিত্তিতে আমরা এই অপরাধের পুনর্নির্মাণ করছি। দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যা এদিন বিকেলে লালবাজারে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন। এই বৈঠকে চন্দ্রমুখীদেবী অভিযোগ করেন, ঘটনার এত দেরিতে কেন গোপন জবানবন্দি হবে? এই প্রসঙ্গে লালবাজারের দাবি, নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি ১৯ তারিখে হওয়ার কথা রয়েছে। এটা আদালত ঠিক করে। এক্ষেত্রে পুলিসের কিছু করার নেই।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতিতার মায়ের মৃত্যু স্বাভাবিক বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, নির্যাতিতাকে যে হোমে রাখা হয়েছে, তার বাইরে সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা নজরদারি চালাচ্ছেন।