উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
হাসপাতালের চিকিৎসক সমরেশ পন্ডিত বলেন, বাচ্চাদের অপারেশন করতে হলে তাদের অজ্ঞান করে অপারেশন করতে হয় এবং সেক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত শিশু চক্ষু সার্জেনরাই এই ধরনের চিকিৎসা করেন। সেই কারণে আমরা সৌরভকে কলকাতার মেডিকেল কলেজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিই। মেডিকেল কলেজে চোখ দেখানোর পর অপারেশনের তারিখও নির্দিষ্ট হয়ে যায়। যদিও অপারেশনের আগে ওই ডাক্তার অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ায় সৌরভের পরিবার চিকিৎসা না করিয়ে গ্রামে ফিরে আসে এবং আমাদের হাসপাতালেই অপারেশন করার জন্য অনুরোধ করেন।
তিনি আরও বলেন, এরপরে হাসপাতালের অ্যানাসথেসিস্ট ডাঃ অশোক খাঁড়া এবং অভিজ্ঞ চক্ষু বিশেষজ্ঞ অনুপ গোস্বামী সাহস দেওয়ায় সৌরভের চোখের অপারেশন করতে রাজি হই। তবে তাঁর মতে, অপারেশন বড়ো কথা নয় সবকিছুই ছাপিয়ে গিয়েছে বাচ্চাটার সাহস। তিনি জানান, সৌরভকে অজ্ঞান করার কথা বলতে সে বলল অজ্ঞান করতে হবে না, আমি ব্যথা সহ্য করতে পারব। সেইমত লোকাল অ্যানাসথেসিয়া দিয়ে মাইক্রোসার্জারি করা হয় এবং লেন্স লাগানো হয়। পরেরদিন সৌরভ যখন নিজেই জানাল সে ভালোভাবে দেখতে পারছে, তখন আমাদের মন আনন্দে ভরে উঠেছে। তিনি জানান, আমার চিকিৎসা জীবনে এই ধরনের সাহসী বাচ্চা এই প্রথম দেখলাম।