উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
উত্তরপাড়া থানার পুলিস লাঠিচার্জের কথা অস্বীকার করেছে। পুলিসের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। কোন্নগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, শান্তিপূর্ণ আলোচনার পরিবেশে পুলিসের লাঠিচার্জ অনভিপ্রেত ছিল। বিরাট সংখ্যক মানুষের খেলার মাঠের দাবি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করে পুলিস পদক্ষেপ করলে ভালো করত। অন্যদিকে জমির মালিক অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১৯৮৫ সাল থেকে জমিটি নিয়ে মামলা চলছে। অবশেষে আমরা জমির দখল পেয়েছি। স্থানীয় একটি ক্লাব ও কিছু মানুষ এই বিরাট জমি লুটে নিতে না পেরে এসব বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিরকুলে প্রায় একবিঘের উপরে ওই বিতর্কিত জমিতে দীর্ঘ বছর ধরে স্থানীয়স্তরের খেলাধুলো হয়। পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই জমি কার্যত চার-পাঁচটি ওয়ার্ডের একমাত্র খেলার জায়গা। কিন্তু, জমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে জমির মালিকের আইনি বিবাদ চলছিল। সম্প্রতি আদালত চন্দননগর কমিশনারেটকে ওই জমি মালিকপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া নির্দেশ দেয়। সেই মোতাবেক এদিন বিরাট পুলিসবাহিনী জলকামান, র্যা ফ সহ এলাকায় আসে। আগে থেকে জমির দখল নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় স্থানীয় মানুষদের একটি অংশ এলাকায় বিক্ষোভের জন্যে জড়ো হয়েছিল। পুলিস এলে তারা বাধা দেয়।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কাউন্সিলারও জনতার দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেই এলাকায় এলেও তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি মেটানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু, আচমকা পুলিসের সঙ্গে বচসা থেকে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং জনতা-পুলিস খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিস ব্যাপক লাঠি চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে। বিক্ষোভকারীদের একাংশ মাঠ থেকে সরে গিয়ে জি টি রোড অবরোধ করে। পরে তা আলোচনার মাধ্যমে উঠে গেলেও পুলিসের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।