উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
এদিনের এই অভিযান দেখে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এতদিন পুরসভা কোথায় ছিল? তাহলে শহরে চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না। যদিও পুরসভার কর্তাদের সাফাই, বিভিন্ন বরো অফিসকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, কেউ কেউ কাজে গাফিলতি করেছে। সেই কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে সালকিয়ার বাঁধাঘাট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশেষ অভিযান শুরু করে পুরসভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিস কমিশনার গৌরব শর্মা, হাওড়া পুরসভার কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা প্রমুখ। এদিন শহরকে ১২টি জোনে ভাগ করে ২০ জন করে পুরসভার কর্মী জঞ্জাল সাফাই, নর্দমা পরিষ্কার, ব্লিচিং পাউডার ছিটানো ও ফগিংয়ের কাজ করেন। প্রতিটি জোনে একজন করে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার অফিসার কাজের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদের সহযোগিতা করেছেন পুরসভার হেলথ অফিসাররা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিনই শহরের ৪৪টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছ থেকে ফিডব্যাক রিপোর্ট পাওয়ার পর তা আগামী ১৫ দিন চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, প্রতি বছর এই সময় গোটা রাজ্যেই ডেঙ্গু হয়। হাওড়াতেও হয়েছে। আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। সেইমতো এদিন অভিযান চালিয়েছি। আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ খতিয়ে দেখেছি। শহরের মানুষকে যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয়, তা পুরসভা দেখবে।
হাওড়া শহরের ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৪টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। প্রতিটি ওয়ার্ডেই বাসিন্দারা জ্বরে ভুগছেন। কিন্তু, ওই ৪৪টি ওয়ার্ডে মানুষ বেশি সংখ্যায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে উত্তর হাওড়া সবচেয়ে বেশি। দক্ষিণ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকাতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এদিন সালকিয়ার বাঁধাঘাট থেকে এই বিশেষ অভিযান শুরু হয়। পাশাপাশি অন্যান্য এলাকাতেও পুরসভার কর্মীরা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সাফাই অভিযান চালান। বাঁধাঘাট থেকে এই অভিযান শুরু হয়ে ফুলতলা ঘাট, জে এন মুখার্জি রোড হয়ে এই অভিযান শেষ হয়। মূলত উত্তর হাওড়ার ১ থেকে ৫ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১২, ১৩, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সম্প্রতি ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। আবার বেলগাছিয়া এলাকাতেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। সেখানেও এদিন সাফাই অভিযান চালানো হয়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ দিন এই অভিযান নিয়মিত চালানো হবে। সেইমতো ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটরা রিপোর্ট দেবেন। ঠান্ডা ভালো রকম না পড়া পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে বলে পুরসভার কর্তারা মনে করছেন। তাই ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যাতে এই অভিযান চালিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তার চেষ্টা করা হবে।