কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুর থেকে। নাইরোবির ব্যস্ততম এলাকার পাঁচতারা হোটেলে এক আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে উড়িয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই হোটেল চত্বরে ঢুকে পড়ে কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি। ঢুকেই তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। হোটেলের ১০১টি রুমের পাশাপাশি স্পা, রেস্তরাঁ এবং অফিস বিল্ডিংও নিমেষের মধ্যে জঙ্গিদের কবলে চলে আসে। হোটেলে তখন অতিথিদের পাশাপাশি অনেক সাধারণ মানুষও ছিলেন। তাঁরা ছুটে গিয়ে অফিস বিল্ডিংয়ে আত্মগোপন করেন। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলি এবং আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কয়েকজন বিদেশি সহ ১৫ জন প্রাণ হারান। মার্কিন দূতাবাস দাবি করেছে, এই হামলায় তাদেরও এক নাগরিক মারা গিয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, চারজন কালো পোশাকধারী সশস্ত্র জঙ্গি হোটেল চত্বরে ঢুকছে। তাদেরই মধ্যে একজন আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়।
প্রায় ১২ ঘণ্টার বেশি জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি থাকার পর একশোর বেশি মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় বলে কেনিয়া পুলিস জানায়। বুধবার ভোররাতে ফের একবার তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। টানা ২০ ঘণ্টার বেশি অপারেশন চলার পর কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনয়াত্তা ঘোষণা করেন, হোটেল চত্বরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শেষ। আমি নিশ্চিত সব ক’টি জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে বলেন, কয়েকজন জঙ্গির জন্য আমরা ১৫টি নির্দোষ মানুষকে হারালাম। জখমও হয়েছেন কয়েকজন।
কেনিয়াতে আল-শাহবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলা এই প্রথম নয়। ২০১১ সালে সোমালিয়ায় জেহাদি সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সেনা পাঠানোর পর থেকেই কেনিয়াতে ক্রমাগত আক্রমণ করছে আল-শাহবাব। ২০১৩ সালে নাইরোবির একটি শপিংমলে বন্দুকবাজের গুলিতে ৬৭ জন প্রাণ হারান। এরপর ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল পূর্ব কেনিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহবাবদের হামলায় নিহত হন ১৪৮ জন।