কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘সংসদ সরকারের উপর আস্থা রেখেছে। সাংসদরা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, কী কী তাঁরা চান না। এখন সংসদের চাহিদা মেনে আমাদের একসঙ্গে গঠনমূলক উদ্যোগ নিতে হবে।’ এই কাজ যে সোজা নয়, সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এদিন রাত থেকেই সমস্ত পার্টির নেতাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করার কথা তাঁর। বৈঠক করবেন সমস্ত এমপি ও শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গেও। এদিকে, মানুষ এখনও ব্রেক্সিট চায় কি না, তা জানা উচিত বলে একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রে চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছেন ১৭০ জনেরও বেশি শিল্পপতি। মূলত, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত নিয়েই আপত্তি তুলেছেন বিরোধীরা। ২০১৬ সালে গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার প্রস্তাব পাশ হয়। তারপর গত ২ বছর ধরে ইইউ-র সঙ্গে দর কষাকষি চলছে টেরিজা মে’র। ইইউ-র কাস্টমস ইউনিয়ন ও একক বাজার নীতি ব্রিটেনে চালু থাকার প্রশ্নের পাশাপাশি, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সীমান্ত নিয়েই আপত্তি তুলেছেন বিরোধীরা। খসড়া অনুযায়ী ওই সীমান্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি চালু থাকবে। যা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মাঝরাতে খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ব্রিটিশ সংসদে হওয়া ভোটাভুটিতে ৪৩২-২০২ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন মে। আধুনিক ব্রিটেনের ইতিহাসে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী সংসদে ভোটাভুটিতেই এত বড় ব্যবধানে হারেননি। তারপর বুধবারই টেরিজা মে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। প্রত্যাশামতো তাতে মাত্র ১৯টি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে মে’র সরকার। অন্যদিকে, খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটিশ সংসদে অনুমোদন না পাওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবারও বিকল্প চুক্তি সংসদের অনুমোদন না পেলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথে হাঁটতে পারেন মে। আর তা একেবারেই চাইছে না ইইউ। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জাঁ-ক্লদ জাঙ্কার জানিয়েছেন, ‘সময় প্রায় শেষ। ব্রিটেন কী চাইছে, তা যত শীঘ্র সম্ভব স্পষ্টভাবে জানানোর আর্জি জানাচ্ছি।’ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট তাঁরা না চাইলেও ইউরোপীয় কমিশন ইইউকে সব রকমভাবেই প্রস্তুত রাখতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘আমাদের হাতে এখনও আলোচনা করার জন্য সময় রয়েছে। এখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কী প্রস্তাব দেন, তার জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’ তবে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের জন্য যে তাঁরা তৈরি সেকথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁ কিন্তু ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনা করে বিচ্ছেদের সময় পিছনোর পক্ষপাতী।