কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ধর্ম ও জাতিগত হিংসায় অশান্ত থাইল্যান্ড। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত হিংসায় প্রাণ হারিয়েছেন উভয় গোষ্ঠীর বহু মানুষ। মৃত্যুর মিছিল সবচেয়ে বেশি দেখেছে দক্ষিণ প্রান্তের প্রদেশগুলি। এবং সফট টার্গেট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সরকারের তরফে নিরাপত্তা জোরদার করায় দক্ষিণের নারথিওয়াট সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশে খানিক থমকে ছিল হিংসার তাণ্ডব। গত কয়েকদিন ফের মাথাচাড়া দিয়েছে জাতিগত সঙ্ঘাত। এদিনের বৌদ্ধমঠে হামলা তারই ফলশ্রুতি বলে মনে করছে থাইল্যান্ডের মানবাধিকার সংগঠনের পর্যবেক্ষকরা।
নারথিওয়াট প্রদেশের শীর্ষ পুলিসকর্তা পাকড়ি প্রিচাচোং জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটা নাগাদ হামলাকারী ওই মঠে ঢোকে। কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল তার মুখ। হাতে ছিল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। নিরাপত্তা এড়িয়ে নির্জন পথ দিয়ে সে মঠের ভিতর প্রবেশ করে। আততায়ীর উপস্থিতি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি নিরাপত্তারক্ষী কিংবা বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা। অত্যন্ত কাছ থেকে তাঁদের লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় ওই হামলাকারী। মঠের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন দুই সন্ন্যাসী। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। অপর দু’জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে নারথিওয়াট প্রদেশেই এক ইমামকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা তারই পাল্টা কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তবে পুলিস জানিয়েছে, বৌদ্ধ মঠে হামলার তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।