কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ১টা নাগাদ একটি কালো প্রাইভেট গাড়িতে চেপে কয়েকজন দুষ্কৃতী ৬ নং জাতীয় সড়কের ধারে বাগনানের দেউলটিতে শরৎ ও ওড়ফুলির গ্রাম পঞ্চায়েতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হাজির হয়। গাড়ি থেকে নেমে কয়েকজন যুবক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। ওই সময়ে দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী ঘুমিয়ে ছিলেন। স্থানীয় তৃণমুল কর্মীদের অভিযোগ, ঘটনায় দলীয় কার্যালয়ে থাকা কর্মীরা প্রাথমিকভাবে হকচকিয়ে যায়। কিন্তু পরে তারা দুষ্কৃতীদের তাড়া করলে বাকিরা পালিয়ে গেলেও পতাকি কুমড়া নামে এক দুষ্কৃতী ধরা পড়ে যায়। এরপরেই তাঁরা বাগনান থানায় খবর দিলে পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধৃতকে গ্রেপ্তার করে।
বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে এলাকায় গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। তাই আমরা বাগনান বিধানসভা এলাকায় বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়ে রাতে অফিস পাহারার জন্য কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। শনিবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী দলীয় কার্যালয়ের সামনে বোমাবাজি করার সময়ে দলের কর্মীরা একজনকে ধরে ফেলে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। অরুণাভবাবু বলেন, ঘটনার তদন্ত করে আর কারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারের জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
যদিও বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রত্যূষ মণ্ডলের দাবি, তৃণমূল এখন সব জায়গায় বিজেপির ভূত দেখছে। তাঁর অভিযোগ, পুরো ঘটনাটাই সাজানো। প্রত্যূষবাবুর দাবি, যদি কোনও দুষ্কৃতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে তাহলে সে দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে হামলা না করে বাইরে বোমাবাজি করবে কেন। আসলে এখানে কোনও অজুহাত না পেয়ে বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য শাসক দল এই ধরনের নাটক করছে।