বৃহস্পতিবার, 17 জুলাই 2025
Logo
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

পহেলগাঁওয়ের হামলায় পুলিসের দেওয়া স্কেচ আসল জঙ্গিদের নয়!

 পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হামলার পর কেটে গিয়েছে দু’মাসের বেশি। কিন্তু ঘাতকরা বেমালুম উধাও। তাদের ধরতে পারেনি প্রশাসন। বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদি সরকার। 

পহেলগাঁওয়ের হামলায় পুলিসের দেওয়া স্কেচ আসল জঙ্গিদের নয়!

নয়াদিল্লি: পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হামলার পর কেটে গিয়েছে দু’মাসের বেশি। কিন্তু ঘাতকরা বেমালুম উধাও। তাদের ধরতে পারেনি প্রশাসন। বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদি সরকার। এনআইএ তদন্তে শুধু জানা গিয়েছে, ওই জঙ্গি হামলায় জড়িত তিনজনই পাকিস্তানি। কোনও স্থানীয় ওই হামলায় জড়িত ছিল না। সম্প্রতি এই ঘটনার তদন্তে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে পারভেজ আহমেদ জোথার ও বশির আহমেদ জোথার নামে পহেলগাঁওয়ের দু’জন স্থানীয় বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এবং ধোঁয়াশা। কারণ, হামলার পরই জম্মু-কাশ্মীর পুলিস জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করেছিল। সেখানে ছিল স্থানীয় এক জঙ্গির নাম। কিন্তু ওই স্কেচের সঙ্গে হামলাকারীদের মিল নেই বলে এনআইএ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। ফলে ঘাতকদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। ওই তথ্যকে হাতিয়ার করে ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রের গাফিলতির অভিযোগেও সরব হয়েছে তারা। 
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলার দু’দিন পর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিস জড়িত জঙ্গিদের স্কেচ প্রকাশ করে। এদের মধ্যে একজন ছিল স্থানীয়, আদিল হুসেন ঠোকর। অন্য দু’জন পাক নাগরিক হাশিম মুশা এবং আলি ভাই ওরফে তালহা। যদিও প্রতিবেদনে এনআইএ সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ওই স্কেচের কেউই পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত ছিল না। এনআইএ’র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জেরার সময় হামলায় জড়িত জঙ্গিদের পরিচয় জানিয়েছে পারভেজ ও বশির। পহেলগাঁওয়ের ঘাতকরা সবাই পাকিস্তানি ও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তোইবার সদস্য।  
সংবাদমাধ্যমে ওই প্রতিবেদন অনুসারে, পহেলগাঁও কাণ্ডে সন্দেহভাজন পাকিস্তানি জঙ্গি সুলেমান শাহ ২০২৪ সালে জো-মোরে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজে নিযুক্তদের উপর হামলায় যুক্ত ছিল। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তার শাগরেদ জুনেইদ রমজান ভাট পুলিসের অপারেশনে নিহত হয়। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত ফোনে পাওয়া ছবির ভিত্তিতে ওই স্কেচ তৈরি করা হয়েছিল। পারভেজ ও বশিরকে গ্রেপ্তারের পর তাদের জুনেইদের ফোন থেকে প্রাপ্ত অন্য সব ছবি দেখায় এনআইএ। ওই ছবি দেখে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিদের পরিচয় জানিয়েছে ধৃতরা। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীও ওই জঙ্গিদের চিহ্নিত করেছেন। পারভেজ ও বশিরকে জম্মুর আদালতে তোলা হলে ইতিমধ্যেই তাদের পাঁচদিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু উত্তাপ বেড়েছে এখানেই। কারণ, এই প্রতিবেদন তুলে ধরেই কংগ্রেস মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। তাদের প্রশ্ন, আগে যে স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছিল, তা কি শুধু মুখরক্ষার কথা ভেবে? সঠিকভাবে কেন ওই স্কেচ প্রকাশ করা হল না? তাহলে কি পুলিসকে চাপ দেওয়া হয়েছিল? জম্মু-কাশ্মীর পুলিস তো সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। তাহলে এর দায় কেন্দ্র কেন নেবে না? এর সঙ্গেই কংগ্রেস জানতে চেয়েছে, তাহলে পহেলগাঁওয়ের ঘাতক কারা? তারা এখন কোথায়? দু’মাস পরেও কেন তাদের ধরা গেল না? 

রাশিফল