শনিবার, 14 জুন 2025
Logo
  • শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

ভারতে তিনটি হামলায় যুক্ত লস্করের শীর্ষ জঙ্গি সইফুল্লা খালিদ খতম

 ভারতে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টারমাইন্ড। লস্কর-ই-তোইবার শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি সইফুল্লা খালিদ এবার খতম। রবিবার বিকেলে পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের মাতলিতে ফালকারা চকের কাছে তিন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে ঝাঁঝরা ভারতের অন্যতম এই ওয়ান্টেড জঙ্গি। 

ভারতে তিনটি হামলায় যুক্ত লস্করের শীর্ষ জঙ্গি সইফুল্লা খালিদ খতম

নয়াদিল্লি: ভারতে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার মাস্টারমাইন্ড। লস্কর-ই-তোইবার শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি সইফুল্লা খালিদ এবার খতম। রবিবার বিকেলে পাকিস্তানের সিন্ধুপ্রদেশের মাতলিতে ফালকারা চকের কাছে তিন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর গুলিতে ঝাঁঝরা ভারতের অন্যতম এই ওয়ান্টেড জঙ্গি। 
ভারতের মাটিতে বড় ধরনের তিনটি সন্ত্রাসবাদী হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উঠে এসেছে খালিদের নাম। ২০০৮ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই পাকিস্তানি জঙ্গি। ওই হামলায় সাতজন সিআরপিএফ জওয়ান ও এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়। ২০০৬ সালে খালিদের পরিকল্পনাতেই হামলা হয় নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) সদর দপ্তরে। তিন জঙ্গিকে অবশ্য নিকেশ করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেসে আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলাকালীন হামলায় চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলাতে মৃত্যু হয়েছিল অধ্যাপক মণীশচন্দ্র পুরীর। এছাড়াও জখম হয়েছিলেন চারজন।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ২০০০ সালের প্রথম দিকে পাকিস্তান থেকে নেপালে আসে খালিদ। সেখান থেকেই ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা করে সে। ভুয়ো পরিচয় পত্র জোগাড় করে বিনোদ কুমার ওরফে সেলিম আবার কখনও রাজাউল্লা নিজামানি নাম নিয়ে সন্ত্রাসবাদী কর্যকলাপ চালিয়ে যায়। নেপালে স্থানীয়কে এক মহিলাকে খালিদ বিয়েও করে। ইন্দো-নেপাল সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিদের অর্থ সাহায্য ও রসদের জোগানও দিত সমানতালে। ছিল লস্করের নেপাল মডিউলের দায়িত্বে। কিন্তু গোয়েন্দা তৎপরতায় নেপাল মডিউলের খবর প্রকাশ পেতেই পরবর্তীতে পাকিস্তানে ফিরে যায় খালিদ। তারপর নিয়মিতভাবে লস্করের হয়ে অর্থ সংগ্রহ, জঙ্গিদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। লস্করের মুখ্য কোষাধ্যক্ষ আজম চিমা ওরফে বাবাজি এবং ইয়াকুবের ঘনিষ্ঠ হল খালিদ। পাশাপাশি জামাত-উদ-দোয়ার শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি ইউসুফ মুজ্জামিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরের লস্করের কমান্ডার মুজাম্মিল ইকবাল হাসমি এবং মহম্মদ ইউসুফ তৈবির সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এই জঙ্গি নেতার। এদিন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খালিদকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে তাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে সিন্ধুপ্রদেশের পুলিস।