রবিবার, 20 জুলাই 2025
Logo
  • রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

বিশ্বের নজর এখন মার্কিন নৌসেনার ফিফথ ফ্লিটের উপর

ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা। তেহরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ‘সবসময়ের বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ট্রাম্পের দেশ।

বিশ্বের নজর এখন মার্কিন নৌসেনার ফিফথ ফ্লিটের উপর

নয়াদিল্লি: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে আমেরিকা। তেহরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ‘সবসময়ের বন্ধু’ ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ট্রাম্পের দেশ। দু’দশকে এই প্রথম পশ্চিম এশিয়ার সংঘর্ষে নিজেদের জড়াল আমেরিকা। ইরানও জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকাকে এই হামলার মূল্য চোকাতে হবে। বিবিসির খবর অনুযায়ী, ইরানের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পশ্চিম এশিয়ায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হল বলে। এই অবস্থায় সকলের নজর বাহরিন, ইরাক, কাতার, কুয়েত, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দিকে। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশগুলিতে রয়েছে মার্কিন সেনার ঘাঁটি। এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বাহরিনের মিনা সলমন সমুদ্র সৈকত। এখানেই রয়েছে মার্কিন নৌসেনার সবচেয়ে গর্বের ফিফথ ফ্লিটের হেডকোয়ার্টার। 
পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন নৌসেনার কমান্ড হাব এই ফিফথ ফ্লিট। বাহরিনের মানামার সলমন পোর্ট থেকেই পারস্য উপসাগর, লোহিত সাগর, আরব সাগর সহ ভারত মহাসাগরের বিরাট অংশের দায়িত্ব রয়েছে মার্কিন নৌসেনার এই শাখার হাতে। ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার ছড়িয়ে রয়েছে এর কাজের পরিধি। সবথেকে বড় কথা এর আওতায় রয়েছে হরমুজ প্রণালী এবং বাব এল-মেনেদের মতো গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ। 
সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে মার্কিন নৌসেনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই ফিফথ ফ্লিট। অ্যাডমিরাল রেমন্ড স্প্রুন্সের নেতৃত্বে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিতে প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে আমেরিকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে হলে ১৯৪৭ সালে ফিফথ ফ্লিট বিলুপ্ত করা হয়। উপসাগরীয় যুদ্ধের পরে  ১৯৯৫ সালে আবার ফিফথ ফ্লিটকে পুনরুজ্জীবিত করে পশ্চিম এশিয়ায় স্থায়ীভাবে মোতায়েন করা হয়।

রাশিফল