কাশ্মীরের পরিবহণ ব্যবসায়ীরা বিপাকে
পহেলগাঁওয়ের সবুজ উপত্যকার সেই রক্তাক্ত দৃশ্য এখনও ভুলতে পারছে না দেশবাসী। কাশ্মীর ভ্রমণ যেন দুঃস্বপ্ন। প্রতিদিন গুচ্ছ গুচ্ছ টিকিট বাতিল হচ্ছে।
বিশেষ সংবাদদাতা, শ্রীনগর: পহেলগাঁওয়ের সবুজ উপত্যকার সেই রক্তাক্ত দৃশ্য এখনও ভুলতে পারছে না দেশবাসী। কাশ্মীর ভ্রমণ যেন দুঃস্বপ্ন। প্রতিদিন গুচ্ছ গুচ্ছ টিকিট বাতিল হচ্ছে। পর্যটন ব্যবসার পাশাপাশি পরিবহণ ব্যবসার উপরও তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। মাসখানেক আগেও সদাব্যস্ত শ্রীনগর ট্যুরিস্ট রিসেপশন সেন্টারের বাইরেরটা এখন যেন খাঁ খাঁ করছে। মে মাসের দুপুরেও ধুলো জমতে শুরু করেছে গাড়িগুলিতে। নতুন বুকিং নেই। কেউ গাড়ি ভাড়া করার কথাও বলেন না। অথচ মাসে মাসে ব্যাঙ্কঋণের ইএমআইয়ের টাকা গুনে যেতে হচ্ছে পরিবহণ ব্যবসায়ীদের। ‘পর্যটকরা আসছেন না। গতবছর ব্যাঙ্ক থেকে ১২ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে একটি টেম্পো ট্রাভেলার কিনেছিলাম। জানি না এবার কী হবে?’ মাথা চুলকোতে চুলকোতে বলছিলেন বছর সাতাশের বিলাল আহমেদ। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কথায়, শ্রীনগর, পহেলগাঁও ও গুলমার্গের অনেকে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে গাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু এখন সব শেষ। অল কাশ্মীর টেম্পো ট্রাভেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য, পর্যটন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে কাশ্মীরে প্রায় ২৮ হাজার বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচল করে। এর মধ্যে প্রায় ২০ হাজারই ব্যাঙ্ক থেএক ঋণ নিয়ে কেনা। এখনও ইএমআই দিতে হচ্ছে। তাই চিত্রটা খুবই ভয়ানক!
