নামল হিজবুল্লা-হামাস, বধ্যভূমি হতে চলেছে পশ্চিম এশিয়া?
‘হামলার প্রতিশোধ নেব। ওদের পালানোর কোনও পথ নেই।’ মার্কিন হামলার পরই সরাসরি এই বার্তা আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে পৌঁছে দিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
জুন ২৪, ২০২৫
নয়াদিল্লি: ‘হামলার প্রতিশোধ নেব। ওদের পালানোর কোনও পথ নেই।’ মার্কিন হামলার পরই সরাসরি এই বার্তা আন্তর্জাতিক দুনিয়ার কাছে পৌঁছে দিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)। আমেরিকা ও ইজরায়েলকে যে ছেড়ে কথা বলা হবে না, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা। কিন্তু কোন পথে প্রত্যাঘাত? সেটাই এখন মূল প্রশ্ন। ইজরায়েলের উপর আক্রমণের ঝাঁঝও একধাক্কায় বাড়িয়ে দিয়েছে ইরান। কিন্তু রণকৌশল এখানেই শেষ নয়। প্রতিশোধ নিতে তারা ফের ‘প্রতিরোধ অক্ষ’কে পুনর্জীবিত করছে তারা। প্রতিরোধ অক্ষ বা অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্স কী? দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও কট্টরপন্থী শক্তিগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে ইরান। এর মধ্যে অন্যতম প্যালেস্তাইনের হামাস, লেবাননের হিজবুল্লা, সিরিয়ার ফতেমিয় ব্রিগেড, ইরাকের আল-বদর এবং ইয়েমেনের হুথি। উদ্দেশ্য, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ করা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এই অক্ষ কোনওদিনই জমাট বাঁধেনি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে হামাস, হিজবুল্লা ও হুথি বারবারই ইজরায়েলকে আক্রমণ করেছে। কৌশলগতভাবে সমর্থন জুগিয়েছে ইরানকে। এর মধ্যে গাজা ভূখণ্ড নিয়ে হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাত এখনও চলছে। সম্প্রতি ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে তেল আভিভ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল হুথি জঙ্গিরা। কিন্তু এবার সব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে নিয়ে একযোগে হামলার পরিকল্পনা শুরু করেছে তেহরান। সম্প্রতি ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি লেবাননে গিয়ে হিজবুল্লা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। সেখানে হিজবুল্লাকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে এসেছেন আরাঘচি। মার্কিন হামলার পর রবিবার ইরানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে হামাসও। তারা জানিয়েছে, এভাবে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে আমেরিকা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইরান যদি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলিকে একজোট করতে পারে, সংঘাতের মাত্রা আরও বাড়বে। তখন শুধু ইরান-ইজরায়েল নয়, পশ্চিম এশিয়ার বাকি দেশগুলিও এই যুদ্ধে জড়াবে। পাল্লা দিয়ে বাড়বে প্রাণহানির সংখ্যা। ফলে পুরো পশ্চিম এশিয়া বধ্যভূমিতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আমেরিকাকেও যে ছেড়ে কথা বলা হবে না, সেই ইঙ্গিত দিয়েছে আইআরজিসি। এদিন তারা ফের জানিয়েছে, পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যে মার্কিন সেনাঘাঁটি রয়েছে, সেগুলি আদতে ওয়াশিংটনের শক্তি নয়। দুর্বলতা। এত দেশে মার্কিন সেনা ছড়িয়ে থাকায় আমেরিকার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। আগেও ইরান জানিয়েছিল, পশ্চিম এশিয়ার মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলি তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যেই আছে।
related_post
অমৃত কথা
-
অবিদ্যা
- post_by বর্তমান
- জুলাই 17, 2025
এখনকার দর
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুলাই 16, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুলাই 16, 2025
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুলাই 17, 2025