শনিবার, 19 জুলাই 2025
Logo
  • শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

ওড়িশার গোপালপুরের সৈকতে বন্ধুকে বেঁধে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ, ধৃত ১০

বন্ধুর সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী। দুষ্কৃতীরা প্রথমে তরুণীর বন্ধুকে মারধর করে বেঁধে রাখে। তারপর তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। 

ওড়িশার গোপালপুরের সৈকতে বন্ধুকে  বেঁধে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ, ধৃত ১০

ভুবনেশ্বর: বন্ধুর সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার তরুণী। দুষ্কৃতীরা প্রথমে তরুণীর বন্ধুকে মারধর করে বেঁধে রাখে। তারপর তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলার গোপালপুরে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে চারজন নাবালক। এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের আমলে রাজ্যের নারী সুরক্ষার বেহাল দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস ও বিজেডি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে সরব হয়েছেন ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। 
 ওড়িশায় রাজা উৎসব চলছে। সেইসূত্রেই রবিবার সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে গোপালপুর সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তরুণী। নির্জন স্থানে বসেছিলেন দু’জনে। সেইসময় তিনটি বাইকে চেপে সেখানে পৌঁছয় দশজন। শুরুতে অভিযুক্তরা তাঁদের বিরক্ত করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর  দু’জনের ছবি তুলে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনকী তাঁদের কাছ থেকে টাকাও দাবি করে। তরুণী ও তাঁর বন্ধু বাংরবার নিষেধ করলেও কোনও কথা শোনেনি দুষ্কৃতীরা এরইমধ্যে তরুণীর বন্ধুর উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। মারধর করে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। তরুণীকে একটু দূরে পরিত্যক্ত জায়গায় টেনে নিয়ে গিয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে নির্যাতন। পরে তরুণীকে ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
কিছুক্ষণ পর কোনওরকমে থানায় পৌঁছে ঘটনার কথা জানান নির্যাতিতা ও তাঁর বন্ধু। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। ইতিমধ্যেই দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে বেরহামপুরের এসপি সারাবানা বিবেক এম জানিয়েছেন, পৃথক পৃথক দল গঠন করে অভিযুক্তদের পাকড়াও করা হয়েছে। 
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন নবীন পট্টনায়েক। তিনি বলেন, ওড়িশার অন্যতম পর্যটনস্থল গোপালপুরে গণধর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তা রাজ্যবাসীর বিবেকে আঘাত হেনেছে। এই ঘটনায় রাজ্যের পর্যটনস্থলগুলিতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। মহিলাদের উপর ক্রমবর্ধমান এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সরকারের। ঘটনায় বিজেপি শাসিত সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক সোফিয়া ফির‌দৌস। তাঁর কথায়, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। গণধর্ষণের ঘটনা তারই প্রমাণ। আসলে নাগরিকদের সুরক্ষা প্রদানে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ বর্তমান বিজেপি সরকার।

রাশিফল