নিশানায় ছিল দিল্লি, শাহিন মিসাইলের হামলা ব্যর্থ করে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম
অপারেশন সিন্দুরে তখন বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন সেনাঘাঁটি। পাক সেনার ছোড়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনকে আকাশেই আটকে দিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

বর্তমান ওয়েবডেস্ক
মে ২০, ২০২৫
নয়াদিল্লি: অপারেশন সিন্দুরে তখন বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বিভিন্ন সেনাঘাঁটি। পাক সেনার ছোড়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনকে আকাশেই আটকে দিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। বরং পাল্টা প্রত্যাঘাতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে রাজধানী ইসলামাবাদের কাছে। বদলা নিতে শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লিকে টার্গেট করে কোণঠাসা পাক সেনা। রাজধানী শহরকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাকিস্তানের সবচেয়ে আধুনিক শাহিন ব্যালিস্টিক মিসাইল। এই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনেও সক্ষম। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। পাক সেনার সেই পরিকল্পনাও কার্যত জলে যায়। ভারতের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ভেদ করতে পারেনি শব্দের চেয়েও দ্রুতগামী শাহিন। আকাশেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভারতীয় সেনার তরফে সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। পাকিস্তান কীভাবে হামলা চালিয়েছিল, তারা কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করেছিল-তার বিস্তারিত বিবরণ ওই ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে। সেনা জানিয়েছে, রাজধানী দিল্লি ছাড়াও পাকিস্তানের টার্গেট ছিল পাঞ্জাবের একাধিক শহর। এমনকী অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরও। কিন্তু রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি এস-৪০০, ভারতের নিজস্ব আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়।
সেনা সূত্রে খবর, শাহিন ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৭৫০ কিলোমিটার থেকে ২ হাজার কিলোমিটার। ১ হাজার কেজির বেশি বিস্ফোরক নিয়ে সর্বোচ্চ ৮ মাক (শব্দের চেয়ে ৮ গুণ দ্রুত) গতিবেগে উড়ে যেতে পারে এটি। পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম হলেও ভারতে হামলা চালানোর সময় পাক সেনা সাধারণ বিস্ফোরক ব্যবহার করেছিল বলে জানা গিয়েছে। দিল্লি ছাড়াও জয়পুর, ভোপাল ও নাগপুরের মতো শহরেও হামলা চালাতে পারে শাহিন। সেনা সূত্রে খবর, সম্ভবত নুর খান এয়ারবেস থেকেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। যদিও পরে ওই এয়ারবেসের একাংশও ভারতের প্রত্যাঘাতে ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু শাহিনের কোনও ধ্বংসাবশেষ কেন পাওয়া গেল ন? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরনের মিসাইল উৎক্ষেপণের পর প্রথমে বায়ুমণ্ডলের বাইরে চলে যায়। তারপর তা ফের বায়ুমণ্ডলে ঢুকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। যেহেতু এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতিবেগ অত্যন্ত বেশি তাই আকাশে ধ্বংস হয়ে গেলে তার টুকরো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আবার বায়ুমণ্ডলের বাইরে থাকা অবস্থাতেই শাহিনকে ধ্বংস করে দেওয়া হলেও টুকরো খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে ভারতের সুরক্ষা ব্যবস্থা ঠিক কোথায় শাহিনকে ধ্বংস করেছে, তা স্পষ্ট নয়।
ভারতীয় সেনা বারবারই দাবি করেছে, পাকিস্তান ভারতের ধর্মীয়স্থানগুলিকে আঘাত করার চেষ্টা করছে। এদিন সেনার পোস্ট করা ভিডিওতে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে হামলা কীভাবে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার বর্ণনাও দেওয়া হয়েছে। ১৫ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল কার্তিক শেষাদ্রি জানিয়েছেন, ৮ মে ভোরে স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে পাকিস্তান। এমন হামলা যে হতে পারে, তা আগে থেকেই আন্দাজ করেছিল ভারতীয় সেনা। সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। কোনও আক্রমণই অমৃতসর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি।
related_post
রাশিফল
-
আজকের রাশিফল
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
অমৃত কথা
-
জগৎ
- post_by বর্তমান
- জুন 19, 2025
আজকের দিনে
-
ইতিহাসে আজকের দিন
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
এখনকার দর
-
রুপোর দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
সোনার দাম
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ইউরো
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
ডলার
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
পাউন্ড
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ব্যাঙ্ক
- post_by Admin
- জুন 19, 2025
-
নিফটি ৫০
- post_by Admin
- জুন 19, 2025