দক্ষিণবঙ্গ

হারিয়ে যেতে বসা মাটির পুতুল শিল্পকে
বাঁচিয়ে রেখেছেন দাঁইহাটের পাল দম্পতি

 

সংবাদদাতা, কাটোয়া: প্লাস্টিকের দৌলতে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির পুতুল। ঘর সাজানো থেকে শিশুদের খেলনা সবেতেই জায়গা করে নিয়েছে প্লাস্টিক। তিরিশ বছর ধরে রথের মেলার জন্য মাটির পুতুল তৈরি করেন দাঁইহাটের পাল দম্পতি। ঘোড়ায় চাপা রাজা, জগন্নাথ, গোপাল, থেকে নানা রঙবেরঙের মাটির পাখির পুতুলের পসরা নিয়ে যাওয়া হয় রথের মেলায়। বিক্রি কম হলেও রথের মেলায় মাটির পুতুল সাজিয়ে বসেন পাল দম্পতি। এখনও প্লাস্টিকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাঁরা শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। 
দাঁইহাট শহরের পাতাইহাট পালপাড়া এলাকার ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দা শ্যাম পাল ছোট থেকেই একজন মৃৎশিল্পী। শ্যামবাবুর বাবাও একজন স্বনামধন্য মৃৎশিল্পী ছিলেন। বাড়িতেই তাঁর নিজস্ব ছোট কারখানা গড়ে তুলেছেন। এক ছেলে ও মেয়ে, স্ত্রী নিয়ে ভরা সংসার শ্যাম বাবুর। প্রতিমা তৈরি করেই উপার্জন করেন তাঁরা। বছর খানেক আগে একটি দূর্ঘটনার কবলে পড়েন মৃৎশিল্পী শ্যামবাবু।  এরপর কারখানার হাল কে ধরবে তা নিয়ে বাড়িতে সকলে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। শেষে হেঁশেল ছেড়ে এগিয়ে আসেন শ্যামবাবুর স্ত্রী তুলসী পাল। তিনিও স্বামীর পাশে বসেই প্রতিমা তৈরি করতে শুরু করেন। প্রতিদিন সংসার সামলে প্রতিমার গায়ে মাটি দেওয়া থেকে শুরু করে রঙ করা আবার প্রতিটি প্রতিমার চোখ আঁকা সবই তিনি সুনিপুণভাবে করেন। শ্যামবাবুর এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। আর ছেলে সঞ্জয় পাল  কলকাতায় কাজ করেন। মাটির পুতুল বিক্রি  দৈনিক ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। 
তুলসী দেবী বলেন আমার স্বামী বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। আমাদের প্রতিমা তৈরি করেই সংসারে আয় হয়। তাই সংসারটা তো দেখতে হবে। স্বামীর কাছেই প্রতিমা তৈরি করা শিখেছি। এখন আমি নিজেই সবকিছু করতে পারি। তাতে অন্তত আমার স্বামীকে সহায়তা করতে পারি।
রথের মেলায় কাটোয়া, দাঁইহাট জুড়ে আগে মাটির নানান পুতুল বিক্রি হত। এখন প্লাস্টিকের দৌলতে আর সেভাবে মাটির পুতুল নিয়ে খুব একটা কেউ বিক্রি করতে আসেন না। তবে দাঁইহাটের শ্যামবাবু এখনও মাটির পুতুল তৈরি করে মেলায় যান। তিনি বলেন,প্লাস্টিক আমাদের সব শেষ করে দিল। ৩০ বছর ধরে মাটির পুতুল তৈরি করে রথের মেলায় যাচ্ছি। এখনও যেটুকু পারি তা করার চেষ্টা করি। পরিশ্রমের মূল্য হয় না। যা দাম পাই সেটাই লাভ। শ্যামবাবু আরও বলেন, আমি বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। আমার শরীরে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। তাই আমার স্ত্রীও প্রতিমা তৈরি করেন। তাতে আমার সাহায্য হয়। এখন কাজের ফুরসৎ পাচ্ছি না। সামনেই রথের মেলা।  এবার বরাত পেয়েছি অনেক। তাই আমার স্ত্রী সংসারের সব কাজ সেরে কারখানায় বসে বসে মাটির পুতুলে রঙ দেওয়া থেকে মাটি দেওয়া সবেতেই আমাকে সাহায্যে করছেন। 
সংসারে রান্নাবান্না সেরে কাদার তাল নিয়ে বসে পড়েন মূর্তি গড়তে। শেষে তুলির টানে একের পর এক মাটির প্রতিমা গড়ে তোলেন দাঁইহাটের গৃহবধূ তুলসী পাল।  নিজস্ব চিত্র
17Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৭৩ টাকা৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮৫ টাকা১০৯.৬১ টাকা
ইউরো৮৭.৮২ টাকা৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা