দক্ষিণবঙ্গ

মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে
হাজার জনকে পাট্টা
নজির গড়তে চলেছে ভূমিদপ্তর

নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: এক হাজার জনকে পাট্টা দিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। একসঙ্গে এতজনকে পাট্টা দিয়ে নয়া রেকর্ড তৈরি করতে চলেছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় বৈঠক করতে আসছেন। শহরের গোদার মাঠে তাঁর সভা করার কথা রয়েছে। ওইদিনের মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাট্টার নথি তুলে দেওয়া হবে। পরেও উপভোক্তারা নথি পাবেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষ ও বাড়ি তৈরির জন্য জমি দেওয়া হবে। পাট্টার নথি পাওয়ার পর উপভোক্তারা সেই জায়গায় বাড়ি করতে পারবেন। আবাস যোজনা প্রকল্পে সরকারও বাড়ি তৈরি করে দেবে। ২০১৮-২০১৯ আর্থিকবর্ষে ২১৪ জন উপভোক্তা ৩১.৬৬ একর জমি পাট্টা পেয়েছিলেন। ২০১৯-২০২০ আর্থিকবর্ষে ২১৬ জন উপভোক্তাকে ২২.১৪ একর জমি পাট্টা দেওয়া হয়েছিল। ২০২১-২০২২ আর্থিকবর্ষে ১১৮ জন উপভোক্তা ২০.৩০ একর জমি লিজ পেয়েছিলেন। এবারই সবচেয়ে বেশি উপভোক্তার হাতে পাট্টার দলিল দেওয়া হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ আর্থিকবর্ষে এখনও পর্যন্ত ২৭৭ জন উপভোক্তা ৩৪.৩৭ একর জমির পাট্টা পেয়ে গিয়েছেন। এবার রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পেও পাট্টার জন্য আবেদনপত্র জমা নিয়েছিল। প্রতিটি জেলাতেই উপভোক্তারা আবেদন করেন। পূর্ব বর্ধমানেও কয়েকশো আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) ইউনিস রিসিন ইসমাইল বলেন, আবেদনকারীদের নথি খতিয়ে দেখে পাট্টা দেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি তৈরির জন্য কালনা-১ ব্লকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক উপভোক্তা পাট্টা পাবেন। এই ব্লকের ১০০জনকে পাট্টার নথি দেওয়া হবে। চাষের জন্য ভাতারে ১৫০জন উপভোক্তা পাট্টা পাবেন। জামালপুরে ৪০, কাটোয়া-১ ব্লকে ৫২, মন্তেশ্বরে ৯৩ জন উপভোক্তা চাষের জন্য পাট্টা জমি পাবেন। মন্তেশ্বরে ৩১ জনকে বাড়ির জন্য পাট্টা দেওয়া হবে। 
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন,  বাড়ির জন্য আড়াই কাঠা জমি পাট্টা দেওয়া হয়। এই পরিমাণ জায়গায় ভালোভাবেই বাড়ি তৈরি করা যা। পাট্টার জমি থাকলে আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পেতে সমস্যা হবে না। চাষের জন্য প্রতি উপভোক্তাকে পাঁচ কাঠা জমি পাট্টা দেওয়া হয়। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে। অনেকেই পাট্টা পেয়ে বাড়ি পেয়েছেন। আগে পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনীতির রং দেখা হতো। এখন সেসব হয় না। প্রকৃত গরিবরা জমি পান। 
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, সরকার চায় প্রত্যেক বাসিন্দার মাথায় পাকা ছাদ হোক। সেই কারণে কারও জমি না থাকলে তাঁকে পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। আবেদনকারীদের নথি ঠিক থাকলে পাট্টা পেতে সমস্যা হয় না। এবছর রেকর্ড সংখ্যক উপভোক্তা পাট্টা পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী ২ ফেব্রুয়ারির সভা থেকে পাট্টা দেওয়া ছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পেরও সুবিধা দেবেন। প্রতিটি ব্লকের আলাদা আলাদা স্টল থাকছে। সেখান থেকে পাট্টার নথি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজনকে মঞ্চ থেকে পাট্টার নথি দেবেন।
22Months ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশাদারি কাজকর্মে উন্নতি ও আয় বৃদ্ধির যোগ। জ্ঞাতি শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকবেন। স্বাস্থ্য খুব একটা...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৭৩ টাকা৮৫.৪৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.৮৫ টাকা১০৯.৬১ টাকা
ইউরো৮৭.৮২ টাকা৯১.২১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা