ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টা কী?
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ শাখা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। এখানে টেক্সটাইল বা বস্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি, উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং তা ব্যবহারের শিক্ষা প্রদান করা হয়। এই শাখার মাধ্যমে পড়ুয়ারা শিল্পের মান এবং উপভোক্তার চাহিদা পূরণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করে।
যোগ্যতা কী লাগে?
বিজ্ঞান শাখায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন (WBJEE) প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হওয়া যায়। এছাড়া ডিপ্লোমা করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স ফর ল্যাটারালএন্ট্রি (JELET) পরীক্ষার মাধ্যমেও পড়ার সুযোগ রয়েছে।
কোন কোন বিষয় পড়ানো হয়?
১. ফাইবার এবং পলিমার সায়েন্স: এখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রকার ফাইবার এবং তাদের রাসায়নিক গঠনসংক্রান্ত বিষয় পড়ানো হয়।
২. ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং: কাঁচামাল থেকে সুতো তৈরি করার পদ্ধতি শেখানো হয়।
৩. ফ্যাব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং: এখানে সুতো ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার কাপড় এবং টেক্সটাইল পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া শেখানো হয়।
৪. গার্মেন্টস এবং ফ্যাশন টেকনোলজি: কাপড় থেকে পোশাক এবং অন্যান্য ফ্যাশন পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া ডিজাইন থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত সমস্ত ধাপে ধাপে শেখানো হয়। ফ্যাশন ডিজাইন, কাটিং, সেলাই সংক্রান্ত বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত থাকে।
৫. টেক্সটাইল রসায়ন: ডাইং এবং প্রিন্টিং করার পদ্ধতি শেখানো হয়। এতে টেক্সটাইলের রং, টেক্সচার এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের পদ্ধতি আলোচ্য বিষয়। এছাড়াও টেক্সটাইল ন্যানোটেকনোলজি, জিওটেক্সটাইল, মেডিক্যাল টেক্সটাইল, অটোমোটিভ টেক্সটাইল, প্রোটেক্টিভ টেক্সটাইল, স্পোর্টস টেক্সটাইল ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ?
চাকরির সুযোগ রয়েছে টেকনিক্যাল টেক্সটাইলস যেমন অটোমোটিভ, হেলথকেয়ার, অ্যারোস্পেস, জিও-টেক্সটাইলস, প্রোটেক্টিভ ক্লোথিং প্রোডাক্ট তৈরিতে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও গুণমান নিশ্চিতকরণ সংস্থা কেন্দ্রীয় সিল্ক বোর্ড, টেক্সটাইল গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বিআইএস-এ টেক্সটাইল পরিদর্শক হিসেবেও কাজের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে শিক্ষক ও গবেষণা পদেও চাকরি পাওয়া যায়।
রাজ্যে কোথায় পড়ানো হয় এবং খরচ কত?
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (MAKAUT) অন্তর্গত গভর্নমেন্ট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল টেকনোলজি বহরমপুর এবং গভর্নমেন্ট কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেক্সটাইল টেকনোলজি, শ্রীরামপুর। তাছাড়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুট এবং ফাইবার টেকনোলজি পড়ানো হয়। প্রতি শিক্ষাবর্ষের টিউশন ফি বাবদ খরচ ৬০০০ টাকা।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বিদেশে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ ভালো। বিশেষভাবে টেক্সটাইল দ্রব্য উৎপাদন ও গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও, বিদেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য প্রচুর কাজের সুযোগ রয়েছে।