ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন স্বপন সান্যাল। পাকা বাড়ি রয়েছে তাঁর। আবাসে ঘর পেতে কোনওদিন আবেদনই করেননি তিনি। তবুও তাঁর কাছে হঠাৎ একটি ফোন আসে বুধবার। হোয়াটসঅ্যাপে আসা সেই ফোন ধরলেই অন্যপ্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি জানান, তিনি শান্তিপুরের জয়েন্ট ভিডিও বলছেন। বিশ্বাস অর্জনে, এক্কেবারে সঠিক নামও ব্যবহার করেন জয়েন্ট বিডিওর। তারপর স্বপনবাবুকে বলেন, আপনার অ্যাকাউন্টে এখনই টাকা ঢুকবে। প্রথম দফায় আবাস যোজনার ৬০ হাজার টাকা মিলবে। পরে বাকি টাকাও চলে আসবে ওই অ্যাকাউন্টে। কী করতে হবে তার জন্য? প্রশ্ন করেন স্বপনবাবু। যুগ্ম বিডিও পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি তখন অনলাইন পেমেন্টঅ্যাপ খুলতে বলেন। এরপর ধাপে ধাপে কী করতে হবে বলতে শুরু করে, তখনই প্রতারকের ফন্দি বুঝতে পারেন স্বপনবাবু। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আপনি যে পদ্ধতি বলছেন তাতে তো আমার অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা আপনার কাছে চলে যাবে। অভিযোগ, তখন যুগ্ম বিডিও পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি জানায়, ৪ হাজার টাকা তাকে এখনই পাঠাতে হবে। তাহলেই শুরু হবে প্রসেসিং। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাকাউন্টে ঢুকবে কড়কড়ে ষাট হাজার টাকা।
প্রতারকের দাবি শুনে মুচকি হাসেন প্রাক্তন প্রধান। কারণ, তিনি আবাস যোজনার জন্য ঘরের আবেদনই করেননি। তবুও তার কাছে যুগ্ম বিডিওর নাম করে ফোন আসাতেই তিনি ধরে ফেলেছিলেন গোটা বিষয়টা। ফলে কথা না বাড়িয়ে ফোন কেটে দেন স্বপনবাবু। গোটা বিষয়টি তিনি জানান শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তীকে।
পরবর্তীতে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন শান্তিপুর থানার ফুলিয়া ফাঁড়িতে। তিনি বলেন, আমি একজন প্রাক্তন প্রধান। তবুও আমার কাছেও যদি এই ফোন আসতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী হতে পারে সেটা ভাবা প্রয়োজন। অভিযোগ দায়ের করছি ফুলিয়া ফাঁড়িতে। পুলিস তদন্ত করে গোটা প্রতারণা চক্রটিকে ধরার চেষ্টা করা হোক।