ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাতে তাঁদের দেওয়া দূরপাল্লার ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছিলেন ইউক্রেনকে। এরপরই ব্রায়ানস্ক সীমান্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ভলোদামির জেলেনিস্কির দেশ। তারপর থেকেই রুশ ও ইউক্রেন যুদ্ধ নয়া মোড় নিয়েছে। ওই ঘটনার পরই পরমাণু হামলা সংক্রান্ত একটি নয়া ডিক্রিতে সই করেন পুতিন। সেখানে প্রয়োজনে ইউক্রেনের উপরেও পরমাণু হামলা চালানোর পথ খোলার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এই আবহে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এরফলে দেখা দিয়েছে পরমাণু হামলার আশঙ্কাও।
এদিন এই রুশ হামলার লক্ষ্য ছিল পূর্ব ইউক্রেনের নিপ্রো শহরের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এক বিবৃতিতে এমনটাই দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনা। তারা জানিয়েছে, ‘রাশিয়ার অস্ত্রাখান থেকে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়া হয়েছিল।’ যদিও হামলায় ঠিক কী ধরনের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সেবিষয় কিছু জানা যায়নি। রুশ আক্রমণের জেরে ক্ষয়ক্ষতি নিয়েও কিছু জানায়নি জেলেনস্কির দেশ। দু’বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এই প্রথমবার এমন শক্তিশালী অস্ত্র ব্যবহার করল রাশিয়া।
জানা গিয়েছে, সহজেই কয়েক হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করতে পারে এই অত্যাধুনিক আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র। নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহনেও সক্ষম এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। সেক্ষেত্রে একটি অস্ত্রের সাহায্যেই ইউক্রেনের বড়সড় ক্ষতি করতে পারবে পুতিনের দেশ। সূত্রের খবর, এদিন ক্ষেপণাস্ত্রে কোনও নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ব্যবহার করেনি রাশিয়া। ছবি: এএফপি