Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার!
ম্যাচ দেখে চরম বিরক্ত হয়েছিলেন। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে নাকি ঘন ঘন হাই তুলেছিলেন। তাঁর অফিসারদের ডেকে ‘ফুয়েরার’ সাফ বলে দিয়েছিলেন, জার্মানির মতো আর্য দেশে ক্রিকেটের মতো অনার্য ও ‘অজার্মান’ খেলা যেন আর না হয়। সেই থেকে নাকি জার্মানিতে আর ক্রিকেট জনপ্রিয়তা পায়নি। যদিও এই গল্প কতটা সত্যি, তা আজও জানা যায়নি।
তবে ব্রিটিশ লেখক জন সিম্পশনের ‘আনরিলায়েবল সোর্স: হাউ দ্য টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ওয়াজ রিপোর্টেড’ (২০১০) বইটি এক ভিন্ন স্বাদের তথ্য দিয়েছে। সিম্পশনের বইটি মূলত বিশ শতকের সাংবাদিকতার উপর লেখা। এখানে তিনি ১৯৩০ সালে ডেইলি মিরর–এ প্রকাশিত তৎকালীন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য অলিভার লকার-ল্যাম্পসনের একটি লেখাকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। ওলিভার লকার-ল্যাম্পসন ছিলেন ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর অফিসার। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের রক্ষণশীল দলের রাজনীতিবিদ। ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রভাবশালী সাংসদ ছিলেন। ইউরোপে বলশেভিকদের বিরুদ্ধে তাঁর কঠোর অবস্থানের কারণে তিনি হিটলারের নজরে আসেন। হিটলারও বলশেভিকবিরোধী হওয়ায় লেম্পসন তাঁর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তবে এই মধুচন্দ্রিমা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। হিটলারের বিভিন্ন ফ্যাসিস্ট সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে ইহুদিবিরোধী অবস্থানের কারণে লেম্পসন একসময় হিটলারের পাশ থেকে সরে দাঁড়ান। লেম্পসন যখন হিটলারের অনুরাগী ছিলেন, তখন হিটলারকে নিয়ে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। ১৯৩০-র ৩০ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের দ্য ডেইলি মিরর পত্রিকায় তা প্রকাশিত হয়। লেখাটির শিরোনাম ছিল, ‘অ্যাডলফ হিটলার অ্যাজ আই নো হিম।’
লেম্পসন সেই লেখায় উল্লেখ করেন, দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ জার্মানিতে তিনি কয়েকজন ব্রিটিশ সেনা অফিসারের দেখা পান। ততদিনে হিটলার জার্মানের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই সেনা অফিসারদের সঙ্গে আলোচনায় হিটলারের প্রসঙ্গ এসে পড়ে। ওই সেনা অফিসারদের মধ্যে কয়েকজন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন চিকিৎসার জন্য জার্মানির এক সামরিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হিটলারও সেই সময় যুদ্ধাহত অবস্থায় সেই হাসপাতালে ভর্তি। ব্রিটিশ অফিসাররা মাঝেমধ্যেই হাসপাতাল চত্বরে নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট খেলতেন। নজর এড়ায়নি হিটলারের। আচমকা একদিন যুদ্ধবন্দি ব্রিটিশ অফিসারদের কাছে এসে ক্রিকেট খেলার প্রস্তাব রাখেন। তবে ক্রিকেট খেলার নিয়মকানুন শিখিয়ে দিতে হবে তাঁদেরই। সেই মতো প্রস্তুতি নেবে টিম হিটলার। এমন প্রস্তাব শুনে ব্রিটিশ সেনা অফিসাররা কিছুটা আশ্চর্য হলেও তাঁকে স্বাগত জানান।
এরপর বেশ কিছুদিন হিটলার বেপাত্তা। হঠাৎ একদিন উদয় হয়ে তিনি ব্রিটিশ অফিসারদের জানান, তাঁর টিম খেলার জন্য প্রস্তুত। যথাসময়ে খেলা হল। তবে ম্যাচটা কবে, কোথায় হয়েছিল, ফলাফল কী হয়েছিল, হিটলারের ব্যাটিং অর্ডার কী ছিল, তিনি কত রান করেছিলেন— এসব তথ্য কালের গহ্বরে হারিয়ে গিয়েছে। অধিকাংশ মানুষের ধারণা, হিটলার অভিজ্ঞ ইংরেজদের কাছে এই খেলায় পরাজিত হয়েছিলেন। শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন নিজে। কিন্তু হিটলার হঠাৎ ক্রিকেট খেলতে উৎসাহী হয়েছিলেন কেন? ওলিভার লকার-লেম্পসনের ধারণা, আসলে ক্রিকেট খেলাকে জার্মান সেনাদের প্রশিক্ষণের কাজে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তা ভাবছিলেন হিটলার। কীভাবে এই জনপ্রিয় খেলাকে নিজের কাজে লাগানো যায়, এজন্য ক্রিকেট নিয়ে গবেষণাও চালিয়েছেন। কিন্তু সেই ম্যাচ খেলার পর ক্রিকেট হিটলারকে আর আকর্ষণ করেনি। তাঁর উপলব্ধি, বিনোদনপ্রিয় ব্রিটিশদের জন্য ক্রিকেটর ‘বেসিক’ নিয়মকানুনসহ খেলাটি নিঃসন্দেহে খুব ভালো। কিন্তু ক্রিকেট ঠিক ‘পুরুষোচিত’ খেলা নয়। ক্রিকেট আমুদে ইংরেজদের জন্যই। সিরিয়াস মানসিকতার জার্মানদের জন্য বেমানান। নাৎসি বাহিনীর জন্য তো নয়ই!  
লেম্পসন লেখেন, ক্রিকেটের প্রশান্ত মেজাজ ছাড়া এর আরও কিছু ত্রুটি হিটলারের নজরে আসে। হিটলারের মতে, ক্রিকেটের আদর্শ হওয়া উচিত ‘ক্রিকেট’ আর ‘ব্লিৎজক্রিগ’-এর সমন্বয়ে ‘ব্ল্যিজক্রিকেট’। ব্লিৎজক্রিগ-এর অর্থ নাৎসি দর্শন অনুযায়ী ‘তড়িৎগতির যুদ্ধ’। শত্রুপক্ষকে মনস্তাত্ত্বিক ধাক্কা দিতে জার্মানির সামরিক কৌশল। হিটলার জার্মানদের জন্য ক্রিকেট খেলার নিয়মকানুন বদলের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। অপুরুষোচিত, অজার্মান চিহ্নিত করে ‘প্যাড’ নামে ক্রিকেটের অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গটির ব্যবহার বন্ধ করতে চেয়েছিলেন! সাড়ে পাঁচ থেকে পৌনে ছয় আউন্স ওজনের এবং ২২.৩৮ সেমি থেকে ২২.৮৬ সেমি পরিধির ক্রিকেট বলটিকেও তিনি অজার্মানসুলভ ভাবতেন। তাই আরও একটু বড় আর আরও একটু শক্ত বল ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন! আর এমন হলে, খেলা শেষে ব্যাটসম্যানদের পায়ের ক’টি হাড় যে অবশিষ্ট থাকত, কে জানে! শুধু কি তা–ই, অত বড় ও ভারি বলের ভার বোলাররাই বা বইতেন কীভাবে, কে জানে! এই নাৎসিপ্রধান ক্রিকেটের জন্য একটি মোটো তৈরি করেছিলেন, জার্মান উচ্চারণে সেটি হল: ‘ওনে হাস্ট, ওনে রাস্ট’। বাংলায় যার ভাবানুবাদ করলে দাঁড়ায়: ‘তাড়াহুড়ো নেই, কিন্তু অবিরাম’। আরামসে খেলতে থাকো, খেলতেই থাকো। তিনি পাঁচদিন ধরে খেলা ও দফায় দফায় চা-বিরতি কিংবা লাঞ্চব্রেক বদলে দিতে চাইলেন। কিন্তু হিটলারের ধারণাগুলি তৎকালীন ক্রিকেট বিশ্বে কোনও প্রভাব ফেলেনি। চারশো বছর ধরে ইংরেজদের হাতে, তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে গড়ে ওঠা ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তো ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফলে যা হওয়ার তাই হল, হিটলারের ফর্মুলা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা পরাজয় স্বীকার করে নিলে ১৯১৮ সালের নভেম্বর মাসে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়। বিজয়ী ব্রিটিশরা যুদ্ধবিরতির পর বেশ কিছুদিনের জন্য জার্মানির বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গাড়ে। সময় কাটানোর জন্য ক্রিকেটপাগল ইংরেজরা প্রথম দিকে ছাউনি ও তার আশপাশে নিজেদের মধ্যে, আর পরবর্তীতে স্থানীয়দের সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচ খেলত। ফলে এই সময় হিটলারের উত্থানের পাশাপাশি জার্মানিতে ক্রিকেটেরও উত্থান লক্ষ করা যায়। তবে ১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতার শীর্ষে আসার পর বিভিন্ন কারণে ক্রিকেটের দ্রুত পতন শুরু হয়।
হিটলারের ক্রিকেট দর্শনের এখানেই হয়তো সমাপ্তি টানা যেত, যদি না ক্রিকেট বোদ্ধা জর্জ অরওয়েল হিটলার ও তাঁর পারিষদের ভয়াবহ ক্রিকেট উদাসীনতা বা রূঢ় অর্থে বিরোধিতার ব্যাখ্যা না দিতেন। অরওয়েল লিখছেন, হিটলার ক্রিকেটের নিয়মকানুন শিখেছিলেন, খেলাটি অনুশীলন করেছিলেন, ম্যাচও খেলেছিলেন এবং শেষে রায় দিয়েছিলেন, খেলাটি যথেষ্ট পুরুষালি নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ব্রিটিশ বিদ্বেষ যত বাড়তে থাকে, ততই বাড়তে থাকে ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রতি অরুচিও। ক্রিকেট এর মধ্যে অন্যতম।
সমালোচকরা বলে থাকেন, ১৯১৮ সালে ব্রিটিশ সেনা অফিসারদের সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচটিতে হিটলার মাত্র একটি বল খেলেছিলেন। শূন্য রানে স্টাম্পড হয়েছিলেন। তাছাড়া ১৯৩৭ সালে উস্টারশায়ার জেন্টলম্যান ক্লাব আর ১৯৩৮ সালে সমারসেট ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের কাছে সব ম্যাচেই বার্লিনের টিম হেরেছিল। ম্যাচগুলির রেজাল্ট হিটলারের মনঃপূত হওয়ার মতো ছিল না। ফলে প্রচলিত ক্রিকেটের প্রতি তাঁর হয়তো আরও কিছুটা বিতৃষ্ণা বাড়ে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, হিটলার ক্রিকেটে সফল হতে পারেননি। হিটলার বা বার্লিন জয়ী হলে ক্রিকেট বিশ্ব তো বটেই, বিশ্ব ইতিহাসেও এর প্রভাব পড়ত। ১৯৩৯ সালে হয়তো বিশ্বযুদ্ধের বদলে প্রথম বিশ্ব টেস্ট ক্রিকেট যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হতো। কিংবা হিটলারই হয়তো তার দর্শনের সঙ্গে সংগতি রেখে শর্টার ভার্সন বা শর্টেস্ট ভার্সন ক্রিকেটের জন্মদাতা হতেন। হয়তো লর্ডস থেকে ‘ক্রিকেটের মক্কা’ নুরেমবার্গে চলে আসত। তাঁর উগ্র বিশ্বজয়ের নেশাটা হয়তো ক্রিকেটের সাহায্যেই তিনি চরিতার্থ করতে পারতেন। আর ক্রিকেটও ইংরেজদের বলয় থেকে বেরিয়ে বিশ্ববলয়ে ঢুকতে পারত। ক্রিকেট বিশ্বকাপের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই তখন আট-দশ দেশের বদলে ৩২ বা ৪৮টি দেশের মধ্যে চলত। ঠিক যেমন ফুটবলের দুনিয়া এগিয়েছে...।
অথচ, ইতিহাস বলছে, ক্রিকেটের সঙ্গে জার্মানদের যোগাযোগ বহু পুরনো। ক্রিকেটের বিস্তারিত নির্দেশিকা ইংল্যান্ডে নয়, বরং ১৭৯৬ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল জার্মানিতে। সেই বইয়ের লেখক গুটৎজমুথজ লিখেছিলেন, ‘এই খেলাটির সঙ্গে আমাদের পরিচয় ইংল্যান্ডের মাধ্যমে।’ গুটৎজমুথজের প্রচার সত্ত্বেও ক্রিকেট জার্মানদের আকর্ষণ করেনি। তারা এই খেলাকে ‘ইংলিশ রোগ’ মনে করত। ১৮৯৮ সালে জার্মান জিমন্যাস্ট ও শিক্ষক কার্ল প্লান্ট লিখেছিলেন, ‘এই ফালতু ইংলিশ খেলাকে আমরা শুধু জঘন্যই বলব না, বরং এটা উদ্ভট, কুৎসিত ও বিকৃত।’ তবে, তার আগেই ১৮৯২ সালেই বার্লিনে গঠিত হয়েছিল ‘ডয়েচ ফুটবল ও ক্রিকেট বোর্ড’। বেঁচে থাকলে হিটলার হয়তো মাইন ক্যাম্পের মতো আরও একটা বই লিখতে পারতেন— মাই স্ট্রাগল উইথ ক্রিকেট!
তবে হিটলার-মুক্ত জার্মানিতে এখন দ্রুত প্রসার হচ্ছে ক্রিকেটের। জার্মানির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান সিইও ব্রায়ান ম্যান্টল স্বপ্ন দেখছেন, অদূর ভবিষ্যতে আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্ট খেলবে জার্মানি। ম্যান্টলকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মূলত জার্মানিতে শরণার্থী হয়ে আসা কিছু যুবক। এরাই জার্মানিতে ক্রিকেটের দ্রুত প্রসার ঘটাচ্ছে। জার্মানির ক্রিকেট বোর্ডের হিসেব বলছে, ২০১২ সালে দেশটিতে ৭০টি ক্রিকেট ক্লাব ছিল। আর ক্লাবগুলিতে খেলত এক হাজারের মতো ক্রিকেটার। আর বর্তমানে ২২০টি ক্লাবে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার ক্রিকেটার।
আপনি কি জানেন, জার্মানি ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কে? ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রযুক্তিবিদ ভেঙ্কটরমন গণেশন। একসময়ে অশ্বিন, দীনেশ কার্তিকদের সঙ্গে চেন্নাইয়ে ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেটে চুটিয়ে খেলেছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। সেই ভেঙ্কটরমনকে ঘিরেই বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখছে জার্মানি।
21st  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। বিশদ

10th  November, 2024
একনজরে
ওপেনিংয়ে লোকেশ রাহুলের উপর আস্থা রাখলেন সুনীল গাভাসকর। কিংবদন্তি ওপেনারের মতে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় গত বছর ও সেঞ্চুরি করেছিল ওপেনিংয়ে নেমে। ওটা আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস। ...

দু’দিন কার্যত নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি। আজ, শুক্রবার থেকে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ হবে না। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ঝাঁপিয়েছে পুরসভা। বৃহস্পতিবার তারা আরও ...

কলকাতায় জঙ্গি হামলা! তাও আবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ভিতরে! কোনও এক ভিভিআইপিকে বন্দি করে নিয়েছে জঙ্গিরা। চারদিক ঘিরে ফেলেছে সেনা জওয়ানরা। নামানো হয় এনএসজি’র কমান্ডো বাহিনী। ...

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নামে। বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতভাবে এই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালত (আইসিসি)। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী নানান কর্মকাণ্ডে জড়িত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৪- রবার্ট ক্লাইভের মৃত্যু
১৮৫৬- বিধবা বিবাহ আইনের প্রেক্ষাপটে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয় যে, বিধবা বিবাহ করলে বরকে এক হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে
১৮৭৭- গ্রামোফোন আবিস্কার করেন টমাস আলফা এডিসন
১৯৩৯- রাজনীতিক মুলায়ম সিং যাদবের জন্ম
১৯৪৮- বলিউডের বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালক সরোজ খানের জন্ম
১৯৬৩- টেক্সাসে খুন হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, হামলায় গুরুতর আহত হন টেস্কাসের গভর্নর জন কোনালি’ও, সন্দেহভাজন লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে ধরা হল দু’দিন পর পুলিসি হেপাজতে তাকে গুলি করে হত্যা করে জ্যাক রুবি
১৯৬৭- টেনিস তারকা বরিস বেকারের জন্ম
১৯৭০- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মারভান আত্তাপাত্তুর জন্ম
১৯৮৬- ট্রেভর বারবিককে হারিয়ে বক্সিংয়ের ইতিহাসে তরুণতম হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হলেন মাইক টাইসন
১৯৮৬- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবন্ধী অ্যাথলিট অস্কার পিস্টোরিয়াসের জন্ম
১৯৮৭- সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মৃত্যু
১৯৯৫- প্রকাশিত হল কম্পিউটার ইমেজ দিয়ে তৈরি প্রথম ফিচারধর্মী ছবি ‘টয় স্টোরি’
২০০৩- বাগদাদে ডি এইচ এল এক্সপ্রেস নামক পণ্যবাহী বিমানে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত হানে জঙ্গিরা, ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই হামলায় বিমানটির বাঁদিকে পাখা ক্ষতিগ্রস্তগ্রস্ত হয়, জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় সেটি
২০১৬ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৯ টাকা ৮৫.৩৩ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৬ টাকা ১০৮.৭৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪। সপ্তমী ৩২/৫৫ রাত্রি ৬/৮। অশ্লেষা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১০। সূর্যোদয় ৫/৫৭/৫৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ৯/২০। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৯/১। সূর্যোদয় ৬/০, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে ও ৭/৩৯ গতে ৯/৪৬ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ২/৪৩ মধ্যে ও ৩/২৫ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৯ গতে ৩/৩৪ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১৯ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
১৮ বছর পর সিক্যুয়েল, আসছে ‘ভাগম ভাগ ২’, আগামী বছর থেকে শ্যুটিং শুরু

12:24:25 AM

দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানে অগ্নিকাণ্ড, চাঞ্চল্য কালিয়াচকে
দাঁড়িয়ে থাকা পিকাপ ভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কালিয়াচকে। শুক্রবার ...বিশদ

12:04:08 AM

ব্রাজিল, নাইজেরিয়া ও গুয়ানা সফর শেষ করে নয়াদিল্লি ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11:05:49 PM

গুয়াহাটিতে ব্যাপক বৃষ্টি, জলমগ্ন একাধিক এলাকা

09:32:00 PM

ভোপালের সমাতভা ভবনে জেলাশাসক-কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের

09:29:00 PM

চেন্নাইয়ের দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গেলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন

09:25:00 PM