Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আমেরিকার ফলে ভারতের লাভ না ক্ষতি?
হিমাংশু সিংহ

একজনের বয়স ৭৪, অন্যজনের ৭৮। এই পূর্ণ বার্ধক্যেও দু’জনকেই তাঁদের নিজের দেশে আদ্যন্ত ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করেন বিরোধীরা। সেই ছুৎমার্গ থেকেই শিক্ষিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা দুই রাষ্ট্রপ্রধানের নাম শুনতে বিশেষ পছন্দ করেন না। অবশ্য তাতে তাঁদের বয়েই গেল। কারণ চিরাচরিত রাজনীতির সম্ভ্রম আদায় করা উচ্চকিত মিনারে আঘাত হেনে গণতন্ত্রের পরীক্ষায় দু’জনেই সসম্মানে উত্তীর্ণ, এক নয় একাধিকবার। একজন বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে কট্টর হিন্দুত্বকে সামনে রেখে টানা তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। এবং তা সম্ভব করেন ভোটের বাজারে দেওয়া অধিকাংশ প্রতিশ্রুতি পূরণ না করেই। স্রেফ ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে আর স্বপ্ন ফেরি করে। মুখ থুবড়ে পড়ে তাঁর নোট বাতিল করে কালো টাকা নির্মূল করার কুনাট্য! তবু তাঁর রথ ছোটে রেকর্ড বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধিকে সঙ্গী করে। অন্যজনও ধনকুবেরদের মৃগয়া ক্ষেত্র আমেরিকায় দাঁড়িয়ে শেষ প্রচারে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কাছে টানতে হিন্দুত্ব কার্ড খেলেন সোচ্চারে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর সীমাহীন অত্যাচারে ‘আহত’ হয়ে চোখের জলও ফেলেন। তার কতটা আসল আর কতটা মেকি জানি না। শুধু জানি, দুই হুজুরেরই পদ্ধতি এক, শুধু পটভূমি ভিন্ন। বাজারি নিন্দুকে বলে রতনে রতন চেনে!
১২ হাজার কিলোমিটার দূরে এই দুনিয়ার আধুনিকতম প্রাচুর্যে ভরা দেশের মাটিতে রক্ষণশীলতাকে ঢাল করে ভোটে জিতে আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসা মোটেও কম কথা নয়। ট্রাম্প সাহেব সেটাই করে দেখিয়েছেন। একজনের স্লোগান ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। সঙ্গে ধর্মীয় বিভাজন এবং বিরোধী কংগ্রেসের ইতিহাসকে মুছে দেওয়ার সাতশো ফিকির। উল্টোপিঠে ট্রাম্পের হাতিয়ার, ‘মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেন’। যুদ্ধ নিয়ে গত চার বছর ডেমোক্র্যাটদের সিদ্ধান্তহীনতায় এমনিতেই মার্কিন নাগরিকরা বাইডেন প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। নির্বাচনে সেই ক্ষোভেরই বিস্ফোরণ হল কৃষ্ণাঙ্গ নারী কমলার বিরুদ্ধে। আর্ন্তজাতিক মঞ্চে হোয়াইট হাউসের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব ফেরানোর তুরুপের তাসেই আমেরিকার রং আজ লাল। ভেবে দেখুন, এক দশক আগে মনমোহন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রেও বিজেপি’র তুরুপের তাস ছিল ‘দুর্বল প্রধানমন্ত্রী’ আর নয়। ‘হাউডি মোদি’ এবং ‘নমস্তে ট্রাম্প’ মিলে মিশে একাকার! গেরুয়া মোদিজির মতোই জাতীয়তাবাদকে সামনে রেখে অগ্রসর হন রিপাবলিকান নেতাও। প্রতিশ্রুতি দেন, অভিবাসন নীতিকে আরও কঠোর করে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের বহিষ্কারের। সেই একরোখা ঝাঁঝালো মনোভাবে তিনি হিটলারের আদর্শেই যেন অনুপ্রাণিত। দোসর রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি। আরও কঠোর শুল্ক নীতির হাতছানি। শুধুই কষ্টকল্পিত স্বপ্ন ফেরি করে লোকজনকে বুঁদ করে দেওয়ার মহতী আয়োজন। গড়পড়তা নাগরিকদের মন জিততে বারংবার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ হুঙ্কার। যদিও বাজারি রাজনীতিতে এসবই শেষ পর্যন্ত কথার কথা হয়েই থেকে যায়, বাস্তবায়িত হয় না মোটেই। বছরে দু’কোটি লোকের চাকরি যেমন এই ভারতে শতাব্দীর সেরা ধাপ্পা, তেমনই অভিবাসন নীতি, মেক্সিকানদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও স্রেফ ভোটে জেতার টোপ। নির্বাচন আসে যায়। রাজ্যপাট চলে আপন পাগলপারা গতিতে। কী দিল্লি, কী ওয়াশিংটন ভোটের বাজারে দেওয়া কথা বড় একটা কেউ রাখেন না! সবাই অপেক্ষা করে পরবর্তী বিমান আক্রমণের জন্য, এটাই শিক্ষিত দুনিয়ার দস্তুর!
ভারতের মতো গরিব দেশের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, কিন্তু সমীহ জাগানো শিক্ষিত ধনী প্রগতিশীল আমেরিকা! এত বছরেও সেখানে একজন মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন না? এই নির্বাচনেও পুরোদস্তুর লিঙ্গ বৈষম্য (‘জেন্ডার বায়াস’) ট্রাম্পের পক্ষে গিয়েছে। ডোনাল্ড তিনবার লড়াই করেছেন। ২০১৬, ২০২০ ও ২০২৪। দু’-দু’বার দুই ডেমোক্র্যাট মহিলা হিলারি ক্লিন্টন ও কমলা হ্যারিসের বিরুদ্ধে তিনি বড় ব্যবধানে জয়ী। হেরেছেন শুধু একবারই, চার বছর আগে। সেবার প্রতিপক্ষ কোনও মহিলা ছিলেন না, সুপুরুষ ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন। আবারও প্রমাণ হল এতটা এগিয়েও একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলাকে সর্বোচ্চ পদে মেনে নেওয়ার মতো উদার হতে পারেনি মার্কিন সমাজ। প্রযুক্তি দাপট বাড়িয়েছে, গণতন্ত্র ও পুঁজির দাপটে উন্নতির একের পর এক মাইলস্টোন চোখ ধাঁধিয়েছে। কিন্তু প্রদীপের তলার নিকষ অন্ধকারের মতোই রক্ষণশীলতার নাগপাশে আজও আগাগোড়া বন্দি তথাকথিত ঝাঁ চকচকে মার্কিন মুলুক। নারীর সমান অধিকার সেখানেও শুধু কথার কথা।
সত্যিমিথ্যে জানি না! নিন্দুকেরা বলে, ভারতে তিনি স্বমহিমায় আছেন বলেই নাকি বিশেষ কয়েকজন বাছাই করা শিল্পপতির রমরমা। সেই সুবাদেই দেশের ৪০ শতাংশ সম্পদ মাত্র কয়েকজনের কব্জায়। ১৪২ কোটির জনসংখ্যার ভারতের আনাচে-কানাচে সেই গুঞ্জন। আদানি, আম্বানিদের রমরমা নিয়ে তোপ দাগেন স্বয়ং বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। হরেক কিসিমের অনিয়মের অভিযোগ সামনে আনেন। তাতে উত্তাল হয় সংসদ পর্যন্ত। আর সদ্য সমাপ্ত মার্কিন নির্বাচনেও বিপুল জয়ের নজির সৃষ্টি করে জয়ী রিপাবলিকান প্রার্থী তাঁর গাঢ় লাল রঙের আভায় ভেসে ধন্যবাদ জানান মার্কিন ধনকুবের শিল্পপতি এলন মাস্ককে। যিনি এই সেদিনও নিজমুখে বলতেন, তিনি অর্ধেক ডেমোক্র্যাট, অর্ধেক রিপাবলিকান। তিনিই নাকি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী। এর আগের নির্বাচনে তিনি বাইডেনের সমর্থক ছিলেন। কিন্তু প্রচারে ডোনাল্ডের উপর প্রাণঘাতী হামলার পর থেকেই সকাল-সন্ধ্যা ট্রাম্প শিবিরে। মার্কিন মিডিয়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, রিপাবলিকানদের প্রচারে তিনি নাকি দৈনিক ১ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন। তা এহেন বন্ধুর নাম জয়ী প্রেসিডেন্ট নেবেন, জয়ের খবর চাউর হতেই মাস্কের চার বছরের ছেলেকে পর্যন্ত হবু প্রেসিডেন্টের পাশে ভিকট্রি স্ট্যান্ডে দেখা যাবে, তাতে আর আশ্চর্য কী?
লোকে বলে, ধর্মে ও জিরাফে থাকা এমন রঙিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকা বিশেষ দেখেনি। দেশের ৪৭তম রাষ্ট্রপ্রধান ৩০টির বেশি অপরাধে অভিযুক্ত, আছে যৌন হেনস্তার মারাত্মক সব মামলাও। এক নয়, একাধিক। তবু মিন মিন করে নয়, অভিবাসী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি কড়া ভাষায় আক্রমণ এবং যুদ্ধ নিয়ে স্পষ্ট নীতির জন্যই মার্কিন সমাজ কালো চামড়ার মহিলাকে ছেড়ে তাঁকে বেছে নিয়েছে। বিশেষ করে ইজরায়েল ও ইউক্রেন প্রশ্নে কড়া ভূমিকার আভাস রিপাবলিকান জয়কে সহজ করেছে। প্রথম অভিনন্দন এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইজরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধান নেতানিয়াহু এবং সৌদি আরবের মহম্মদ বিন সলমনের থেকে। আর সব শেষ শুভেচ্ছাটা এসেছে পুতিনের অফিস থেকে, ৪৮ ঘণ্টারও পর। জেলেনস্কি কি প্রমাদ গুনছেন? কারণ অস্ত্র সরবরাহের প্রতিশ্রুতির সঙ্গেই ট্রাম্পের তোপ, পুতিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে হবে ইউক্রেনকে। 
আর নয়াদিল্লি? ফল বেরতেই নরেন্দ্র মোদি যেন ফিরে পেয়েছেন টেক্সাসের সেই উনিশ সালের ফেলে আসা রাত। কেন? কারণ আমেরিকা ও ভারত, দু’দেশেরই এই মুহূর্তে প্রধান প্রতিপক্ষ চীন। অস্ত্র, প্রযুক্তি ও অর্থনীতির দৌড়ে বেজিং আজ আমেরিকাকে ব্যাকফুটে ফেলছে। ভারতের চারপাশেও ক্ষমতার নতুন অক্ষরেখা তৈরির চেষ্টা চলছে। তাই হোয়াইট হাউসের আজ ভারতকে এতটা প্রয়োজন। আর নয়াদিল্লি সম্প্রতি ‘লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ থেকে চীনা ফৌজ প্রত্যাহার নিয়ে যে চুক্তি করেছে তা লঙ্ঘিত হলে পেন্টাগনকে পাশে পাওয়ার আশা করছে। ভারতকে খুশি করতে ইতিমধ্যেই দিল্লির কূটনৈতিক শত্রু কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকারকেও তোপ দাগা শুরু হয়েছে ট্রাম্প শিবির থেকে। ‘আপনার দিন শেষ, আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না’ বলে হুঙ্কার দিয়েছেন এলন মাস্ক। কিন্তু ট্রাম্পের এই প্রত্যাবর্তন সত্যিই কি ভারতকে সবক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেবে? আগেরবার নয়াদিল্লির তীব্র আপত্তিতেই পাকিস্তানকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য স্থগিত করে দিয়েছিল ওয়াশিংটন। জয়েশ প্রধান পাকিস্তানি জঙ্গি মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক জঙ্গিও ঘোষণা করা হয়েছিল ইসলামাবাদ ও তার মেন্টর চীনের অস্বস্তি বাড়িয়ে। এবারও ট্রাম্পের এই প্রত্যাবর্তন দিল্লি-আমেরিকার অস্ত্র সমঝোতা ও বাণিজ্যিক আদান-প্রদান বাড়াতে সাহায্য করবে বলেই একটি মহলের আশা। চীনের দৌরাত্ম্যও কিছুটা কমবে। তবে শুল্ক বিধি কঠোর হলে আদৌ বাণিজ্যিক অগ্রগতি কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। তবে সব ছাপিয়ে ভারতের কৌশলগত চাহিদা নিঃসন্দেহে প্রতিবেশী বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। মার্কিন মুলুকের ফল বেরতেই ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনুসের। জামাতের বাড়বাড়ন্ত ছেঁটে অতঃপর আওয়ামি লিগ নেত্রীর অভিশাপের প্রহর কি কাটবে? তার উত্তর আপাতত ভবিষ্যতের গর্ভে।
সংশয়ের কারণ ট্রাম্প মানুষটা আগাগোড়া বিতর্কিত এবং অপ্রত্যাশিত। রুড, আনপ্রেডিক্টেবল! সাত ও আটের দশকে তিনি গুরু হিসেবে কাছে পেয়েছিলেন কুখ্যাত আইনজীবী রয় কোনকে। যিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্পের জীবনচক্রকে সীমাহীন ক্ষমতা, প্রচার এবং মোকদ্দমার কঠিন পথে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ক্যাসিনোর চাকা আজও ট্রাম্পের জীবন ভাবনাকে পরিচালিত করে। ট্রাম্প তাঁর ‘গুরু’র কাছেই শিখেছিলেন প্রতারণা-চাতুর্য, দাম্ভিক আচরণ, উদ্ধত অহংকার এবং হার না মেনে যেকোনও মূল্যে জয় হাসিলের ঠিকানা খুঁজে বের করার জটিল পাটিগণিত ও রসায়ন। আজ আমাদের চোখে ধরা পড়া ট্রাম্পের নাছোড়বান্দা আগ্রাসী চেহারাও সেই শিক্ষারই ফসল। 
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন সবশেষে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প অনেক কথা বলছেন। দেখতে হবে তার কতটা বাস্তবায়িত হয় পৃথিবীর মাটিতে। একই কথা প্রযোজ্য ভারতের জন্যও। মুখে ঝুলে থাকা মৃদু হাসির আড়ালে ট্রাম্প কিন্তু পাক্কা ব্যবসায়ী।
তবে সব শেষে একটা কথা বলতেই হবে, পৃথিবী যত আধুনিক হচ্ছে পাল্লা দিয়ে সবক্ষেত্রেই চরমপন্থীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। শিক্ষা, সৌজন্য, ধীরে ধীরে বিনয়ের সঙ্গে চিরাচরিত ঢঙে কথা বলা আজ দুনিয়াজুড়ে হেরোদের বিজ্ঞাপন! জয়ীরা আছেন সোচ্চারে, উল্লাসে, অহঙ্কারে এবং বিতর্কের উস্কানিতে। খতমের নেশায়। একেই কি বলে উন্নয়নের সাইড এফেক্ট?
10th  November, 2024
বাজেটের টাকাগুলো সব যাচ্ছে কোথায়?
সমৃদ্ধ দত্ত

মাত্রাছাড়া দূষণ হলে কার ক্ষতি? যারা সরকারের সব কথা মান্য করে তাদের। অর্থাৎ ভোটের সময় ভোট দেয়। কেনাকাটা অথবা আয় করার সময় ট্যাক্স দেয়। আইনশৃঙ্খলা মেনে চলে। সোজা কথায় জনগণ। আর কাদের লাভ? এয়ার পিউরিফায়ার, মাস্ক, নিবুলাইজার এবং অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ কোম্পানিদের। বিশদ

হিটলারের ক্রিকেট দর্শন!
মৃণালকান্তি দাস

টানা পাঁচ দিন খেলার পর একটি টেস্ট ম্যাচ ড্র হতে পারে? পাঁচ দিন ধরে বাইশজন মানুষ মাঠে দৌড়াদৌড়ি করার পরেও একটি ম্যাচের কোনও মীমাংসা হয়নি, এটা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি অ্যাডলফ হিটলার! বিশদ

21st  November, 2024
অবসরের দোরগোড়ায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘কোনো সাম্রাজ্যই তো আজ পর্যন্ত টেঁকেনি... যে সাম্রাজ্য যতই বড় হ’ক। কিন্তু একবারের মতো যে সত্যকার রাজা হতে পেরেছে চিরকালের মতো সে বেঁচে রইল।’ —ঋণশোধ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাম্রাজ্য সত্যিই এক ভয়ানক বস্তু। এতটুকু আঁচ পেলেই ক্ষমতাকে তাড়া করা শুরু হয়ে যায়। বিশদ

19th  November, 2024
মহারাষ্ট্রের অর্থনীতিকে বাঁচান
পি চিদম্বরম

বর্তমান মহারাষ্ট্র রাজ্যটি কংগ্রেস পার্টির তৈরি। বম্বে প্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র নামক রাজ্যের সৃষ্টি হয় ১৯৬০ সালের ১ মে। সেখানে সেদিন থেকে এপর্যন্ত মোট ২০ জন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন (ওই পদে কয়েকজন একাধিকবার বসেছেন ধরে নিয়ে)। 
বিশদ

18th  November, 2024
বিরোধীদের এমন ছত্রভঙ্গ চেহারা কবে দেখেছি?
হিমাংশু সিংহ

শতাব্দীর সেরা প্রহসন বোধ হয় একেই বলে! রাজ্যের তাবৎ বিরোধী শক্তির আজন্ম স্বপ্ন মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠে না। কালীপুজোর রাত এলে ফাটে না একটা বাজিও। দেড় ফুটের চেয়ে উপরে ওঠে না তুবড়ির ঝিলিক দেওয়া ফুল!
বিশদ

17th  November, 2024
আত্মবিশ্বাস নেই বলেই প্রহসনের গাওনা!
তন্ময় মল্লিক

বাংলায় একটা কথা চালু আছে, ‘সস্তার তিন অবস্থা’। সস্তার জিনিস ভালো হয় না, বেশিদিন চলে না, তাই আর্থিক ক্ষতি হয়। দিল্লির বিজেপি নেতারা সম্ভবত এই প্রবাদটি জানেন না। জানলে একটা মিসড কল দিয়ে সদস্য হওয়ার সহজ রাস্তাটা পরিহার করতেন।
বিশদ

16th  November, 2024
ভগবান বিরসা মুন্ডার সার্ধশতবর্ষ উদযাপন
দ্রৌপদী মুর্মু (ভারতের রাষ্ট্রপতি)

তাঁর আকাঙ্ক্ষাগুলি—স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, পরিচয় এবং মর্যাদা—আমাদের দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। ইতিহাসের প্রতিটি প্রেক্ষাপট আমাদের মাতৃভূমির বীর পুত্র এবং কন্যাদের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের অনন্য প্রতিভা দিয়েই ভারতের চেতনার প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিশদ

15th  November, 2024
এক দশকের অপমান
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদি সর্বদাই নতুন কিছু করে দেখাতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে তাঁর পছন্দের সবজেক্ট অথবা প্রিয় হবি হল, নেহরু গান্ধী পরিবারের প্রধানমন্ত্রীদের আমলে ভারতে যা কিছু হয়েছে, সেগুলি বদলে দেওয়া। সম্পূর্ণ নতুন একটি যুগের সূচনা করা। যাকে মহাকাল আখ্যা দেবে মোদিযুগ। বিশদ

15th  November, 2024
ট্রাম্পের জয়, বাংলাদেশের ভয়!
মৃণালকান্তি দাস

তিনি ঘোষিত ‘ঘোর ট্রাম্প বিরোধী’। অন্তত ২০১৬ সালে তাই ছিলেন। সেই বছর প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।’ সেই মহম্মদ ইউনুস এখন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। বিশদ

14th  November, 2024
শতবর্ষে সঙ্গীতের ‘জাদুকর’ সলিল চৌধুরী
সন্দীপন বিশ্বাস

সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন সলিল চৌধুরী। খুব ইচ্ছে তাঁর লেখা কয়েকটা গান যেন ‘হেমন্তদা’ রেকর্ড করেন। সলিল তাঁকে ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের জন্য বাঁধা কয়েকটি গান শোনান। সেই গান শুনে হেমন্ত বললেন, ‘না, এখন এই গান রেকর্ড করা যাবে না। বিশদ

13th  November, 2024
একটি রায় ও তার রাজনৈতিক স্বার্থ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সমাজতন্ত্র। এই একটি শব্দ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অ্যালার্জি চিরকালের। ১৯৭৬ সালে, সংবিধানের ৪২তম সংশোধনীতে ‘সমাজতন্ত্র’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি প্রস্তাবনা বা প্রিঅ্যাম্বলে যুক্ত হয়েছিল। এই ‘উদ্যোগে’র পুরোধা কে ছিলেন? ইন্দিরা গান্ধী। আর সময়টা ছিল জরুরি অবস্থার।
বিশদ

12th  November, 2024
আমেরিকায় বেলাগাম রাজনীতির জয়!
পি চিদম্বরম

আরও একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকা বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রের একটি। সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত সেখানকার নির্বাচনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই জয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে কেউই প্রশ্ন তুলতে পারে না।
বিশদ

11th  November, 2024
একনজরে
গত সেপ্টেম্বর মাসে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি মোট ১ কোটি গ্রাহক হারিয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ট্রাই’। তারা জানিয়েছে, আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রিলায়েন্স জিও প্রায় ৭০ লক্ষ মোবাইল গ্রাহক হারিয়েছে। ...

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হল ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নামে। বৃহস্পতিবার সর্বসম্মতভাবে এই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালত (আইসিসি)। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী নানান কর্মকাণ্ডে জড়িত ...

রাইটস ও রেল বিকাশ নিগমের দেওয়া উপহার ফেরালেন বিহারের আরার সাংসদ সুদামা প্রসাদ। সিপিআই (এমএল)-এর এই সাংসদ লোকসভায় রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। উপহার ফেরানোর কথা তিনি রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। ...

ট্যাব কেলেঙ্কারিতে বিহার যোগ আগেই পেয়েছিল পুলিস। তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার সেরাজ্যের এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস। ট্যাব কেলেঙ্কারিতে ভিনরাজ্যের প্রতারক এই প্রথম গ্রেপ্তার হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৭৪- রবার্ট ক্লাইভের মৃত্যু
১৮৫৬- বিধবা বিবাহ আইনের প্রেক্ষাপটে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয় যে, বিধবা বিবাহ করলে বরকে এক হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে
১৮৭৭- গ্রামোফোন আবিস্কার করেন টমাস আলফা এডিসন
১৯৩৯- রাজনীতিক মুলায়ম সিং যাদবের জন্ম
১৯৪৮- বলিউডের বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালক সরোজ খানের জন্ম
১৯৬৩- টেক্সাসে খুন হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, হামলায় গুরুতর আহত হন টেস্কাসের গভর্নর জন কোনালি’ও, সন্দেহভাজন লি হার্ভে অসওয়াল্ডকে ধরা হল দু’দিন পর পুলিসি হেপাজতে তাকে গুলি করে হত্যা করে জ্যাক রুবি
১৯৬৭- টেনিস তারকা বরিস বেকারের জন্ম
১৯৭০- শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার মারভান আত্তাপাত্তুর জন্ম
১৯৮৬- ট্রেভর বারবিককে হারিয়ে বক্সিংয়ের ইতিহাসে তরুণতম হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হলেন মাইক টাইসন
১৯৮৬- দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিবন্ধী অ্যাথলিট অস্কার পিস্টোরিয়াসের জন্ম
১৯৮৭- সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মৃত্যু
১৯৯৫- প্রকাশিত হল কম্পিউটার ইমেজ দিয়ে তৈরি প্রথম ফিচারধর্মী ছবি ‘টয় স্টোরি’
২০০৩- বাগদাদে ডি এইচ এল এক্সপ্রেস নামক পণ্যবাহী বিমানে ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত হানে জঙ্গিরা, ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই হামলায় বিমানটির বাঁদিকে পাখা ক্ষতিগ্রস্তগ্রস্ত হয়, জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয় সেটি
২০১৬ - কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.৫৯ টাকা ৮৫.৩৩ টাকা
পাউন্ড ১০৫.০৬ টাকা ১০৮.৭৯ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৫ টাকা ৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,২০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৩,৩৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৩০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪। সপ্তমী ৩২/৫৫ রাত্রি ৬/৮। অশ্লেষা নক্ষত্র ২৮/০ সন্ধ্যা ৫/১০। সূর্যোদয় ৫/৫৭/৫৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/৪১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪১ মধ্যে পুনঃ ৭/২৪ গতে ৯/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৪ গতে ২/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৯ গতে ৩/২০ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪১ গতে ১১/২৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫ গতে ৯/৪৪ মধ্যে। 
৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ৯/২০। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৯/১। সূর্যোদয় ৬/০, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৭ মধ্যে ও ৭/৩৯ গতে ৯/৪৬ মধ্যে ও ১১/৫৩ গতে ২/৪৩ মধ্যে ও ৩/২৫ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৯ গতে ৩/৩৪ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/১ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৬ গতে ৯/৪৫ মধ্যে। 
১৯ জমাদিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
১৮ বছর পর সিক্যুয়েল, আসছে ‘ভাগম ভাগ ২’, আগামী বছর থেকে শ্যুটিং শুরু

12:24:25 AM

দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ ভ্যানে অগ্নিকাণ্ড, চাঞ্চল্য কালিয়াচকে
দাঁড়িয়ে থাকা পিকাপ ভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কালিয়াচকে। শুক্রবার ...বিশদ

12:04:08 AM

ব্রাজিল, নাইজেরিয়া ও গুয়ানা সফর শেষ করে নয়াদিল্লি ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

11:05:49 PM

গুয়াহাটিতে ব্যাপক বৃষ্টি, জলমগ্ন একাধিক এলাকা

09:32:00 PM

ভোপালের সমাতভা ভবনে জেলাশাসক-কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের

09:29:00 PM

চেন্নাইয়ের দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গেলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন

09:25:00 PM