ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য ... বিশদ
দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, হাসপাতালের বর্জ্য একটি নির্দিষ্ট সংস্থার সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার কথা। তা তো হচ্ছেই না বিভিন্ন চিকিৎসার সামগ্রী আমাদের ডাস্টবিনের সামনে পড়ে থাকছে। পুরকর্মীদের তা সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তাঁদের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। আমরা হাসপাতালকে আগে বিষয়টি জানিয়েছি। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মহম্মদ ইউনুস বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আনা হয়নি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। এই ঘটনা কখনই কাম্য নয়।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, পরিষেবা নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছে এই সময়ে। পাশাপাশি সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট চালু করার সময়েও হাসপাতালের বর্জ্য নিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়। বিশেষ করে শহরবাসীদের জানানো হয়। পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য ও মেডিক্যাল বর্জ্য আলাদা করে রাখতে। এর প্রধান কারণ বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ রিসাইকেল করা হচ্ছে। এই সংক্রমণ যুক্ত হাসপাতালের বর্জ্য প্রকাশ্যে চলে গেলে বিপদ ঘটতে পারে। শহরবাসী বিষয়টি ভালোমতো জেনে গেছেন। এখন সেই শহরের বাসিন্দারাই দেখছেন হাসপাতালের সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ থেকে রোগীদের ব্যবহার করা নানা চিকিৎসা সামগ্রী। যাতে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহর জন্য একটি সংস্থা বরাত পেয়েছে। এই কাজ পুরসভারও করার কথা নয়। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীমান রায় বলেন, হাসপাতালের বর্জ্যগুলি একটি নির্দিষ্ট বিনে ঢুকিয়ে বাইরে রাখতে হয়। তা সংগ্রহ করে সংস্থাটি। সেই বিনগুলি যথেষ্ট দামী। হাসপাতালের সাফাই কর্মীরা বাইরে তা নামিয়ে দেওয়ার পর সেগুলি চুরি হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের বর্জ্যগুলি রাস্তায় ফেলে বিনগুলি নিয়ে পালাচ্ছে। এই কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, প্রায় এক মাস ধরে এই ঘটনা ঘটছে।