কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
কোর্সগুলি করে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সরকারি, আধা-সরকারি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে নেওয়া আর্কিওলজিক্যাল, জিওলজিক্যাল এবং অ্যানথ্রোপলজিক্যাল অভিযান ও খননকাজের সময়ে এবং বিভিন্ন পুরাতাত্ত্বিক সৌধের সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের কাজে চাকরির সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি উদ্বোধন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের হেরিটেজ সেল-এ কোর্সগুলি পরিচালিত হবে। পাঠদানে প্রধান ভূমিকা নেবেন ‘রাখালদাস ব্যানার্জি: দি ফরগটেন আর্কিওলজিস্ট’ বইয়ের লেখক এবং আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন আঞ্চলিক ডিরেক্টর এবং বর্তমানে মাকাউট-এর হেরিটেজ সেল-এর ডিরেক্টর ডঃ ফণিকান্ত মিশ্র।
প্রত্নতত্ত্বকে একাধারে সমাজবিজ্ঞান এবং শিল্পকলার সংমিশ্রণ বলা যায়। এই বিষয়ে পাঠ্যক্রমে থাকবে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষা ও খননকাজ চালানোর কায়দা, এবং সেখান থেকে সংগ্রহ করা তথ্য বিশ্লেষণ করে অতীত সম্পর্কে ধারণা করার শিক্ষা। থাকবে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন মন্দিরের স্থাপত্যের পার্থক্য, যাতে এই বিভিন্ন ধরনের মন্দিরে সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধারের কাজ চালানোর সময়ে কোনও অসুবিধা না হয়। মন্দিরের গায়ে খোদিত বা অঙ্কিত পুরাতত্ত্বের বিভিন্ন গল্প, মহাকাব্য, পুরাণ, জাতকের গল্প ইত্যাদি নিয়েও প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হবে পড়ুয়াদের। কোন মূর্তি কোন ধরনের পাথরে তৈরি— সেগুলি স্যান্ডস্টোন, না গ্রানাইট, নাকি সিস্ট পাথর থেকে খোদিত, সে সম্পর্কেও জানানো হবে ছাত্রছাত্রীদের। কারণ বিভিন্ন ধরনের পাথরের মূর্তি ও কারুকার্যের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াও বিভিন্ন হবে। এছাড়া রোজকার দূষণ, রোদ-জল থেকে স্থাপত্যকে রক্ষা কীভাবে করতে হবে, জানানো হবে সেইসব কায়দাও। তবে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে খনন, পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণের কাজ হাতে কলমে করার উপরে।