Bartaman Patrika
 

মারণ করোনা 

ভাইরাসটির গায়ে থাকা স্পাইক মানুষের শরীরের অবস্থিত রিসেপটরের সঙ্গে খাপে খাপ আটকে যায়। যার জেরেই এই মৃত্যুমিছিল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানী-গবেষকেরা। লিখছেন কল্যাণকুমার দে...

করোনা ভাইরাসের দাপটে তটস্থ তামাম বিশ্ব। মারাত্মক এই চীনা ভাইরাসের পুরো নাম — নোভেল করোনা ভাইরাস বা ২০১৯-এনসিওভি। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম মানুষের শরীরে এই নয়া সংস্করণের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নজরে আসে। তারপর চীনের প্রায় ১৪টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণ। এমনকী থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, মালয়েশিয়াতেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কিছু মানুষ। শুধুমাত্র চীনেই ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭০০ জনের।
করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক লক্ষণগুলি হল, গলাব্যথা, জ্বর, মাথাব্যথা, ভয়ানক শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। আসলে চেনা উপসর্গের আড়ালেই ঘাপটি মেরে থাকে করোনা ভাইরাস। এর কামড় ভয়াবহ। সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই বোঝা যায় না। উপসর্গগুলি প্রকট হতে ২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। এই ভাইরাসের মোকাবিলার উপায় বিজ্ঞানে এখনও অধরা।
ভাইরাস কী: ভাইরাস একপ্রকার আনুবীক্ষণিক বস্তু বা কণা। আর পাঁচটা জীবাণুদের মতো নয়। এরা অকোষীয়। স্বাধীন অবস্থায় জড় বস্তুর মতো আচরণ করে। অকোষীয় প্রকৃতির জন্যই ভাইরাস বাধ্যতামূলক পরজীবী যারা সুনির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া, উদ্ভিদ ও মানুষসহ নানান প্রাণীর দেহে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ও সংক্রামক রোগের জন্যে দায়ী। এরা স্বাধীন প্রজননে অক্ষম। অথচ জীবকোষে ঢুকলে এরা সজীব এবং স্ব-জননে সক্ষম হয়ে ওঠে। শেষে সংহার মূর্তি ধারণ করে পোষক কোষকে ধ্বংস করে দেয়।
করোনার বিশেষত্ব: প্রত্যেক ভাইরাস প্রোটিনের একটি আঁটসাঁট বহিরাবরণ দ্বারা পরিবৃত। একে ক্যাপসিড বলে। ক্যাপসিডের মোড়কের মধ্যে থাকে নিউক্লিক অ্যাসিড — ডিএনএ অথবা আরএনএ। করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে ক্যাপসিডের মধ্যে থাকে একটি একতন্ত্রী, পজিটিভ আরএনএ, যা কুণ্ডলীর মতো পাকিয়ে থাকে। আরএনএ থাকে বলে একে রেট্রোভাইরাসও বলে। করোনা ভাইরাসের জিনোমের আকৃতি মোটামুটিভাবে ২৬ থেকে ৩২ কিলেবেস। করোনা ভাইরাস কথাটি ল্যাতিন শব্দ থেকে এসেছে। করোনা নামটির অর্থ হল ‘মুকুট’ বা ‘সূর্যের জ্যোতির্বলয়’। কারণ ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে এদের চেহারাটা সেইরকমই দেখায়। চীনের নব্য প্রজাতির বা স্টেনের করোনা ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘২০১৯ এনসিওভি। এর অর্থ হল, ২০১৯ সালে এই ভাইরাসের অস্তিত্বের কথা জানা গিয়েছে। ‘এন’ বা নোভেল যার অর্থ হল, নতুন বা অভিনব, ‘সিও’র অর্থ করোনা এবং ‘ভি’ হল ভাইরাস।
অন্যান্য প্রাণী ভাইরাসের মতো করোনা ভাইরাসে ক্যাপসিডে একটি অতিরিক্ত প্রোটিন-লিপিড-এর আবরণ বা এনভেলপ থাকে। এই আবরণের বাইরের দিকে ছোট ও বড় দু’ধরনের কাঁটার বা আলপিনের মতো অভিক্ষেপ থাকে। একে স্পাইক বলে। বড় স্পাইকগুলি গ্লাইকো প্রোটিন যৌগ দিয়ে তৈরি। ছোট স্পাইকগুলি হিমোগ্লুটিনিন প্রোটিন দিয়ে তৈরি। এই প্রোটিন অ্যান্টিজেন রূপে কাজ করে এবং মানুষের শরীরে প্রবেশের পর রক্তের লোহিত কণিকাগুলিকে পিণ্ডে পরিণত করে।
কীভাবে হানাদারি: প্রাণী ভাইরাসদের মধ্যে করোনা ভাইরাস ও তার অনেক আত্মীয়স্বজন মিলে তৈরি করে একটি বড় করোনা ভিরিডি পরিবার। তাদের প্রত্যেকেই কোনও না কোনও প্রাণীর দেহকে পোষক হিসাবে ব্যবহার করে নিজেদের প্রয়োজনে বংশবৃদ্ধির কাজটা সেরে নেয়। ভাইরাস কেবল সুনির্দিষ্ট পোষক কোষকেই আক্রমণ করে। এই বৈশিষ্ট্য ভাইরাসের ডিএনএ বা আরএনএ-তে অবস্থিত জিনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
এখানে প্রশ্ন, করোনা ভাইরাস কীভাবে এক সুনির্দিষ্ট প্রাণীদেহ থেকে সম্পর্কহীন নতুন প্রাণীদেহে বা মানুষের দেহে প্রবেশ করে? এর পিছনে রয়েছে ভাইরাসের পরিব্যক্তি। পরিবেশের নানান অবস্থায় ভাইরাসেরা অনুভূতিশীল এবং এই কারণেই তারা পরিবেশের পরিবর্তিত অবস্থার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারে। ভাইরাসের এই ধর্মকেই বলা হয় পরিব্যক্তি। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই পরিব্যক্তিই করোনা ভাইরাসকে মনুষ্যমুখী অভিযোজনে সাহায্য করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জিনের কারসাজিও।
জিনগত পরিবর্তন বা মিউটেশন: করোনা ভাইরাসের পোষক বদল এবং ঘাতক হয়ে ওঠার পিছনে তাদের জিনগত পরিবর্তনটা অত্যন্ত আবশ্যিক। উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই। নতুনই হোক বা পুরনো, ভাইরাস পোষক কোষের পরিকাঠামোকেই জবরদখল বা ছিনতাই করে। এরা নিজেদের প্রয়োজনে বংশবৃদ্ধির কাজটা সেরে নেয়। জিনগত পরিবর্তনই ভাইরাসের নানারকম গঠনগত পরিবর্তন ঘটায়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এই পরিবর্তনের ফলে ভাইরাসের অভিক্ষেপেরও পরিবর্তন ঘটে।
সবরকম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণ করে জিন। একাধিক জিনের একটি নির্দিষ্ট সজ্জাক্রম থাকে। এই সজ্জাক্রমের বা জিনের মূল ক্ষারীয় উপাদানের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পরিবর্তনের ফলে ঘটে যায় জিনগত পরিবর্তন এবং জীবের চরিত্রের রদবদল। করোনার ক্ষেত্রে জিনগত পরিবর্তনের আশঙ্কা কেন? পোষক পরিবর্তনের সূত্র ধরেই এসে পড়েছে করোনার জিনগত পরিবর্তনের বিষয়টা। বিশেষ করে প্রাণী ভাইরাসের ক্ষেত্রে জিনের পরিবর্তন অহরহই ঘটে। এই পরিবর্তনশীল এবং পরিব্যক্তিশীল ভাইরাসের জিনোম রহস্যই বিজ্ঞানীদের রীতিমতো মাথা ঘুরিয়ে দিচ্ছে।
প্রাণী ভাইরাসের ক্ষেত্রে ভাইরাস যখন পোষক কোষকে আক্রমণ করে, তখন ভাইরাস অভিক্ষেপের সাহায্যে পোষক-কোষের আবরণীতে অবস্থিত রিসেপটারের সঙ্গে আবদ্ধ হয়। পোষক বদলের সময় ভাইরাসের অভিক্ষেপের গঠন না বদলালে নতুন পোষক কোষের রিসেপটারের সঙ্গে আটকাবে না। ফলে ব্যর্থ হবে নতুন পোষক কোষে ঢোকার প্রচেষ্টা। কিন্তু সফল হলে আক্রমণ জোরদার হবে। এই সাফল্যই ভাইরাসকে ক্রমশ অচেনা করে তুলছে। করোনা তার বদলে যাওয়া গ্লাইকোপ্রোটিনের স্পাইকের সাহায্যে কোষপর্দায় অবস্থিত ‘অ্যানজিওটেনসিন কনভার্টিং এনজাইম ২’ বা এসিই-২ নামক রিসেপটরের সঙ্গে খাপে খাপ আটকে যায়। এই বিষয়টি ভাইরাসের পোষক কোষের ভিতরে প্রবেশ করাকে সুবিধা করে দেয়। পোষক কোষে আটকানোর পর ইনজেকশন প্রক্রিয়ায় ভাইরাস তার শুধুমাত্র আরএনএ কোষের ভেতরে পাঠিয়ে দেয় অথবা এন্ডোসাইসিস প্রক্রিয়ায় আস্ত ভাইরাসই ঢুকে যায়। পরে ক্যাপসিড অংশ অপসারিত হয়। এরপর একতন্ত্রী পজিটিভ আরএনএ থেকে একতন্ত্রী নেগেটিভ আরএনএ তৈরি হয়। সেটাকেই ছাঁচ হিসেবে ব্যবহার করে পোষক কোষের সমন্বয়ী কৌশলকে কাজে লাগিয়ে ফোটোকপির মতো অসংখ্য পজিটিভ একতন্ত্রী আরএনএর প্রতিলিপি তৈরি করে।
একইসঙ্গে নতুন ক্যাপসিড প্রোটিনও উৎপন্ন হয়। অবশেষে নতুন ক্যাপসিড এবং নতুন আরএনএ একত্রিত হয়ে নতুন ভাইরাস তৈরি করে। পরিণত ভাইরাস কণাগুলি পোষক কোষ থেকে বের হয়ে আবার অন্য কোষগুলিকে আক্রমণ করে। আক্রমণের মাত্রা যত বাড়তে থাকে তত পোষকের দেহে রোগের উপসর্গগুলি প্রকাশ পায়।
করোনার ইতিহাস: ২০০২-২০০৩ সালে ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম’ (এসএআরএস) বা সার্স-এর সংক্রমণে দুনিয়াজুড়ে প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পিছনেও ছিল করোনা ভাইরাস। চীনের এই ভয়ঙ্কর নয়া করোনা ভাইরাস সেই সাবেক করোনা ভাইরাসেরই এক নতুন সংস্করণ বা জ্ঞাতি। তারই দাপটে ছড়াচ্ছে এই বিশ্বত্রাস। তাই সার্স-এর তুতোভাই বলে ভাবা হচ্ছে হালের করোনা ভাইরাসকে। আপাতত এটিকে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামে ডাকা হচ্ছে। তবে এখনই নয়া ভাইরাসটিকে ‘সার্স’-এর মতো বিপজ্জনক ভাবার কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছেন চিকিৎসসকেরা। কিন্তু এদের গঠন, বৈশিষ্ট্য, অভিযোজন ক্ষমতা বা সংক্রমণের মাধ্যমের মতো বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে জানা নেই। আর এখানেই আশঙ্কা। কারণ কীভাবে এই ভাইরাসের প্রকোপকে ঠেকানো যাবে, তা নিয়ে অন্ধকারে চিকিৎসক-গবেষকরা।
২০১২ সালের মিডল-ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা ‘মার্স’ নামে এক ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাস ঘটিত রোগ ধরা পড়ে সৌদি আরবে। এ রোগের মূলেও ছিল করোনা ভাইরাস। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি বলে, একে মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বলা হয়। মানুষজন ও মাল বহনকারী উটেরাই ছিল এই ভাইরাসের বাহক।

চীনের উহানের এক রিপোর্টে পর্যটকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, অসুস্থ মানুষদের থেকে দূরে থাকুন, বিশেষ করে যাঁদের মধ্যে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। যদি আপনি সফর করেন, তবে নিউমোনিয়া বা সর্দি, নাক থেকে জল পড়ছে, কাশি হচ্ছে এমন মানুষ থেকে দূরে থাকুন। সম্ভবত হাঁচি বা কাশি থেকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস। কিন্তু এর প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করলেই মুক্তি পাওয়া যাবে না। তবে ‘এন-৯৫’ মাস্ক ব্যবহার করলে ভাইরাল সংক্রমণে কিছুটা লাগাম টানা যেতে পারে।
এ ব্যাপারে ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিভিসি) এবং ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’ (হু)-এর মতো স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি পরামর্শ দিয়েছে, হাত না ধুয়ে কেউ যেন তাঁদের নাক, চোখ, মুখে যেন হাত না দেয়। সাবান ও জল দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত রগড়ে পরিষ্কার করা উচিত। খামার ও জীবিত পশুদের থেকে দূরে থাকুন।
নোভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিতে চীন থেকে আসা যাত্রীদের জন্যে অভিবাসন জায়গায় থার্মাল ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর সাহায্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শণাক্ত করা হচ্ছে। সমস্ত সজীব বস্তুর দেহ থেকে অবলোহিত শক্তি বা তাপ নির্গত হয়। থার্মাল ক্যামেরার ভেতরে যে তাপ সেন্সর থাকে তা মুহূর্তের মধ্যে সেই তাপমাত্রা মেপে নিয়ে ডিসপ্লে স্ক্রিনে তার একটি তাপচিত্র দেখিয়ে দেয়। সেই তাপমাত্রা যদি দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে বেশি হয় তাহলে বোঝা যাবে কোনও সংক্রমণের দরুণ শরীরে জ্বর বা তাপমাত্রার বৃদ্ধি ঘটেছে। এভাবেই দেহের তাপমাত্রার ভিত্তিতে অসুস্থ মানুষকে আলাদা করা হয় এবং পরবর্তী চিকিৎসার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা যায়। তবে, এ রোগে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই, নেই কোনও ভ্যাকসিনও।
(লেখক হুগলি মহসিন কলেজের প্রফেসর, ডব্লুবিএসইএস) 
09th  February, 2020
মোবাইলে গেম ডাউনলোড করার কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট 

জেন ওয়াই প্রজন্ম ভীষণ গেম খেলতে ভালোবাসেন। বাসে-ট্রেনে-ট্রামে প্রায় সব জায়গাতেই মোবাইল হাতে গেম খেলতে দেখা যায় তাঁদের। অ্যান্ড্রোয়েড প্লে-স্টোর বা আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে তাঁরা বেশিরভাগ গেম ডাউনলোড করে থাকেন। কিন্তু, এমন কিছু গেম রয়েছে, যা প্লে-স্টোরে পাওয়া যায় না।  
বিশদ

09th  February, 2020
চলতি বছরেই বাজারে আসছে ১১৭টি ইমোজি 

ইমোজি। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের যুগে যা ছাড়া আমরা চলতেই পারি না। শব্দের বদলে ইমোজি দিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করাতেই স্বচ্ছন্দ নতুন প্রজন্ম। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই প্রতিবছর নতুন নতুন ইমোজি বাজারে নিয়ে আসে ‘ইউনিকোড কনসর্টিয়াম’। এই সংস্থাটি নতুন ইমোজি বাজারে আনার ছাড়পত্র দেয়।
বিশদ

09th  February, 2020
এবার থেকে মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর দেবে সরকার 

আরও বেশি গ্রাহক সুরক্ষা, না কি তার আড়ালে নজরদারি? এবার থেকে মোবাইলে আইএমইআই নম্বর দেবে ভারত সরকারই। এতদিন ১৫ সংখ্যার এই নম্বর সরবরাহ করতো আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘জিএসএমএ’। ভারতে এই সংস্থার হয়ে মোবাইল স্ট্যান্ডার্ড অ্যালায়েন্স অব ইন্ডিয়া (এমএসএআই) আইএমইআই সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্ম চালাত। 
বিশদ

09th  February, 2020
 টিভির ভোলবদল

 শৌণক সুর: বর্তমান যুগে টিভি ছাড়া বাড়িতে থাকাই দায়। সারাদিন পর বাড়িতে ফিরেই সুইচ অন করে বোকাবাক্সের সামনে বসে পড়া যেন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আশির দশকে টিভিতে খবর সম্প্রচার ছাড়া বিনোদনের তেমন কোনও অনুষ্ঠানই ছিল না। বিশদ

27th  January, 2020
এই বোস সেই বোস নয়

মৃণাল শীল: আমরা দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর ছাত্রাবস্থার একটি ঘটনার সঙ্গে সকলেই পরিচিত। সেটি হল, প্রেসিডেন্সি কলেজের ইতিহাসের এক ইংরেজ অধ্যাপক ওটেন সাহেব এক বাঙালি ছাত্রকে বিনা কারণে অপমান করেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় গোটা প্রেসিডেন্সি কলেজ।  
বিশদ

12th  January, 2020
অদৃশ্য ক্যামেরার ফোন!

রোটেটর, পপ আপ, আন্ডার ডিসপ্লে ক্যামেরার স্মার্টফোনের দুনিয়ায় নতুন সংযোজন। ছবি তোলার পরই অদৃশ্য হয়ে যাবে ক্যামেরা। এমনই অভিনব প্রযুক্তির স্মার্টফোনের আত্মপ্রকাশ করল ওয়ান প্লাস। সম্প্রতি লাস ভেগাসে আয়োজিত ‘কনজিউমার ইলেক্ট্রনিক্স শো’-তে (সিইএস ২০২০) মডেলটি প্রকাশ্যে এনেছে ওয়ান প্লাস।
বিশদ

12th  January, 2020
রোদ্দুর ছুঁতে সূর্যের দেশে পাড়ি দিচ্ছে ভারত 

বিনয় মালাকার: চাঁদের পর এবার সূর্য। পরপর দু’বার চন্দ্র অভিযানের সাফল্যের পর ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরোর এখন লক্ষ্য সূর্য। সূর্যের অগ্নি বলয়ে হয়তো পৌঁছনো সম্ভব হবে না, তবে সূর্যের অনেকটাই কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চালানো হবে।  
বিশদ

12th  January, 2020
সেরা কিছু প্রযুক্তিগত উন্নতি 

১০৮, ৪৮ ও ৬৪ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা: মোবাইল ক্যামেরার অগ্রগতি ডিএসএলআর জগৎকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। বিশ্বে প্রথমবার ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা সেন্সর বাজারে নিয়ে এসেছে স্যামসাং।  বিশদ

29th  December, 2019
এ বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব 

২০১৯ সালে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে অবদান রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে এক ঝলকে খুঁজে নেওয়া কয়েকজন...  বিশদ

29th  December, 2019
জীবজন্তু 

প্রতিবছরই কিছু না কিছু নতুন প্রজাতির জীবজন্তু আবিষ্কার হয়। ২০১৯ সালও তার ব্যতিক্রম ছিল না। সেরকমই কয়েকটি প্রাণী হল  বিশদ

29th  December, 2019
এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা 

 ১ জানুয়ারি: মানববিহীন মহাকাশযান নিউ হরাইজন্‌স সৌর জগতের দূরতম প্রান্তে অবস্থিত কাইপার বেল্টের মহাজাগতিক বস্তু ২০১৪ এমইউ৬৯-এর কাছে পৌঁছয়।
 ৩ জানুয়ারি: মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে প্রথমবার চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠে অবতরণ করে চীনা মহাকাশযান চ্যাং ই-৪।  বিশদ

29th  December, 2019
ইলেকট্রনিক্সের ইতি!
আলোয় চলবে নতুন
যুগের কম্পিউটার

রক্তিম হালদার: বর্তমানে ‘কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি’র মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে তামাম বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন একটাই — তাহলে কি আজকের যুগের সাধারণ ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের বদলে খুব শীঘ্রই বাজারে আসতে চলেছে ‘কোয়ান্টাম কম্পিউটার’? 
বিশদ

08th  December, 2019
 কৃত্রিম ত্বক নিয়ে মানুষ
হয়ে উঠবে রোবট

 সৌম্য নিয়োগী: রোবটরাও এবার হয়ে উঠবে মানুষের মতো! কৃত্রিম নয়, যন্ত্রমানবের শরীরেও থাকবে ব্যথা-বেদনা-ভালোবাসার মতো অনুভূতি। রোবটকে জড়িয়ে ধরলে সে লজ্জা পাবে। ভালোবেসে জড়িয়েও ধরবে। হাতে হাত রেখে মনও পড়তে পারবে সে। ঠান্ডা-গরম, হাসি-কান্না, আশঙ্কা — সব‌মিলিয়ে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ই কাজ করবে যন্ত্র শরীরে।
বিশদ

08th  December, 2019
যন্ত্র কখনই চেতনা সম্পন্ন হবে না
বেদান্ত দর্শন তুলে ধরে বসু বিজ্ঞান
মন্দিরে বলে গেলেন সুভাষ কাক

 দেবজ্যোতি রায়: আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতিতে অনেক কাজই আর মানুষকে করতে হচ্ছে না। করে দিচ্ছে যন্ত্র। কর্মচ্যুত হচ্ছেন বহু চাকুরিজীবী। এআইয়ের অগ্রগতির ফলে বর্তমান গোটা বিশ্বজুড়ে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। আশঙ্কা, সংশয়ের প্রহর গুনছে তামাম দুনিয়া।
বিশদ

08th  December, 2019

Pages: 12345

একনজরে
 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে, সেগুলির কয়েকটির বাজার বন্ধকালীন দর। ...

সংবাদদাতা, বালুরঘাট: সরকারি আইটিআই প্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠন লাটে ওঠার অভিযোগ তুলে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার জমালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামজীবনপুর আইটিআইতে।   ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী আর্থিক বছর থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক খরচের বিল অনুমোদনের ক্ষেত্রে দপ্তরগুলিকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে না। তাই দপ্তরগুলিকে বরাদ্দ টাকা যথাযথভাবে ও নিয়ম মেনে খরচ করার পরামর্শ দিয়েছে অর্থদপ্তর। দপ্তরগুলির আর্থিক পরামর্শদাতাদের সঙ্গে অর্থদপ্তরের বৈঠকের পর এই ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কলকাতা কর্পোরেশনের ভোটে ওয়ার্ড ভিত্তিক সমস্যা তুলে ধরতে নাগরিকদের কাছে বিশেষ সমীক্ষক টিম পাঠাচ্ছে বিজেপি। মহানগরের ১৪৪টি ওয়ার্ডের নিত্যদিনের সমস্যার চিত্র তুলে ধরতে চাইছে গেরুয়া শিবির। ভোটের প্রচারে স্থানীয় স্তরে এই ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে শাসক তৃণমূলকে বিঁধতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২- ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮- লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩১- স্বাধীনতা সংগ্রামী চন্দ্রশেখর আজাদের মৃত্যু
১৯৩৬- চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম
২০১২- কিংবদন্তি ফুটবলার শৈলেন মান্নার মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮৯ টাকা ৭২.৫৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.৫৯ টাকা ৯৪.৮৮ টাকা
ইউরো ৭৬.৪৯ টাকা ৭৯.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৬০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৬০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) চতুর্থী অহোরাত্র। রেবতী ৪৭/৪০ রাত্রি ১/৮। সূ উ ৬/৪/১৪, অ ৫/৩৫/২, অমৃতযোগ রাত্রি ১/৫ গতে ৩/৩৫ বারবেলা ২/৪২ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৯ গতে ১/৩৫ মধ্যে। 
১৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, চতুর্থী, রেবতী ৪২/২৩/২২ রাত্রি ১১/৪/৩৪। সূ উ ৬/৭/১৩, অ ৫/৩৪/৯। অমৃতযোগ দিবা ১/০ গতে ৩/২৮ মধ্যে। কালবেলা ২/৪২/২৫ গতে ৪/৮/১৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫০/৪১ গতে ১/২৪/৪৯ মধ্যে। 
২ রজব 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল
মেষ: লটারি, শেয়ার ফাটকায় অর্থপ্রাপ্তির যোগ। বৃষ: বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
১৮০২- ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮- লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩১- ...বিশদ

07:03:20 PM

এসএসকেএম থেকে ছাড়া পেল পোলবা দুর্ঘটনায় জখম দিব্যাংশ ভকত 

07:08:00 PM

দিল্লি হিংসার ঘটনায় দুটি সিট গঠন করল ক্রাইম ব্রাঞ্চ 

06:49:02 PM

১৪৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:08:26 PM

জলপাইগুড়িতে ২১০ কেজি গাঁজা সহ ধৃত ৩ 

03:39:45 PM