প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। ... বিশদ
মহকুমা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার পাঁচটি ব্লকে ৩ হাজার ৩৬৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। তারমধ্যে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার জন্য ১৪০ হেক্টর জমি ধসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিটি ব্লকেই কৃষিদপ্তরের আধিকারিকরা ঘুরে ঘুরে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। সেই রিপোর্ট জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মহকুমা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এবিষয়ে কাটোয়া মহকুমা সহ কৃষি উপ অধিকর্তা তপন কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা পুরো জমির রিপোর্ট জেলায় পাঠিয়েছি। এবছর ধসা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় আলুর ফলন কিছুটা হলেও মার খাবে বলে মনে হচ্ছে।
আরও জানা গিয়েছে, কাটোয়া-১ ব্লকে ৭২০ হেক্টর জমিতে এবছর আলু চাষ হয়েছিল। তারমধ্যে ধসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৫হেক্টর জমি। কাটোয়া-২ ব্লকে ২৮০ হেক্টর জমিতে এবছর আলু চাষ হয়েছিল। তারমধ্যে ধসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হেক্টর জমি। কেতুগ্রাম-১ ব্লকে ১৬০ হেক্টর জমিতে এবছর আলু চাষ হয়েছিল। তারমধ্যে ধসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে ২৫ হেক্টর জমি। কেতুগ্রাম-২ ব্লকে ৩০৫ হেক্টর জমিতে এবছর আলু চাষ হয়েছিল। এরমধ্যে ৬০ হেক্টর জমি ধসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মঙ্গলকোট ব্লকে ১৯০০ হেক্টর জমিতে এবছর আলু চাষ হয়েছিল। এরমধ্যে ধসা রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হেক্টর জমি।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, আলু সাধারণত অক্টোবরের শেষ এবং নভেম্বরের গোড়ার দিকে চাষ শুরু হয়। কিন্তু, এবার ওই সময় বৃষ্টিপাত হয়। তাই অনেকে চাষিই নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আলু চাষ করেন। তারপর মাঝে মধ্যেই বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে ধসা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিষেধক ওষুধ স্প্রে করেও ধসা রোগের হাত থেকে আলু গাছকে বাঁচাতে পারেননি চাষিরা। মঙ্গলকোটের আলু চাষি উত্তম হালদার, কেতুগ্রামের চাষি হৃদয় মাঝি বলেন, স্প্রে করেও ধসা রোগ আটকানো যায়নি। জমির কিছুটা অংশজুড়ে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। তাতে ফলন কিছুটা কম হবে বলে মনে হচ্ছে।
কেতুগ্রামের পালিটা এলাকার আলু চাষি পলাশ সাহা বলেন, গতবার দু’বিঘা জমিতে চন্দ্রমুখী আলু লাগিয়ে ছিলাম। ফলন খুব বেশি না হলেও চাষের খরচ উঠেছিল। কিন্তু, এবার যেভাবে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে তাতে ফলন তো কমবেই। চাষের খরচ কীভাবে উঠবে বুঝতে পারছি না। এবার দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় আলু লাগাতে দেরি হয়েছিল। তার উপর কুয়াশা আর ঠান্ডার দাপটে ধসা রোগ জমির অর্ধেক অংশজুড়ে দেখা দিয়েছে।
এদিকে, কেতুগ্রাম-১ ব্লকের এডিএ বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, আমাদের ব্লকে আলু চাষ এবার কিছুটা কম হয়েছিল। তাছাড়া ধসা রোগের প্রকোপটাও কম। তবে এবছর বৃষ্টি, কুয়াশা আর ঠান্ডার প্রকোপ একটু বেশি হওয়ায় ধসা রোগ হয়েছে।