শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
প্রসেনজিৎ সরকার: মাটি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চাষ করে উন্নতমানের ফসল উৎপাদন ও অধিক মাত্রায় কীটনাশকের ব্যবহারের পরিবর্তে কম খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে রোগপোকা দমনের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষিদপ্তর। জলপাইগুড়ি কৃষি আধিকারিক মেহফুজ আহমেদ বলেন, সচেতনতা শিবিরগুলিতে মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জমির উর্বরতাশক্তি বাড়াতে চাষিদের জৈব পদ্ধতিতে চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পরীক্ষার ভিত্তিতে চাষ করলে উৎপাদন বাড়বে খরচ অনেকটাই কম হবে। তবে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা কখনওই উচিত নয়। তাতে উৎপাদন কমে যেতে পারে। ফসলে ক্ষতিকর কীটনাশক মিশে গেলে স্বাস্থ্যর ক্ষতি হবে। রাসায়ানিক সার প্রয়োগ করা হলে তা সুসংহত মাত্রায় ব্যবহার করা উচিত। জমিতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপকরণ সহ পিএইচ মাত্রা সুষম হতে হবে। উপকারী জীবাণুও থাকতে হবে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহারে মাটির স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। অতিরিক্ত খরচ করে রাসায়নিক সার প্রয়োগে মাটির উর্বরতাশক্তি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এতে ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তাই জৈবসার ব্যবহারে মাধ্যমে চাষ করলে মাটির উর্বরতাশক্তি বাড়বে। ফলন হবে সুস্বাদু ও তার মান হবে ভালো। রোগের আক্রমণ অনেকটাই কমবে। বছরের পর বছর ধরে মাটি পরীক্ষা না করে একই ধরনের সার জমিতে প্রয়োগের ফলে উৎপাদন কমে যাচ্ছে। মাটিতে কী ধরনের উপাদান রয়েছে কিংবা কোন চাষের জন্য কত পরিমাণ সার দরকার ও কেমন সার প্রয়োজন, কোন জমিতে কত পরিমাণ অনুখাদ্য দরকার তা নির্ধারণ করতে হবে।
