শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
কলকাতায় কাজ করতে করতে বাংলা কতটা শিখলেন?
বুঝতে সবটাই পারি। তবে, একটু একটু বলতে পারি। আসলে গ্রামার (ব্যাকরণ) গন্ডগোল হয়ে...
যায়।
হ্যাঁ, হয়ে যায়। (হাসি)
আপনি বাংলা সারেগামাপা-এর একজন বিচারক। বাংলার নতুন প্রতিভাদের সম্পর্কে কী মনে হচ্ছে?
বাংলার প্রতিভাদের নিয়ে আমি চিরকালই ভীষণ আশাবাদী। আগেও দেখেছি, বাংলা সারেগামাপা জয়ীরা সর্বভারতীয় অনেক শোয়েও দারুণ পারফর্ম করেছে। বাংলার রক্তে গান। ঘরে ঘরে গানের চর্চা হয়। এটা আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করে। কলকাতায় যেমন বিচারকের দায়িত্ব সামলাচ্ছি, তেমনই ওখান থেকে অনেক নতুন কিছু শিখছিও।
‘বেঙ্গল টাইগার’ টিমের একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করছেন মিউজিক লিগে। কেমন অনুভূতি হচ্ছে।
কিছুটা নার্ভাস বলতে পারেন। কারণ, শানের কো-ক্যাপ্টেন হিসেবে পুরো দলের দায়িত্ব আমার কাঁধে। আর শো-টাও একটু অন্য ধরনের। শ্রোতারা আমাদের বিচার করবেন, ভোট দেবেন। এতদিন আমরা বিচারকের দায়িত্ব পালন করে এসেছি, এবার আমাদের বিচারের পালা। নতুন কিছু করার চেষ্টা করব। দেখা যাক দর্শকদের হৃদয় জিততে পারি কি না।
এই চ্যানেলের ‘সারেগামাপা’ আগে থেকেই প্রবল জনপ্রিয়। মনে হয় না, ওই শোয়ের সঙ্গে মিউজিক লিগের পদে পদে তুলনা হবে?
মিউজিক লিগ রিয়েলিটি শো হলেও এর কিন্তু নতুনত্ব রয়েছে। এখানে নতুন প্রতিভাদের বিচার করা হবে না। এখানে পরীক্ষা দিতে হবে এমন কয়েকজনকে, যাঁরা সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। আর বিচার করবেন জনতা জনার্দন। আমাদের কেরিয়ারের ক্ষেত্রেও এটা চ্যালেঞ্জিং।
কলকাতায় পরীক্ষক, মুম্বইয়ে পরীক্ষার্থী দু’দিক সামলাবেন কী করে?
এটা সত্যিই শক্ত ব্যাপার। আসলে বিচারকের আসনে যখন বসি, তখন প্রথমে সাধারণ শ্রোতা হিসেবে গানটা শুনি। তেমনই আমি শ্রোতা হিসেবে যে গানগুলো শুনতে ভালোবাসি, সেগুলিই এখানে শোনাব।
বলিউডে যেমন গান গেয়েছেন, টলিউডেও প্রচুর প্লেব্যাক করেছেন। দুটো ইন্ডাস্ট্রির তফাত কিছু চোখে পড়েছে?
জিৎদা (গঙ্গোপাধ্যায়), অর্কপ্রভ (মুখোপাধ্যায়)-র সঙ্গে কাজ করেছি। স্যাভির পরিচালনায় প্রচুর বাংলা গান গেয়েছি। আমার ব্যক্তিগত ধারণা, সঙ্গীতের কোনও ভাষা হয় না। যে ভাষাতেই গাই না কেন, একজন শিল্পী হিসেবে চেষ্টা করি গানের অনুভূতিটা যেন শ্রোতার মনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। আর বাংলায় প্লেব্যাক করতে গিয়ে খুব মজা করেছি। কারণ, ‘ঝিঙ্কুনাকুর’, ‘লাটাই’, ‘পুলিস চোর’, ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’ গানগুলো খুব ফাস্ট (মস্তিওয়ালা গান)। এই গানগুলো যখন রেকর্ড করেছি রীতিমতো পার্টির মুডে গেয়েছি।
আপনি বাঙালির সঙ্গীত প্রেমের কথা বলছিলেন। আপনার প্রিয় বাঙালি গায়ক অথবা গায়িকা?
ওরে বাবা! সে তো বড় লিস্ট। বলিউডেই তো অরিজিৎ সিং, শ্রেয়া ঘোষাল, শান কার ছেড়ে কার নাম বলব। পঞ্চমদার (রাহুলদেব বর্মণ) সুর আমার খুব প্রিয়। গানের জগতে সব সময় একটা কলকাতা কানেকশন থাকেই। জন্মসূত্রে কলকাতার সঙ্গে আমার কোনও কানেকশন ছিল না। তবে, এখন তৈরি করে নিয়েছি। (হাসি)
শান-এর কো-ক্যাপ্টেন হয়ে কেমন লাগছে?
আমি যখন স্কুলে পড়ি, তখনই উনি স্টার। এখন একসঙ্গে কাজ করছি, ওঁর থেকে কত কিছু শিখছি। দারুণ অনুভূতি।
নতুন কাজ কী করছেন?
অরিজিন্যাল কনটেন্ট রিলিজ করার বহুদিনের ইচ্ছা। আগামী কয়েকমাসে বেশ কয়েকটা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক রিলিজ করব। তার মধ্যে বাংলা গানও থাকবে।