সৎসঙ্গ ও আধ্যাত্মিক ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠে মানসিক তৃপ্তি। কাজকর্মের ক্ষেত্রে নতুন কোনও যোগাযোগ থেকে উপকৃত ... বিশদ
চন্দ্রা একদিকে যেমন সুগায়িকা, তেমনই নৃত্য পটিয়সী। তার রূপ ও গুণের মোহে সকলেই মুগ্ধ। রাজাও সে তালিকায় বাদ নন। চন্দ্রার আকর্ষণ বুন্দেলখন্ডের আকাশে বাতাসে। তার প্রেমের মৌতাত সবাই পেতে চায়। গ্রামের ব্রাহ্মণ ছেলে লখন আবার চন্দ্রার প্রেমে পাগল। চন্দ্রার ভালোবাসার ছোঁয়া তাকে পেতেই হবে। তাতে জাতের আভিজাত্য ভেঙে চুরমার হলেও তার পরোয়া করে না সে। অনেক অনুনয় বিনয়, প্রতিশ্রুতির শেষে চন্দ্রার হৃদয়ে স্থান পায় লখন। জাতপাতের বিভেদ মুছে জয়ী হয় ভালোবাসা। কিন্তু এই প্রেমের পরিণতি বড় বিষাদময়।
নাটক জুড়ে সঙ্গীতের সুর তরঙ্গ মন ভরিয়ে দেয়। নাচ ও গানের সামঞ্জস্য চমৎকার। তারিফ করতে হয় মঞ্চ পরিকল্পনারও। নাটকের সূক্ষাতিসুক্ষ অনুসঙ্গকে পরিচালক সুন্দর করে বেঁধেছেন। চন্দ্রার চরিত্রে রঞ্জিনী ঘোষের অভিনয় অনবদ্য। লখনের চরিত্রে অঙ্কিত শর্মাও দারুণ। এছাড়া সাধু (ওম তিওয়ারি), মৃদঙ্গ (শুভম), মুন্নি (অনিন্দিতা পতি), রাজার (মনোসিজ বিশ্বাস) অভিনয়ও ভালো লাগে। অভিনয়ের পাশাপাশি বাজনদারের দায়িত্বও ভালো সামলেছেন শুভম। সন্দীপ সুমন ভট্টাচার্যের মঞ্চ পরিকল্পনা, বাদল দাসের আলো নাটকে একে অন্যের পরিপূরক। বিশেষত শেষ দৃশ্য এতটা পরিপক্ক যে, দর্শকের নজর মঞ্চ থেকে সরবে না।