উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
দ্বিতীয় নাটক ‘ব্যাধি’র বিষয় বেশ অন্যরকম। একটি পরিবারের অদ্ভুত অসুখ। ১৮ বছর বয়স হলেই পরিবারের সদস্যদের অন্ধত্ব প্রাপ্তি ঘটে। স্কুল জীবনে পড়াশোনায় ভালো হলেও অন্ধত্বের কারণে আর এগতে পারেনি অরুণেশ। তার স্ত্রী রুমা জন্মান্ধ। দম্পতির ছেলে পার্থ ও মেয়ে ইন্দ্রাণীরও চোখের দৃষ্টি নেই। দৃষ্টি হারিয়ে পার্থ মাটির পুতুল গড়ে। ইন্দ্রাণী নৃত্যশিল্পী। চোখের আলো নিভে গেলেও চারজনের এই পরিবার বেশ সুখী। একদিন অরুণেশ জানায় তার এক বন্ধু এমন এক চশমা বানিয়েছে যা চোখে দিলে দেখা যাবে দুনিয়া। কিন্তু সেই চশমা পরিবারের দু’জনের জন্য বরাদ্দ। কোন দু’জন পৃথিবীর আলো দেখবে, তা নিয়ে চলে আলোচনা। এক সময় তা পারস্পরিক দ্বন্দ্বে পরিণত হয়। নাট্যকার প্রবাল কুমার বসুর লেখা নাটকের পরিচালনার দায়িত্ব ছিল সৌম্য মজুমদারের। পরিচালনার পাশাপাশি অরুণেশের চরিত্রে সৌম্যর অভিনয়ও অসাধারণ। পাশাপাশি কিংশুক চক্রবর্তী, তানিয়া দাশগুপ্ত ও সীমা মজুমদারের অভিনয়ও ভালো। নাটক জুড়ে দৃষ্টিহীনতার অভিনয় বেশ চ্যালেঞ্জিং। নাটকের কুশীলবরা সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। এই নাটক দর্শকদের এক নতুন ভাবনার সম্মুখে দাঁড় করিয়েছে। লোভ, আকাঙ্খা, দুর্বলতার উর্দ্ধে উঠে মানুষের একে অপরের প্রতি ভালোবাসার মনস্তাত্ত্বিক পাঠ হতে পারে এই নাটক।