উত্তম বিদ্যালাভের যোগ আছে। কাজকর্মে উন্নতি ও কাজে আনন্দলাভ। অর্থাগমের উত্তম যোগ। ... বিশদ
এই বায়োড্রামায় কবির জীবনের বিশেষ অধ্যায়কে একত্রিত করে তাঁর সম্পূর্ণ জীবনের রূপরেখা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। সুকান্তর ছোটবেলার ঘটনা দিয়ে নাটকের শুরু। ক্রমান্বয়ে তাঁর কৈশোর, যৌবনের প্রতিটি লড়াইয়ের এক একটা পর্বকে তুলে ধরা হয়েছে। এই নাটকে বহু চরিত্রের সমাবেশ। কৈশোরের সুকান্তর ভূমিকায় শুভ্রনীল সাহা রায়ের অভিনয় নজর কাড়ে। সংলাপে সামান্য বিচ্যুতি ঘটলেও অভিনয়ের গুণে তা চাপা পড়ে যায়। স্কুলের প্রতি আগ্রহ না থাকলেও কবিতার প্রতি সুকান্তর ঝোঁক ছিল রানি দিদির (মৌ প্রিয়া দাস) সৌজন্যে। ছোটবেলায় মা ও পরে রানি দিদিকে হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন সুকান্ত। পরবর্তীতে দাদা (শঙ্কর ঘোষ) ও বউদি (অরুন্ধতী চৌধুরী) তাঁর অবিভাবকের দায়িত্ব সামলায়।
ছোট থেকেই সুকান্তর কবিতা লেখার ঝোঁক ছিল। অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও তাঁর (সৌমজিৎ দে) কবিতা লেখা বন্ধ হয়নি। কবির জীবনের নানা ঘটনার সঙ্গী বন্ধু অরুণাচল (সুপ্রদীপ দাশগুপ্ত), সমরেশ (শুভজিৎ মল্লিক), মণিগোপালরা (সৌরভ কর) সব সময় তাঁর সঙ্গে ছিল। এই বন্ধুদের দৌলতে স্বল্পবাক সুকান্তর সঙ্গে যোগাযোগ হয় কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের (অশোক দে)।
বায়োড্রামা করতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বড় হয়েছে নাটকের পরিসর। সেখানেই আরও গবেষণা ও প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল বলে মনে হয়েছে। অহেতুক বড় নাটক দর্শকের ক্লান্তির কারণ হয়ে উঠেছে। নাটকের শুরুতে ‘রানার’-এর ভাবনাটা ভালো। কিন্তু তা আকর্ষণীয় হয়ে উঠল না।